অনলাইন ডেস্ক ॥ কলকাতা নাইটরাইডার্সের বিপক্ষে ইডেন গার্ডেনে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব যখন ব্যাট করতে নামে, তখন তাদের লক্ষ্য ছিল ১৯২ রান। মাঝে বৃষ্টির হানা, সব মিলিয়ে বলা যায় সহজ জয়ই তুলে নিল পাঞ্জাব।
শনিবার ইডেনের আকাশে আগে থেকেই ছিল কালো মেঘের আনাগোনা। এর মাঝে বান ডেকে শুরুও হয়ে গেল কলকাতার জন্য ‘কাল’হয়ে আসা বৃষ্টি।
বৃষ্টির জন্য এক ঘণ্টা ৩৫ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। সে সময় পাঞ্জাবকে তুলতে হবে ২৮ বলে ২৯ রান। প্রথমে গেইলদের রান রেট ৯.৬ থাকলেও ওই সময় প্রয়োজনীয় গড় নেমে এসেছে প্রায় ৬ এ।
আর এরপরই কর্তৃপক্ষ ডাকওয়ার্থ-লুইস (ডিএল) পদ্ধতিতে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ থেকে দুই ব্রিটিশ পরিসংখ্যানবিদ ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইসের তৈরি পদ্ধতিতে ডিএল-কেই বিশ্ব ক্রিকেটে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের লক্ষ্য নির্ধারিত হচ্ছে। এবার আইপিএলেও হলো তাই-ই।
কিন্তু শনিবার নিজেদের মাঠ ইডেনে হারের পরেও সেই ‘ডিএল পদ্ধতি’ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির পরে যখন খেলা শুরু হল, তখন হঠাৎ দেখি ওদের আস্কিং রেট ছয়েরও কম হয়ে গেছে! আমি ব্যাপারটা বুঝলাম না। কোন হিসেবে, কোন যুক্তিতে এটা হতে পারে, আমি জানি না।’
বিদেশ থেকে আমদানি করা এই নিয়ম ব্যবহার না করে তিনি ভারতে তৈরি নিয়ম জয়দেবন পদ্ধতি (ভিজেডি) ব্যবহারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারতে তৈরি একটা পদ্ধতি রয়েছে, ভিজেডি। সেই পদ্ধতি তো আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে (বিজয় হাজারে ট্রফি ও মুস্তাক আলি ট্রফি) ব্যবহার করা হচ্ছে। তা হলে আইপিএলেই বা হবে না কেন?’
কিন্তু কলকাতা ২০০ রান করলেও শনিবারের ম্যাচকী জিততে পারতো? তাদের বোলারদের পারফরম্যান্সও যে ভালো হয়নি। অবশ্য তা স্বীকারও করেছেন অধিনায়ক।
কার্তিক বলেন, ‘আমাদের দু’শো রান হলেও তা নিয়ে জিততে পারতাম কি-না জানি না। কারণ, আজ আমাদের বোলিং ভালো হয়নি। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষেও দু’শো তুলেছি। কিন্তু সঙ্গে বোলিংটাও তো ভালা হওয়া দরকার।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: