ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ২২ এপ্রিল ২০১৮

টুকরো খবর

৪০ শতাংশ বেকার শিক্ষিত লেখাপড়া করে যে, গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ে সে- ছোটবেলায় এই ছড়াটি শোনেনি এমন শিশু পাওয়া কঠিন। লেখাপড়া করে চাকরি পাবে, ভাল রোজগার করে উন্নত জীবনযাপন করবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি কি জানেন, বাংলাদেশে শিক্ষিত মানুষেরাই বেশি বেকার। তাঁরা নিজেদের পছন্দমতো কাজ পান না। অন্যদিকে যাঁরা কখনও স্কুলে যাননি, শিক্ষার সুযোগ পাননি; তাঁদের মধ্যেই বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম। বাংলাদেশে যত লোক বেকার, তাঁদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনে দুজন উচ্চ মাধ্যমিক কিংবা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী। পড়াশোনা করে একটু ভাল কাজের সন্ধানে থাকেন তাঁরা। কিন্তু মনমতো চাকরি পাচ্ছেন না। আবার হয়ত যে পদে চাকরি পান, সেখানে যোগ দিতে অনীহা আছে তাঁদের। প্রতি পাঁচজন বেকারের মধ্যে দুজন উচ্চমাধ্যমিক কিংবা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী। মনমতো চাকরি পাচ্ছেন না। সম্প্রতি প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে সারাদেশে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার বেকার লোক আছেন। তাঁরা সপ্তাহে এক ঘণ্টাও কাজের সুযোগ পান না। এই বেকারদের মধ্যে ১০ লাখ ৪৩ হাজার তরুণ-তরুণী উচ্চমাধ্যমিক কিংবা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেও চাকরি পাচ্ছেন না। বেকারদের মধ্যে ৩৯ শতাংশই এমন শিক্ষিত বেকার। অন্যদিকে যাঁরা পড়াশোনা করতে পারেননি, মোট বেকারদের মধ্যে তাঁদের হার সবচেয়ে কম, মাত্র ১১ দশমিক ২ শতাংশ। এবার আসা যাক, ডিগ্রীধারীদের নিজেদের মধ্যে বেকারত্বের হার কেমন সেই চিত্রে। শ্রমশক্তি ২০১৬-১৭ জরিপে বলা হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পাস তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৫ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ৬ লাখ ৩৮ হাজার তরুণ-তরুণী কোন কাজ পাননি। তাঁরা আর পড়াশোনা করতে চান না, কাজ করতে চান। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে ৪ লাখ ৫ হাজার লোক এখনও পছন্দ অনুযায়ী কাজ পাননি। স্নাতক ডিগ্রীধারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ১১ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি, এমন মানুষের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম, মাত্র ৩ লাখ। হালখাতার আয় কোটি টাকা এনবিআর এবারের রাজস্ব হালখাতা ও বৈশাখ উৎসব থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৪০৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার আয়কর পেয়েছে। করদাতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি এবং বকেয়া রাজস্ব আহরণে গত রোববার দ্বিতীয়বারের মতো সারাদেশে আয়কর ও ভ্যাট অফিসে রাজস্ব হালখাতা ও বৈশাখ উৎসবের আয়োজন করে এনবিআর। এতে করদাতাদের অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন করাঞ্চল এবং ভ্যাট অফিসে আলাদাভাবে রাজস্ব হালখাতা ও বৈশাখ উৎসবের আয়োজন করা হয়। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য মাটির হাঁড়ি, পাতিল, কলাগাছ, কুলো, হাতপাখা, মুখোশ, খড়ের গেট আর নানা রঙের দেয়াল কার্টুনে সাজানো হয় করাঞ্চল, ভ্যাট কমিশনারেট ও ভ্যাট অফিস। প্রতিটি করাঞ্চল ও ভ্যাট অফিসে করদাতারা উৎসবমুখর পরিবেশে রাজস্ব পরিশোধ করেন। বকেয়া কর প্রদানের পর করদাতাদের উপহার হিসেবে বই প্রদান করা হয়। এনবিআরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন বাসসকে জানান, এবারের রাজস্ব হালখাতা ও বৈশাখ উৎসবে বিপুলসংখ্যক করদাতা অংশগ্রহণ করেছে। তাদের কাছ থেকে ৪০৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার আয়কর পাওয়া গেছে।
×