ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ কৃষি বিভাগের

বোরোর কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শঙ্কিত চাষী, দায়ী নেকব্লাস্ট রোগ!

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

বোরোর কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শঙ্কিত চাষী, দায়ী নেকব্লাস্ট রোগ!

ওয়াজেদ হীরা ॥ গ্রামের পর গ্রাম, মাঠের পর মাঠ; যতদূর চোখ যায় দেখা মেলে মাঠে দুলছে সোনালি ফসল। বাতাসের সঙ্গে দোল খাচ্ছে বোরো ধানের শীষ। স্বপ্ন ভরা চোখে মন ভরানো সোনালি ফসলের মাঠ দেখে সুখের হাসি দেয় কৃষক। ধানের শীষ নয় এ যে মাঠে মাঠে দুলছে চাষীর স্বপ্ন। ফসল নিয়ে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হচ্ছে। গত বছর আগাম বন্যায় যে ফসল ঘরে ওঠানো যায়নি এবার তা অনেকটাই মাঠেই নষ্ট করে দিচ্ছে এক ধরনের রোগ। আর তা হলো উঠতি বোরো ধানে ক্ষতিকারক ‘নেকব্লাস্ট’ রোগের সংক্রমণ। কৃষি কর্মকর্তারা যথাসাধ্য চেষ্টাও চালাচ্ছেন সমাধানের জন্য; কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। মাঠেই ফসল মরে যাওয়া দেখছেন আবার কেউ কেউ নীরবে চোখের জল ফেলছেন। চাষীর স্বপ্নভঙ্গের সঙ্গে বোরোয় কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। গতবারের অকালবন্যার পর হাওড়সহ বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষককে বিআর-২৮ জাতের ধান আবাদেই বেশি উৎসাহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য জাতের ধানও আবাদ করেছেন তারা। গতবার বানের পানি ফসল ভাসিয়েছে আর এবার ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সরকার বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এক কোটি ৯৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ টন। আর বোরো আবাদের জন্য জমির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪৮ লাখ হেক্টর। দেশের হাওড় অঞ্চল থেকে শুরু করে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের কয়েক জেলায় খোঁজ দিয়ে জানা গেছে সর্বত্রই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কোন কোন জেলায় ধান পাকার আগেই আধাপাকা ধান কাটা হচ্ছে। আর কোথাও শুরুতেই চিটা হয়ে যাচ্ছে। হাওড় অঞ্চল নেত্রকোনায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলারয় বিক্ষিপ্তভাবে ‘নেক ব্লাস্ট’ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাব কলমাকান্দা উপজেলায়। এ ছাড়া খালিয়াজুরিসহ অন্য আট উপজেলাতেও কিছু কিছু জমি আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত জমিতে ধানের বদলে ‘চিটা’ হয়ে যাচ্ছে। তাহেরুল নামে এক কৃষক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সব শ্যাষ হয়ে গেল। এবারও দেনায় থাকতে হবে। গতবার গেল পানিতে এবার জমিতেই শ্যাষ হইল। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, এ পর্যন্ত ১শ’ ৩০ একর জমি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্যে জানা গেছে, ধানগাছের পাতা, কা- ও শীষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। প্রথমে পাতায় ডিম্বাকৃতির দাগ দেখা যায়, যার দুই প্রান্ত লম্বা হয়ে চোখের আকৃতি ধারণ করে। দাগের মধ্যভাগ ছাই রঙের ও বাইরের দিকের প্রান্ত গাঢ় বাদামি হয়। অনেক দাগ একত্রিত হলে পাতাটি মরে যেতে থাকে। ধান পুষ্ট হওয়ার আগে এ রোগের আক্রমণ হলে শীষের সব ধান চিটা হয়। দেশের সকল কৃষি কর্মকর্তার কাছে কৃষি সম্প্রসারণের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক অমিতাভ দাস স্বাক্ষরিত এই রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এর ব্যবস্থাপনা হিসেবে উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক বলেছেন, জমিতে সব সময় পানি ধরে রাখতে হবে। কুশি অবস্থায় রোগটি দেখা দিলে বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ সার প্রয়োগ করে সেচ দিতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ছত্রাকনাশক (টেবুকোনাজল ৫০% + ট্রাইফ্লুক্সিট্রোবিন ২৫%) যেমন: নাটিভো ৭৫ ডব্লিউপি ০.৬০ গ্রাম মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করতে হবে। অথবা প্রতি লিটার পানিতে ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ট্রপার ৭৫ ডব্লিউপি বা জিল ৭৫ ডব্লিউপি ০.৮১ গ্রাম বা অন্যান্য নামের ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করতে হবে। পরবর্তী সতর্কতা হিসেবে, আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ না করা এবং ধান কাটার পর শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলার কথাও বলছে কৃষি বিভাগ। এছাড়াও হাওড় অঞ্চল খ্যাত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভরপুর ও শাল্লা জগন্নাথপুর উপজেলার হাওড়ের বোরো ফসল (ব্রি-২৮) জাতের ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাওড়ের বোরো ফসলগুলোতে নতুন রোগ দেখা দেয়ায় কৃষকদের মনে আবারও আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, ফসল ভাল হলেও ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ধানের গোছা (গোটা আসা ধানের গোছা) সাদা হতে থাকায় তাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, ব্লাস্ট ভাইরাস থেকে ধান রক্ষা করতে প্রচারপত্র বিলিসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের হাওড়ে গিয়ে ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, ২ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ করা হয়েছে। ফসলের সার্বিক অবস্থাও ভাল। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ হয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার ১২০ হেক্টর জমিতে ব্লাস্টের আক্রমণ হয়েছে। বিশেষ করে ২৮ ধানে এ রোগের প্রকোপ বেশি। এ ব্যাপারে প্রত্যেক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ সবাই কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন, লিফলেট বিতরণ করছেন, বিভিন্ন বিষয়ে প্রেসক্রিপশন করছেন বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার সাহা। ভাল নেই উত্তরাঞ্চলের চাষিরাও। তাদেরও একই অবস্থা। ক্ষেতের ফসল রক্ষায় দিগি¦দিক ছোটাছুটি এখন কৃষকদের। তবুও রোগ থেকে ফসল রক্ষা হচ্ছে না। মুহূর্তের মধ্যেই গোটা মাঠ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে মলিন হচ্ছে কৃষকের মুখও। ব্লাস্ট রোগ নিয়ে চিন্তিত কুড়িগ্রামের কৃষকরা। কোন কথাই বলতে চান না। মুঠোফোনে সাকির আলি, জিন্নত, রহিছ মিয়ার মতো একাধিক কৃষক জানিয়েছেন তাদের দুঃখের কথা। নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা, থানাহাট, রানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হেক্টর জমির ধানের শীষ চিটা হওয়ায় শত শত কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। সঙ্গে দেখা দিয়েছে পাতা মরা রোগ। ফসলের রোগ সমাধানের জন্য পাগলের মতো ছোটাছুটি করছেন কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ওষুধের দোকানে। চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ৬ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে ইরি -বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে কিছু জমিতে নেক ব্লাস্ট রোগ হয়েছে। এই সমস্যা আক্রান্ত বগুড়া জেলায়ও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ায় নেক ব্লাস্টের পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট (বিএলপি) রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বগুড়ার ১২ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে লাগানো বিভিন্ন জাতের ধানের জমিতে কম-বেশি এসব রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত ৩০ হেক্টর জমির ধানগাছ এ দুটো রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তবে দ্রুত আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে আক্রান্ত জমির পরিমাণ আরও বাড়বে। জানা গেছে কয়েকদিনে শাহজাহানপুর, নন্দীগ্রাম, ধুনট ও শেরপুর উপজেলার একাধিক কৃষকের বোরো ক্ষেত নিয়ে হতাশার কথা। ভুক্তভোগী কৃষকরা জানিয়েছেন, ওষুধ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। ভয়ে অনেক কৃষক ভাল ধান খেতেও আগাম সতর্কতা হিসেবে ওষুধ প্রয়োগ করছেন। কিন্তু কোনভাবেই খেতের ফসল ভাল করতে পারছেন না তারা। বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেছেন, দিনের বেলায় বাড়তি তাপমাত্রা থাকছে। রাতে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। তাপমাত্রার সমন্বয় না থাকায় এসব রোগ দেখা দিয়েছে। ধানের ছত্রাকজনিত রোগ ব্লাস্টের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে মৌলভীবাজারের একাধিক উপজেলায়ও। শ্রীমঙ্গল উপজেলা খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে ধান পাকার শুরুতেই সেখানের ফসলি জমিতে ব্লাস্ট সংক্রমণে আধাপাকা ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আধা পাকা ও পাকা ধান কাটার ধুম চলছে। এ নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা না করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস। গাইবান্ধা জেলার ধানক্ষেতে ‘ব্লাস্ট’ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে। জানা গেছে, ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করেও কৃষকরা রোগের বিস্তার থামাতে পারছেন না। জেলার সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ি ও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, বিআর-২৮ ধান এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে বেশি। গাইবান্ধা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আ কা ম রুহুল আমিন জানান, চলতি বোরো মৌসুমে গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কৃষকের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। সাতক্ষীরার চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আধা পাকা ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। ফলে যেসব কৃষক দেনা করে বোরো ধান চাষ করেছে, তারা রীতিমতো পথে নামতে বসেছে। সাতক্ষীরার একাধিক জায়গার কৃষক জানান, প্রথমে দু’একটি ধানের শীষে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পরদিন ক্ষেতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে জমির অধিকাংশ ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আবদুল মান্নানের তথ্যে জানা গেছে, যেসব এলাকায় ব্লাস্ট রোগ দেখা দিচ্ছে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সেখানে পাঠিয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, শীঘ্রই এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ব্লাস্ট রোগ নিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. মোঃ আব্দুল লতিফ। তিনি জানান, নেক ব্লাস্ট ধানের একটি ছত্রাকজনিত রোগ। ধানের ফুল আসার পর শীষের গোড়ায় এ রোগ দেখা দেয়। গোড়া ছাড়াও যে কোন শাখা আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত শীষের গোড়া পচে যায় এবং ভেঙ্গে পড়ে। ধান পুষ্ট হওয়ার আগে আক্রান্ত হলে শীষের সব ধান চিটা হয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে, এ রোগের প্রাদুর্ভাব আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। ড. লতিফ আরও জানিয়েছেন, নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা যায় না। সাধারণত কৃষক যখন জমিতে নেক ব্লাস্ট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত করেন তখন জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায়। সে সময় অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ প্রয়োগ করলেও রোগ দমন করা সম্ভব হয় না। সেজন্য রোগের অনুকূল অবস্থা বিবেচনার পাশাপাশি এ রোগের জীবাণু যেহেতু দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়, তাই রোগটি দমনের জন্য কৃষক ভাইদের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়াও যেসব জমির ধান নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়নি, অথচ উক্ত এলাকায় ব্লাস্ট রোগের অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে অথবা ইতোমধ্যেই কিছু স্পর্শকাতর আগাম জাতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে, সেখানে ধানের শীষ বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অথবা ফুল আসার পর্যায়ে ছত্রাকনাশক যেমন ট্রুপার (৫৪ গ্রাম/বিঘা) অথবা নেটিভো (৩৩ গ্রাম/বিঘা) শেষ বিকেলে ৭/১০ দিন অন্তর দু’বার আগাম স্প্রে করতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসীন জনকণ্ঠকে জানান, নেক ব্লাস্ট রোগের বিষয়টি আমরা দেখেছি। আমাদের জেলা-উপজেলার কর্মকর্তারা সার্বিক তদারকি করছে বলেও জানান তিনি।
×