ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

কোটা নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:০১, ১৪ মে ২০১৮

কোটা নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই : বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কোটা নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, এজন্য আন্দোলনেরও প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা-নিলামকেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আজ (সোমবার) মন্ত্রীসভার বৈঠকেও এ বিষয়ে কথা উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে চাকুরীর ক্ষেত্রে কোটা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। প্রধানমন্ত্রী কাউকে নিরাশ করবেন না। একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে, অপেক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতি তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। হয়তো শেষ পর্যন্ত কোটা সম্পূর্ণ উঠবে না। তবে একটা ব্যবস্থা হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি তাদের (যারা যুদ্ধাপরাধ, খুন, হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগে সরাসরি জড়িত ছিলেন না) ক্ষমা করে দিলাম। তবে তাদের সন্তানরা যেনো চাকরি না পায়, এমন ব্যবস্থা থাকবে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের সন্তানদের সুবিধা দেবার জন্য প্রথমে এ কোটা চালু করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালে প্রথম এই কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়। ৬৪টি জেলার জন্যও কোটা আছে। মূলত দেশের অনগ্রসর মানুষকে সুবিধা দেবার জন্যই কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সূত্রমতে প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে কোটার ব্যবস্থা রয়েছে। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা। এছাড়া প্রতিবন্ধী, জেলা কোটা এবং ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জন্য পৃথক কোটা রয়েছে। সম্প্রতি কোটা আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পেছনে বিএনপি-জামায়াত জোটের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়ার পরও কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীরা আবার সক্রিয় হওয়ায় জনমনে সন্দেহ আরও বাড়ছে। অনেকেই বলছেন, বিষয়টি নিয়ে এত তাড়াহুড়োর কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বিষয়টির একটি সুরাহা হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান, চা উৎপাদন ও ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক এবং জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ মোমেন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
×