ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে মরা পশুর মাংস বিক্রি করে একটি চক্র

প্রকাশিত: ২২:০১, ২০ এপ্রিল ২০১৮

ভারতে মরা পশুর মাংস বিক্রি করে একটি চক্র

অনলাইন ডেস্ক ॥ বজবজের ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস সোজা পৌঁছে যেত কবরডাঙায়, তার পর সেখান থেকে শিয়ালদহে। জেরায় পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছে ধৃত রাজা মল্লিক ও শ্যামলাল। তবে মাংস শিয়ালদহ থেকে কোথায় পাচার হত সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি শ্যামলাল ও রাজা। তারা পুলিশের কাছে দাবি করেছে, শিয়ালদহে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মাংস পৌঁছে দেওয়া হত। তার পর সেখান থেকে মাংস সংগ্রহ করা হত। তবে কে বা কারা মাংস সংগ্রহ করত সে বিষয়ে তারা কোনও কিছুই জানেন না। এর পাশাপাশি তাঁরা পুলিশের কাছে আরও দাবি করেন, মাংস সংগ্রহ করার পর সেগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হত হাইব্রিড মাগুর মাছের বিভিন্ন ভেড়িতে। ধৃতেরা এক বার দাবি করছেন মাংস কোথায় যেত জানে না, আবার তাঁরাই পর ক্ষণে পুলিশের কাছে জানিয়েছে, মাংসগুলো হাইব্রিড মাগুরের ভেড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হত! এক এক বার এক এক রকম দাবি করায় পুলিশের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, কোথায় কোথায় মাংস পাচার করা হত, আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে রাজা ও শ্যামলালের কাছ থেকে। বজবজ পুরসভার উপ-পুরপ্রধান গৌতম দাশগুপ্ত শুক্রবার জানান, রাজার সঙ্গে এই পাচারচক্রে আর কোনও পুরকর্মীর যোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ কাউন্সিলারদের একটি দল বজবজের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে যাবেন। ভাগাড় থেকে যাতে মরা পশুর দেহ লোপাট না হয় সেই ব্যবস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর তাঁরা পুরসভাকে রিপোর্ট দবেন। ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস পাচারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার। ওই ভাগাড় থেকে একটি ট্যাক্সি বেরোতে গিয়ে চাকা গর্তে পড়ে যায়। ট্যাক্সিটিকে তুলতে ডিকি থেকে মাংসভর্তি প্যাকেটগুলো নামাতে দেখেন স্থানীয়রা। তখনই তাঁদের সন্দেহ হয়। ট্যাক্সিটি ভাগাড়ের দিকে আসায় সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। সঙ্গে সঙ্গে ট্যাক্সিচালক শ্যামলালকে ঘিরে ধরেন তাঁরা। কোথা থেকে এই মাংস এনেছে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। প্রথম দিকে কিছু বলতে না চাইলেও, পরে চাপের মুখে পড়ে আসল সত্যটা জানান তিনি। জানান, ওই ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস ও চামড়া সংগ্রহ করে সেগুলো পাচার করে দেওয়া হয়। আর এই পুরো কাজটাই রাজা মল্লিকের তত্ত্বাবধানে হয়। স্থানীয়রা এর পর রাজা ও শ্যামলালকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×