ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৬ জুন

প্রকাশিত: ২২:১৯, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

খালেদার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৬ জুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি জন্য আগামী ২৬ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষ চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করলে ঢাকার ২য় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হোসনে আরা বেগম সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির জন্য এদিন নির্ধারণ করেন। এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়ে জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। মামলার আরেক আসামি সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার মারা গেছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী আগেই মারা যাওয়ায় তাদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের ঠিকাদার নিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র করলে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রগুলো কারিগরি ও আর্থিভাবে যাচাইয়ের জন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিমকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি শ্যান্ডং লুদি কনসোর্টিয়ামকে প্রথম, সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোর্টিয়ামকে দ্বিতীয় ও সিএমসি কনসোর্টিয়ামকে তৃতীয় করে প্রতিবেদন দাখিল করে। শ্যান্ডং লুদি কনসোর্টিয়াম চুক্তি বাস্তবায়ন না করায় সিএমসিকে একই মূল্যে ও শর্তে কাজটি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সিএমসি একই মূল্যে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করায় সময় স্বল্পতার অজুহাত দেখিয়ে আসামিরা পুনঃদরপত্র আহ্বান না করে সিএমসির দাখিল করা মূল্যে ও শর্তে তাদের কার্যাদেশ প্রদান করেন। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন পুনঃদরপত্র আহ্বান না করে সিএমসির দাখিল করা মূ্ল্যে ও শর্তে তাদের কাজ দেওয়ায় সরকারের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ ২৬ হাজার ৩৪৩ টাকা ক্ষতি হয় এবং আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে তা আত্মসাৎ করেন। ঘটনার সময় খালেদা জিয়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। তার জ্ঞাতসারেই পুনঃদরপত্র ছাড়াই সিএমসিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয় মর্মে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
×