ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন কঙ্গোর জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:১৭, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

 স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন কঙ্গোর জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাফল্য বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে সফররত কঙ্গোর জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিলুঙ্গা কালেঙ্গা। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। এ সময় বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বড় বড় শহরগুলোতে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম পর্যায়ের তৃণমূল দরিদ্র মানুষের জন্য মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবন কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম আজ সারা বিশ্বের উদাহরণ হিসাবে দেখানো হচ্ছে। তিনি বলেন, যেখানে সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ৩২ রকমের ঔষধ পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য তথ্য সংরক্ষণ হচ্ছে এবং প্রয়োজনে রাজধানীর চিকিৎসকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত কর্মসূচিগুলোর সফল বাস্তবায়নে বিশ্বের ব্যাংকের সহায়তা কামনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বৈঠকে সহিংসতার কারণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেদেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার প্রশংসা করেন কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিশ্বের ব্যাংকের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। এসময় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের সফল পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা। বাংলাদেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের পাশাপাশি শহরাঞ্চলের বস্তিগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন আরো তৎপর হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের শহরের বস্তিগুলোর স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ মূল ভূমিকা রাখে। এই ব্যবস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে একটি সমন্বিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় কিনা সরকার তা বিবেচনা করছে। এসময় গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের বিশেষ উপদেষ্টা জোনাথান সিম্বাবাকাই, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ফয়েজ আহম্মেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোওয়ারসহ বিশ্বব্যাংকের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জাও সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করনে।
×