ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

১২ বছরের নিচে শিশু ধর্ষণে ফাঁসির আইন করছে ভারত

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ২১ এপ্রিল ২০১৮

১২ বছরের নিচে শিশু ধর্ষণে ফাঁসির আইন করছে ভারত

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারত সরকার ১২ বছরের কম বয়সী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন করছে। এ বিষয়ে এক অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। আজ শনিবার দেশটির মন্ত্রিপরিষদের এক সভায় শিশু ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবরে বলা হয়, সরকারের এই উদ্যোগকে শিশু ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি হিসেবে দেখা হচ্ছে। পাঁচদিনের বিদেশ সফর শেষে দেশে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১০ জানুয়ারি কাশ্মীরের কাঠুয়া শহরের রাসানা এলাকায় আট বছরের এক শিশুকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ভারত জুড়ে ক্ষোভের মুখে গত সপ্তাহে নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মেনকা গান্ধী এ সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তনের কথা বলেন। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়। এ ধরনের সুপারিশ এটিই প্রথম নয়। এর আগেও অনেকবার এ ধরনের পরিবর্তন আনতে সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগে দিল্লিতে ২৩ বছর বয়সী এক নারীকে গণধর্ষণের পর ধর্ষণের আইনগুলি পুনর্বিবেচনার জন্য বিশেষজ্ঞরা জোর দাবি তুলেছিলেন। সে সময় তারা বলেছিলেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই দণ্ডাদেশ এ ধরনের ঘটনা কমাতে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। মোদি সরকার গত জানুয়ারিতে ধর্ষণের আইনগুলি পুনর্বিবেচনার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করে। সেমসয় কেন্দ্রের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশই শেষ কথা নয়’। কাশ্মীরের কাঠুয়া ও উত্তর প্রদেশে ধর্ষণের ঘটনার পরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে গোটা ভারত। কিন্তু উভয় ঘটনাতেই বিজেপির নেতারা ধর্ষকদের বাঁচাতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেনেকা গান্ধী যৌন নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের সহযোগিতা, বিশেষ টিম গঠন করে দোষীদের শাস্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রকে আরও দায়িত্বশীল হতে বলেছেন। ধর্ষণের ঘটনায় ভারতের বর্তমান আইনে সর্বনিম্ন সাজা রয়েছে সাত বছর। এ আইনে দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা রয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
×