ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও শীর্ষে নাদাল

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

আবারও শীর্ষে নাদাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আবারও বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলেন রাফায়েল নাদাল। সোমবার সর্বশেষ প্রকাশিত এটিপি র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রজার ফেদেরারকে সরিয়ে শীর্ষস্থান দখল করলেন তিনি। নতুন করে প্রকাশিত এই র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী স্প্যানিশ টেনিস তারকার পয়েন্ট ৮.৭৭০। ৮.৬৭০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছেন সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরার। তৃতীয় স্থানে যথারীতি মারিন চিলিচ। ২০১৮ সালের শুরু থেকেই উড়ছিলেন রজার ফেদেরার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ক্যারিয়ারের ২০তম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের পর বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানও ফিরে পেয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন ফেড এক্সপ্রেস। টানা ১৭ ম্যাচে অপরাজিত থাকা ফেদেরার শেষ ছয় দিনের মধ্যে দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ পান। মায়ামি ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে অখ্যাত থানাসি কোকিনাকিসের কাছে ৩-৬, ৬-৩ এবং ৭-৬ (৭/৪) গেমে হার মানেন তিনি। ২ ঘণ্টা ২১ মিনিট লড়াই করে ফেদেরারকে হারান বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের ১৭৫ নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার থানাসি! এই হারের ফলে দীর্ঘদিন পর পাওয়া রাজত্বও হারান ফেদেরার। ফ্লোরিডার মায়ামি ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়ার পর ফ্রেঞ্চ ওপেনসহ গত বছরের মতো এবারও পুরো ক্লে কোর্ট মৌসুমেই বিশ্রামে থাকার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী ফেদেরার। এ প্রসঙ্গে থানাসির কাছে হারের পরই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘এবারও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ক্লে মৌসুমে না খেলার।’ পুরুষ এককে একধাপ এগিয়ে এসেছেন আলেক্সান্ডার জেরেভও। জার্মানির এই টেনিস তারকা মায়ামি ওপেনে দুর্দান্ত খেলেও ফাইনালে হার মানেন জন ইসনারের কাছে। তবে দুর্দান্ত খেলার কারণে পাঁচ থেকে চারে উঠে এসেছেন তিনি। তাকে জায়গা দিতে একধাপ নিচে নেমে গেছেন বুলগেরিয়ার গ্রিগর দিমিত্রোভ। এছাড়া শীর্ষ দশে সবচেয়ে বড় চমকটা উপহার দিয়েছেন জন ইসনার। মায়ামির শিরোপা জেতায় এক লাফে ৮ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে তার। প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে উঠে এসেছেন তিনি। বর্তমানে তার অবস্থান নয়ে। এদিকে, মহিলা এককে প্রথমবারের মতো ডব্লিউটিএ র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০ এ উঠে এসেছেন স্লোয়ানে স্টিফেন্সও। নতুন করে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থানও নবম। শিরোপা জয়ের পাশাপাশি র‌্যাঙ্কিংয়েও অগ্রগতি হওয়ায় স্টিফেন্সের উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফাইনালে ওস্টাপেঙ্কোর বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটা ভাল না হলেও প্রথম সেটে জয়ের পরে আমার আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। অনেক দিন ধরেই শীর্ষ ১০’এ আসার চেষ্টা করেছি। এজন্য আমি দারুণ খুশি।’ স্টিফেন্সের আগে অবশ্য র‌্যাঙ্কিংয়ে আর কোন পরিবর্তন হয়নি। এক থেকে আট পর্যন্ত সব সেই আগের মতোই। শীর্ষে যথারীতি রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ। দুইয়ে রয়েছেন ডেনমার্কের ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। চলতি মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সিমোনা হ্যালেপকে পরাজিত করেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ড্যানিশ টেনিস তারকা। তিনে আছেন স্পেনের গারবিন মুগুরুজা। চার আর পাঁচে যথাক্রমে ইউক্রেনের এলিনা সিতলিনা এবং লাটভিয়ার জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো। স্টিফেন্সের কাছে হারলেও র‌্যাঙ্কিংয়ে কোন ধরনের পরিবর্তন হয়নি লাটভিয়ার প্রতিভাবান খেলোয়াড় ওস্টাপেঙ্কোর। কেননা, ২০০৯ সালে আজারেঙ্কার পরে সবচেয়ে কম বয়সে মায়ামি ওপেনের ফাইনালে ওঠার যে কৃতিত্ব দেখান তিনি। ২০ বছর ২৯৭ বছর বয়সে শনিবার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেন জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো। তবে শিরোপা জয়ের খুব কাছাকাছি এসেও তা হাতছাড়া হওয়াতে চরম হতাশ লাটভিয়ার এই তরুণী।
×