ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা ওয়াসার ভুতুড়ে বিল

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২১ এপ্রিল ২০১৮

ঢাকা ওয়াসার ভুতুড়ে  বিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভুতুড়ে বিল ঢাকা ওয়াসার অনেক গ্রাহকের জন্যই এক আতঙ্কের নাম। মিটার রিডিং অনুযায়ী বিল তৈরি না হওয়ায় একবারে বাড়তি বিলের বোঝা চাপে গ্রাহকের ঘাড়ে। ব্যবহারকারীদের দাবি, জোন অফিসগুলো সেবা দানে আগ্রহী না হওয়ায় দুর্ভোগ নিরসন হয় না সহজে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবি, প্রতি মাসে রিডিং ভিত্তিক বিল তৈরি সম্ভব নয় বলেই চাপ পড়ে গ্রাহকের ওপর। তবে হিসেবে গড়মিল থাকলে ‘কল সেন্টার’ ও প্রয়োজনে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সহায়তা নেয়ার পরামর্শ তার। বাড্ডার সাঁতারকুলের এ গুদামটির পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে দুই বছর আগে। মালিকের দাবি, বকেয়া পরিশোধের পর স্থানীয় কার্যালয় থেকে পুনঃসংযোগের আশ্বাস দিলেও তা দেয়া হয়নি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও প্রতি মাসে বিল পরিশোধের তাগাদা দেয়া হয় তাকে। উত্তরার গাঁওয়াইর এলাকার নির্মাণাধীন ভবনটির পানির বিল নিয়েও অভিযোগ রয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। তাদের দাবি, বিগত সময়ে সর্বোচ্চ সাড়ে চার হাজার টাকা দিতে হলেও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় চব্বিশ হাজার টাকার বিল আসে। মূল শহরেই নয়, ওয়াসার বিরুদ্ধে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে রাজধানীর উপকণ্ঠের বিভিন্ন এলাকায়। দক্ষিণখানের চেয়ারম্যান বলেন, মিটার দিল আর বিলের জন্য পাগল হয়ে গেলো এটা তো হয় না। একবারে ৮০ হাজার টাকা নিবেন আবার মাসে মাসে বিল নিবেন। এটা জনগণ তো চায় না। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবি, গ্রাহকের ঘরে ঘরে গিয়ে প্রায় পৌনে চার লাখ মিটারের তথ্য সংগ্রহ প্রতি মাসে সম্ভব নয়। ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, ৩০০ টাকার রিডিং দেখার জন্য ১০০ টাকা ভাড়া লাগে। এটা কি করে? সারা দুনিয়ার নিয়ম হচ্ছে এগুলো গড় করে দেয়া। তারপর একটা নির্দিষ্ট সময় পর যেয়ে এটা পরিবর্তন করা। ডিস্ট্রিক্ট মিটার এরিয়া বা ডিএমএ পদ্ধতির পরীক্ষামূলক কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে পুরো রাজধানীতে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আশ্বাস ওয়াসা।
×