ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে জাপানে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

প্রকাশিত: ০১:৩১, ২১ এপ্রিল ২০১৮

বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে জাপানে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ মঙ্গল ও আনন্দের বারতা নিয়ে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষ আসে বাঙ্গালীর জীবনে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে নববর্ষ ছুঁয়ে যায় প্রবাসে অবস্থানকারী সকল বাংলাদেশী, এমনকি বিদেশিদেরকেও। জাপানও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে শুক্রবার জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ হাউসে বিদেশি বন্ধুদের সম্মানে নববর্ষ উদযাপন ও মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাপানের সংসদসদস্য, জাপানে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ, জাপান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়য়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, জাপানের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ, গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব ও সুধীজন। অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি তাঁদের উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন। বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনকে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাঁজে সাজিয়ে তোলা হয়। মনের মাধুরী মেশানো আল্পনার রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দেয়া হয় অতিথিদের আগমন ও অভ্যর্থনা স্থান। দূতাবাসের দেয়ালে দেয়ালে শোভা পায় আবহমান বাংলায় নববর্ষ উদযাপনের অনন্য উপাদান নানান রঙের মুখোশ। রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা – কর্মচারীগণ আনন্দঘন পরিবেশে এই সাজ-সজ্জায় অংশ নেন। এছাড়া মেহিদি রঙ্গে বিদেশি বন্ধুদের হাত রঙিন করার ব্যবস্থা ছিলো। অনেক বিদেশি বন্ধু তাঁদের হাতে বাংলাদেশি মেহেদী দিয়ে আল্পনা করিয়েছেন পরম আনন্দে।এছাড়া বিভিন্ন দেশের মহিলা অতিথিদের চুরি এবং টিপ পরিয়ে দেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। আগত অতিথিগণ বাংলাদেশের আতিথিয়তা ও আকর্ষণীয় এই সাঁজে তাঁদের মুগ্ধতা ও উচ্ছাস প্রকাশ করেন। তাঁদের চোখে ছিলো আনন্দ আর তৃপ্তির ঝিলিক। রাষ্ট্রদূত বিদেশি বন্ধুদের বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী ও বাঙ্গালিয়ানা খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করান। বিভিন্ন রকমের খাবারের মধ্যে ছিলো বাংলাদেশের ইলিশ, পোলাও, গরু ভুনা, জিলাপি, ক্ষীরমোহন, চমচম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশের তৈরী নকশিকাঁথা ও অন্যান্যসামগ্রীর সমাহার নিয়ে একটি প্রদর্শনীও আয়োজন করা হয়।
×