ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে রায় মঙ্গলবার

প্রকাশিত: ০০:৩০, ১৪ মে ২০১৮

খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে রায় মঙ্গলবার

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল আবেদনের ওপর আগামীকাল মঙ্গলবার (১৫ মে) আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ রয়েছে। এ কারণে মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় (কজ লিস্ট) ৩ নম্বরে রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন। গত ৮ ও ৯ মে দুদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য ১৫ মে তারিখ নির্ধারণ করেন সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ। শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন তার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। গত ১২ মার্চ দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরে গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। আর আপিল আবেদনের সারসংক্ষেপ পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে দুদককে নির্দেশ দেন আদালত। এ ছাড়া ৮ মে ওই আপিল আবেদনের ওপর শুনানির তারিখ ধার্য করেন। উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।
×