ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

৩৬ খাদ্যপণ্য ও প্রতিষ্ঠান মানহীন ॥ শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:২৫, ১৫ মে ২০১৮

৩৬ খাদ্যপণ্য ও প্রতিষ্ঠান মানহীন ॥ শিল্পমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রমজান মাসে বেশি ব্যবহৃত খাদ্য ও পানীয়ের ১৫টি পণ্য এবং ২১ প্রতিষ্ঠানের তৈরি পণ্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর মানদণ্ডে মানহীন বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। শিল্পমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে নির্ভেজাল খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইফতার ও সেহরিতে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত ২৪ ধরনের খাদ্য পণ্যের মোট ২৮৬টি নমুনা আগাম সংগ্রহ করে বিএসটিআইয়ের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৭৫টি নমুনার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৩৯টি নমুনা কৃতকার্য এবং ৩৬টি অকৃতকার্য হয়েছে। বাকি ১১১টি নমুনা পরীক্ষাধীন রয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের নমুনা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিএসটিআইয়ের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এস এম ইসাহাক আলি অকৃতকার্য পণ্যগুলো নাম তুলে ধরেন। মানহীন এসব পণ্যগুলো হচ্ছে- ড্যানিশ লাচ্ছা সেমাই, বগুড়া স্পেশাল ঘি, অরিজিনাল বাঘাবাড়ি ঘি, আফতাব মিল্ক, ঢাকা প্রাইম পাস্তুরিত দুধ, ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক (পাস্তুরিত দুধ), ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল- কোড-ডি (ড্রাম), ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল-কোড-জি (ড্রাম), ফার্টিফাইড পাম অলিন-কোড-এইচ (ড্রাম), ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল- কোড-আই (ড্রাম), ফার্টিফাইড পাম অলিন-কোড-জে (ড্রাম),ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল- কোড-কে (ড্রাম), ফার্টিফাইড পাম অলিন-কোড-এল (ড্রাম), ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল- কোড-এম (ড্রাম), ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল- কোড-পি (ড্রাম)। এছাড়া ২১টি কারখানায় আকস্মিক অভিযান চালিয়ে সেসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যে মান ঠিক নাই বলে জানান ইসাহাক আলি। কারখানাগুলো হচ্ছে- পুরানা পল্টনের রাজিব এন্টারপ্রাইজ, মতিঝিলের আলহেরা এন্টারপ্রাইজ, মিরপুরের ঢাকা ওয়াসা, মিরপুরের এন এম এন্টারপ্রাইজ, বাড্ডার এ ওয়ান ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, তেজগাঁওয়ের সমকাল ক্যান্টি, তেজগাঁয়ের ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস ক্যান্টিন, গুলশান-১ এর লাইটিং প্যালেস, গুলশান-২ এর আল নূর রেস্তোরাঁ, বারিধারার মিতু-মুক্তা হোটেল, বাড্ডার নীল ফাস্ট ফুড অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, গুলশানের মেজবান রেস্টুরেন্ট, শেরেবাংলা নগরের শিউলি হোটেল, তেজগাঁওয়ের বধুয়া হোটেল অ্যান্ড সুইটস, মালিবাগের ইউনিক ফাস্ট ফুড, তেজগাঁওয়ের অন্তর ড্রিংকিং ওয়াটার, তেজগাঁওয়ের ফেইথ ড্রিকিং ওয়াটার, দক্ষিণখানের এক্সিম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, মিরপুর-২ এর মাশাল্লা হেলথ ডেভেলপমেন্ট কোং, মর্নডিউ পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার এবং রাজারবাগের নীল গিরি মার্কেটিং কোং।
×