ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

শেয়ারবাজারে সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রবিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের উর্ধমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে পতনের মধ্য দিয়ে। মূলত সিংহভাগ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দরপতনের কারণেই পুঁজিবাজারে এই পতন দেখা দেয়। এ দিন বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৮৮টির; আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির দাম। রবিবার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে সূচকের উত্থান-পতনে ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে দরপতন হলে সাধারণত শেয়ারবাজারেও দরপতন হয়। রবিবারের লেনদেনেও তাই ঘটেছে। এ দিকে তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, রবিবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১টি ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ৮টির; আর অপরিবর্তিত রয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। অপরদিকে তালিকাভুক্ত ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টির শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ৬টির; আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১টির দাম। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমন দরপতনে লেনদেনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। রবিবার ডিএসইতে মোট ৪৯২ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসেবে আগের দিনের তুলনায় রবিবার মোট ৮৫ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার কম লেনদেন হয়েছে। টাকার অঙ্কে বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৪৭ লাখ টাকার। ২৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। লেনদেনে এরপর রয়েছে- গ্রামীণ ফোন, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, কেয়া কসমেটিক, আমরা নেটওয়ার্কস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, উসমানিয়া গ্লাস এবং এ্যাডভেন্ট ফার্মা। অন্যদিকে এ দিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ২১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৪২ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ২০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এ দিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৫৯ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৮২৫ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৯৩ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৯১৫ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৭ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬০ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ১১১ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ দিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৪টির, কমেছে ১৪১টির এবং কোন পরিবর্তন হয়নি ৩১টি কোম্পানির শেয়ার দর। টাকার অঙ্কে এ দিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো, কেয়া কসমেটিকস, এ্যাডভান্ট ফার্মা লিমিটেড, লাফার্জ হোলসিম, বিবিএস ক্যাবলস, আল আরাফাহ ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড, উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি এবং লংকা বাংলা ফাইন্যান্স।
×