ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুপ্রিম কোর্টে উঠছে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

সুপ্রিম কোর্টে উঠছে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক ॥ কয়েকটি মুসলিম দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগামী বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হতে যাচ্ছে। এসব দেশের নাগরিকদের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞা বৈধ কি না, সে বিষয়ে আদেশ দেবেন বিচারপতিরা। আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের এটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা। মামলাটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার চৌহদ্দির পরীক্ষা হবে বলেও বিবেচনা করা হচ্ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প তাঁর ঘোষণায় ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এই তালিকায় শাদ থাকলেও ট্রাম্প গত ১০ এপ্রিল তা তুলে নেন। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা ট্রাম্পের অন্যান্য অভিবাসন নীতির বিষয় হাইকোর্ট কখনই আইনগত বৈধতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে—যেসব অঙ্গরাজ্য বা শহর অবৈধ অভিবাসীদের রক্ষা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, বিতাড়ন ব্যবস্থা জোরদার করা ও বৈধ অভিবাসনের লাগাম টেনে ধরা। এই নীতিগুলোই সবচেয়ে আলোচিত। ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নীতির তৃতীয় সংস্করণের ওপর শুনানি হবে রক্ষণশীল-সংখ্যাগরিষ্ঠ সুপ্রিম কোর্টে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহ পরই প্রথমবারের ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ট্রাম্পের ভ্রমণনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে হাওয়াই অঙ্গরাজ্য। তাদের মতে, ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে কেন্দ্রীয় অভিবাসন আইন এবং মার্কিন সংবিধানে যে আছে বিশেষ কোনো ধর্মের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হওয়া যাবে না তা লঙ্ঘিত হয়েছে। হাওয়াইয়ের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ডাউগ চিন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ মুহূর্তে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পরিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। বিশেষ একদল লোককে হেয় এবং সুবিধাবঞ্চিত করে এই নীতি আমাদের মূল্যবোধের ক্ষয় করছে।’ গত ৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি বাস্তবায়নের অনুমতি দেয়। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের নীতিকে সমর্থনই করবে সর্বোচ্চ আদালত। অভিবাসন-সংক্রান্ত আরেক মামলায় গত ১৭ এপ্রিল বিচারপতিরা মার্কিন আইনের একটি বিধান বাতিল করেছেন। সেই বিধানে উল্লেখ ছিল, সহিংস অপরাধে দোষী সাব্যস্ত অভিবাসীদের বিতাড়ন করতে হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ইসলামী জঙ্গিদের সন্ত্রাসবাদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জরুরি। তবে সর্বশেষ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ট্রাম্প টুইটারে বলেন, নিষেধাজ্ঞা হতে হবে বিশাল, কঠিনতর ও সুনির্দিষ্ট; তবে অর্থহীন ব্যাপারটা হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে, এটা সঠিক হবে না।
×