ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানি সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২১ এপ্রিল ২০১৮

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানি সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্রীষ্ম মৌসুম শুরুর আগেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র আকার ধারণ করেছে পানি সঙ্কট। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। অথচ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ওয়াসার দাবি, রাজধানীর ৯৫ ভাগ এলাকায় পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। সোমবার দুপুরে ওয়াসা ভবনে সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান এই দাবি করেন। তিনি আশ্বাস দেন, সামনের রমজানে পানি সঙ্কট থাকবে না। এ ছাড়া বর্ষাতেও জলমগ্ন হবে না রাজধানী। পানি সঙ্কটে আছেন কী না- এমন প্রশ্নে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দক্ষিণ কমলাপুরবাসী। ক্ষোভ প্রকাশ করে এক নারী বলেন, ‘ভোটের সময় শুধু বলে ভোট দেন, ভোট দেন আর আমরা জনগণ মরি হাহাকারে। দুইটা মাস পানি পাই না।’ রাস্তায় যখন বিক্ষোভ চলছে তখন রান্না ঘরে আঞ্জুমানআরা থালাবাটি ধুচ্ছিলেন কেনা পানি দিয়ে। তিনি বলেন, ‘পানির অভাবে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। সংসারের কাজগুলো করতে পারছি না ঠিকভাবে।’ সোমবার বিকেলে যখন দক্ষিণ কমলাপুরে এই দশা তার ঘণ্টা তিনেক আগে ‘শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহ নিয়ে’ ওয়াসা ভবনে বসে সংবাদ সম্মেলন। এতে ওয়াসার এমডি তাকসিম এম খান দাবি করেন, পানির সঙ্কট নেই বললেই চলে।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের পানির সঙ্কট তো দূরের কথা, সর্বোপরি কোন সমস্যাও নেই।’ স্বভাবতই তার এই দাবির সঙ্গে একমত নয় দক্ষিণ কমলাপুরের মতো, আরামবাগ, মগবাজার, ধোলাইখাল, গেন্ডারিয়া, জুরাইন, খিলগাঁও, মান্ডা, মিরপুরের মণিপুরীপাড়া, উত্তর বাড্ডার সাতারকুল কিংবা পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের পানি সঙ্কটে থাকা লাখো মানুষ। কয়েকজন দাবি করেন, ওয়াসার এমডি যে কথা বলেছেন সেটা তিনি অফিসে বসে বলেছেন। প্রকৃতি অবস্থা সম্পর্কে তার কোন ধারণাই নেই। গ্রীষ্মের আগেই রাজধানীর যখন এই অবস্থা, সেই সময় ওয়াসা কর্তৃপক্ষের আশ্বাস রমজানে সঙ্কট পোহাতে হবে না নগরবাসীকে। সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে জলাবদ্ধতার প্রসঙ্গও। সামনেই বর্ষা, তাই প্রশ্ন করা হয়, গতবারের মতো এবারও কি ডুববে ঢাকা? ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আমাদের আর্টিফিসিয়াল যে ড্রেনেজ সিস্টেম সেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে এবং আমরা এ বছর গত বছরের তুলনায় আমরা ভাল থাকব।’
×