ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিএলের গ্রুপ পর্ব যত শেষের দিকে তত নাটক বাড়ছে

প্রকাশিত: ২০:০১, ১৫ মে ২০১৮

আইপিএলের গ্রুপ পর্ব যত শেষের দিকে তত নাটক বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক ॥ আইপিএলের গ্রুপ পর্ব যত শেষের দিকে এগোচ্ছে, তত যেন নাটক বাড়ছে। সোমবার ইনদওরে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে ১০ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে আবার ফিরে এল বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। শুধু ফিরে আসাই নয়, পঞ্জাবের ৮৮ রান ৮.১ ওভারে তুলে দিয়ে নেট রানরেটও অনেক বাড়িয়ে রাখল আরসিবি। কোহালিদের এই জয়ের ফলে লিগ তালিকার অবস্থা এখন এমন দাঁড়াল যে পাঁচটি দলের (কলকাতা, রাজস্থান, মুম্বই, ব্যাঙ্গালুরু, পঞ্জাব) যে কোনও দু’টি প্লে-অফে চলে যেতে পারে। এমনকী ১৪ পয়েন্ট নিয়েও প্লে-অফে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই প্লে-অফে উঠে গিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং চেন্নাই সুপার কিংস। সোমবারের পরে তিন নম্বরে উঠে এল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চারে রাজস্থান রয়্যালস। পাঁচে নেমে এল পঞ্জাব। এই জয়ের পরে নেট রানরেটে আরসিবি (০.২১৮) এখন রাজস্থান, কলকাতা, পঞ্জাবের ওপর। মুম্বইয়ের নেট রানরেট (০.৪০৫) অবশ্য সবার চেয়ে ভাল। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচের ঘণ্টাখানেক আগে কোহলির নাম লেখা জার্সি পরে অনুষ্কা শর্মা টুইট করেছিলেন, ‘কাম অন বয়েজ।’ সেই টুইট থেকে আরসিবি-র ক্রিকেটারেরা কতটা প্রেরণা পেয়েছিলেন, তা বলা না গেলেও, এটা দেখা গেল যে এ বারের আইপিএলের সেরা ক্রিকেটটা খেললেন তাঁরা। পঞ্জাবকে ৮৮ রানে থামিয়ে দেওয়ার পরে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিলেন কোহলিরা। কোহালি অপরাজিত থাকলেন ৪৮ রানে, পার্থিব পটেল করলেন ৪০। ম্যাচের পরে অনুষ্কার টুইটের জবাবে কোহালি লেখেন, ‘অবশ্যই প্রিয়তম। আমরা আজ দেখিয়ে দিয়েছি।’ পঞ্জাবকে হারানোর পরে কোহলি বলছিলেন, ‘‘এক সপ্তাহ ধরে চূড়ান্ত নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আইপিএল। গত সপ্তাহে আমরা ভেবেছিলাম, প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছি। এখন দেখছি, আর দু’টো ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফে চলে যেতে পারি।’’ সোমবার আর অশ্বিনের দলের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই প্রায় নিখুঁত ক্রিকেট খেলেছে আরসিবি। টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার পরে উমেশ যাদবের আগুনে গতির সামনে প্রথমেই ধাক্কা খায় পঞ্জাব। উমেশের প্রথম ওভারেই ক্রিস গেইলের ক্যাচ ফেলেছিলেন পার্থিব। কিন্তু তাতে খুব একটা ক্ষতি হয়নি আরসিবির। এর পরে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে প্রথমে কে এল রাহুল (২১) এবং তার পরে গেইল (১৮) ফিরিয়ে দেন উমেশ। দু’জনেই শর্ট বল পুল করতে গিয়ে আউট হন। এ বারের আইপিএলে পঞ্জাব ইনিংসকে প্রধানত টানছিলেন রাহুল এবং গেল। দুই ওপেনারই অল্প রানে ফিরে যাওয়ার পরে পঞ্জাবের এমন কেউ ছিলেন না যিনি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন। এর মধ্যে আবার তিন ব্যাটসম্যান রান আউটও হন। উমেশ চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন এই ভারতীয় পেসার। পরে উমেশ বলেন, ‘‘আমার অস্ত্র হল গতি এবং বাউন্স। এর আগে কয়েকটা ম্যাচে স্লোয়ার বল করতে গিয়ে মার খেয়েছিলাম। তাই এ বার গতির ওপরেই জোর দিই।’’ আইপিএলে দেখা যায় বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানরা বেশির ভাগ ম্যাচ জেতাচ্ছেন। এ বারে কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, স্পিনাররাও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছেন। উমেশ দেখালেন, গতির আগুনেও বিপক্ষকে ছাই করে দেওয়া যায়। তাঁর গতির সামনে বার বার অস্বস্তিতে পড়েছিলেন গেল। সেই গতি সামলাতে না পেরেই ভেঙে পড়ল পঞ্জাব। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×