ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জরিমানার কবলে আর্মস্ট্রং

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২১ এপ্রিল ২০১৮

 জরিমানার কবলে আর্মস্ট্রং

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাইক্লিং বিশ্বের কিংবদন্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত টানা ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ট্যুর ডি ফ্রান্সে। কিন্তু ২০১২ সালে ডোপ টেস্টে বেশ বাজেভাবে ধরা পড়েন ল্যান্স আর্মস্ট্রং। এরপর সাইক্লিংয়ের সব আসরে তার ফলাফলগুলো বাতিল করা হয়। এমনকি অলিম্পিক থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। প্রতারণা মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। অবশেষে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে সম্মত হয়েছেন সাবেক এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাইক্লিস্ট। আগামী মাসে এই প্রতারণা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন গর্বিত করেছেন দেশকে। একের পর এক সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে হয়ে গেছেন সুপারস্টার। কিন্তু পরে ডোপ টেস্টে ধরা পড়েন তিনি। তারপরই মামলা হয় প্রতারণার। মামলায় অভিযোগ ইউএস পোস্টাল সার্ভিসের স্পন্সরে থাকা দলের হয়ে রেসিং করার সময় দেশের সরকারের সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন ল্যান্স আর্মস্ট্রং। তার সঙ্গে সতীর্থ ফ্লয়েড ল্যানডিস ও পোস্টাল সার্ভিস অপূরণীয় ক্ষতিসাধনের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার দাবি করে মামলা করে। আগামী ৭ মে সেই মামলার বিচার শুরু হবে। তবে ভয়াল ক্যান্সার কাটিয়ে সুস্থ হওয়া আর্মস্ট্রংয়ের আইনজীবী ও ইউএস বিচার বিভাগ একটি সমঝোতায় আসার জন্য প্রস্তাব রেখেছে। সেই প্রস্তাবনা অনুসারেই ৫ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছেন ৪৬ বছর বয়সী আর্মস্ট্রং। এ বিষয়ে ইউএস বিচার বিভাগের আইনজীবী চ্যাড রিডলার বলেন, ‘কেউ আইনের উর্ধে নয়। এই সমঝোতা এটাই ব্যাখ্যা করে যে ব্যক্তিই সরকারের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নেবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।’ আর্মস্ট্রংয়ের এ্যাটর্নি এলিয়ট পিটার্স এই সেটলমেন্টের বিষয়ে এক বিবৃতিতে দাবি করেন এর মাধ্যমে আর্মস্ট্রংয়ের পেশাদার সাইক্লিস্টের ক্যারিয়ার চলাকালীন যে নৈপুণ্য বর্ধক পদার্থ ব্যবহার করেছেন সেই বিষয়গুলো শেষ হয়ে যাওয়া উচিত। ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে আর্মস্ট্রং আরও ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যয়ভার বহনের জন্য প্রদান করবেন। আর্মস্ট্রং তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি এই মামলার নিষ্পত্তি চাই এবং আমার জীবন নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আমি আমার ৫ সন্তান, স্ত্রী, লেখালেখি, ক্যান্সার নিয়ে আমার কার্যক্রম, ক্রীড়া নিয়ে আমার আবেগ- অনুভূতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’ ২০১২ সালে আর্মস্ট্রংয়ের বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছিল ১২৫ মিলিয়ন ডলারে। কিন্তু নাটকীয় পতনে একের পর এক স্পন্সর হারিয়ে ফেলেন তিনি। এর মধ্যে আবার ২০১৫ সালে ডালাসভিত্তিক এসসিএ প্রমোশন্স ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে ট্যুর ডি ফ্রান্সে জেতার জন্য যে বোনাস দিয়েছিল সেজন্য ১০ মিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ দেয়। এসব চাপে এমনকি তিনি টেক্সাসের অস্টিনে নিজের বাড়ি ৭৫ লাখ ডলারে বিক্রি করছেন।
×