ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কালবৈশাখীর তান্ডব রাজধানীর সড়কে দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

কালবৈশাখীর তান্ডব রাজধানীর  সড়কে দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কালবৈশাখীর তান্ডবে রাজধানীতে গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বেশকিছু এলাকায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। রবিবার দিনের শেষে শুরু হওয়া এ ঝড়ো-বৃষ্টি প্রায় আধাঘণ্টা স্থায়ী হয়। বৃষ্টির পাশাপাশি চলতে থাকে মেঘের গর্জন ও বিদ্যুত চমকানি। ধানমন্ডিতে বিভিন্ন সড়কে বেশকিছু গাছ উপড়ে পড়ে। কয়েক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহাখালীতে নির্মাণাধীন ভবনের পাশে একটি গাড়ির ওপর বিলবোর্ড ভেঙ্গে পড়েছে। তেজগাঁও লাভ রোড, ধানমন্ডিতে আবাহনী মাঠের কাছে ও মহাখালীর বিভিন্ন রাস্তায় ডালপালা ভেঙ্গে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ও খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তেজগাঁও ও ধানমন্ডি এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। গুলশান এলাকায় প্রায় দুই ঘন্টা বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিল। এক সপ্তাহ ধরে চলে আসা বৈশাখের ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেলেও সাময়িক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। নগরীর রাস্তাঘাট ও অলিগলি হয়ে ওঠে কর্দমাক্ত। ঝড়োহাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ফুটপাথের দোকানপাট। আজ সোমবারও দেশের অনেক স্থানে ঝড়োহাওয়াসসহ বৃষ্টিপাত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীতে অনুভূত হয় ভ্যাপসা গরম। সূর্যের তীব্র রশ্মি ব্যাহত করে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিকেল পাঁচটার পর পাল্টে যায় রাজধানীর আবহাওয়া। আকাশে মেঘের আনাগোনা বেড়ে যায়। বইতে শুরু করে হালকা শীতল বাতাস। নেমে আসে অন্ধকার এবং শুরু হয় মেঘের গর্জন। কিছুক্ষণ পরই নেমে আসে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। বৃষ্টি নয়, পথচারীদের দুর্ভোগে ফেলে মেঘের বিকট গর্জন ও বিদ্যুত চমকানি। প্রস্তুত ছিলেন না কেউ। শুরু হয়ে যায় পথচারীদের দৌড়াদৌড়ি। নিকটস্থ দোকান ও রেস্টুরেন্টগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রীবাহী বাহনের অপেক্ষা করতে থাকেন লোকজন। সকালের বৃষ্টিহীন পরিবেশ দেখে কেউ ছাতা নিয়ে বের হয়নি। সামনে পেয়েও বৃষ্টির কারণে তাদের কেউ কেউ বাসে উঠতে পারেননি। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে দুর্ভোগে পড়লেও শীতল বাতাসে প্রশান্তি পায় নগরবাসী। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরও প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে বিদ্যুত চমকানি ও মেঘের গর্জন। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ওই মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ওই মাসে দেশের উত্তর, উত্তরপূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩ দিন বজ্রসহ মাঝারি/ তীব্র কালবৈশাখী/বজ্র-ঝড় ও দেশের অন্যত্র ৩-৪ দিন হালকা/মাঝারি কালবৈশাখী /বজ্রঝড় হতে পারে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং অন্যত্র ২-৩টি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এভাবে মে মাসেও দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
×