ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এই জনপ্রিয় বলি তারকারা কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অন্য ভাবে

প্রকাশিত: ২৩:৫০, ১৬ মে ২০১৮

এই জনপ্রিয় বলি তারকারা কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অন্য ভাবে

অনলাইন ডেস্ক ॥ শুধু অভিনয় নয়, বি-টাউনে এই তারকাদের জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে। তবে শুরুটা তেমন মসৃণ ছিল না। বলিউডে এন্ট্রি নেওয়ার আগে অনেক ঝড়-ঝাপটা সামলাতে হয়েছে এই সেলেবদের। নামজাদা ডিরেক্টরদের সহকারি হিসেবেই কেরিয়ার শুরু করেন তাঁরা। এঁদের পেশাদারিত্ব মুগ্ধ করে চিত্র নির্মাতাদের। পরে, সেখান থেকেই শুরু হয় অভিনয় জীবন। হৃতিক রোশন: ডেবিউ ছবি ‘কহো না প্যার হ্যায়’ দিয়ে বি-টাউনে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন হৃতিক। তারপরের কয়েকটি ছবি সে ভাবে দাগ না কাটলেও জনপ্রিয়তার নিরিখে বরাবরই প্রথম সারিতেই রয়েছেন হৃতিক। তবে অভিনয়ে আসার আগে সেটে বাবা রাকেশ রোশনকে অ্যাসিস্ট করতেন তিনি। সহকারি ডিরেক্টর হিসেবেই শুরু করেছিলেন পেশা। পরে, অভিনয়ের প্রেমে পড়ে যান। ইমরান হাসমি: ডেবিউ ছবি ‘ফুটপাথ’ দিয়ে শুরু করলেও বক্স-অফিসে একের পর এক হিট দিয়েছেন ইমরান। তবে শুরুতেই অভিনয় দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেননি বি-টাউনের ‘সিরিয়াল কিসার’। ফিল্মের সেটে বিক্রম ভট্টকে নানা ভাবে অ্যাসিস্ট করতেন তিনি। ‘রাজ’ ছবিতেও অ্যাসিস্টান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন ইমরান। তাঁর পেশাদারিত্ব দেখেই ফিল্মে ইমরানকে কাস্ট করার কথা ভাবেন বিক্রম। বরুণ ধবন: বলিউডে পা দিয়েই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন বরুন। ডেবিউ ছবি ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এ মিষ্টি চকোলেট হিরোর ভূমিকায় তাঁকে দেখা গেলেও পরে নানা রকম চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবিতে কর্ণ জোহরকে অ্যাসিস্ট করা দিয়েই বি-টাউনে প্রথম এন্ট্রি। পরে কর্ণই তাঁকে নিজের ছবিতে কাস্ট করেন। সিদ্ধার্থ মলহোত্র: সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন সিদ্ধার্থ। শোনা যায়, বরুণ ধবনের মতো ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবিতে তিনিও নাকি কর্ণ জোহরকে অ্যাসিস্ট করতেন। তাঁর পেশাদারিত্ব দেখেই ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবিতে তাঁকে কাস্ট করেন কর্ণ। রণবীর কপূর: সেই ১৯৯৬ সালে বলিউডে এন্ট্রি। না, অভিনয় দিয়ে নয়, ‘প্রেম গ্রন্থ’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন রণবীর। পরে ১৯৯৯ সালে বাবা ঋষি কপূরকে ‘আ আব লউট চলে’ ছবিতে অ্যাসিস্ট করেন তিনি। পরের কাজ সঞ্জয় লীলা বংশালীর সঙ্গে ২০০৫ সালে। ‘ব্ল্যাক’ ছবিতে বংশালীকে অ্যাসিস্ট করার সময়েই নজরে পড়ে যান তিনি। পরে ‘সাওয়ারিয়া’ ছবিতে তাঁকে কাস্ট করেন ভন্সালী। রণবীর সিংহ: বলিউডের হার্টথ্রব রণবীর সিংহও কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সহকারী পরিচালক হিসাবে। যশ রাজ ফিল্মসের ‘বান্টি অউর বাবলি’ ছবিতে শাদ আলিকে অ্যাসিস্ট করা দিয়ে শুরু। পরে, যশ রাজ ব্যানারের হাত ধরেই অভিনয়ের জগতে পা রাখেন তিনি। অর্জুন কপূর: ‘শক্তি’, ‘কাল হো না হো’, ‘সালাম-এ-ইশক’ নানা ছবিতে সহকারী পরিচলক হিসেবে কাজ করেছেন অর্জুন। ওজন বেশি হওয়ার কারণে কখনও হিরোর ভূমিকায় অভিনয় করবেন ভাবেননি। পরে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ‘ইসকজাদে’ সিনেমায় তাঁর স্ক্রিন প্রেজেন্স দর্শকদের মন কাড়ে। তাই অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন অর্জুন। হর্ষবর্ধন কপূর: ‘বম্বে ভেলভেট’ ছবিতে অনুরাগ কশ্যপকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন হর্ষবর্ধন। সহকারী ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতে গিয়েই অভিনয়ে হাতেখড়ি। পরে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘মিরজিয়া’ ছবি দিয়েই শুরু হয় অভিনয় জীবন। সোনম কপূর: অভিনেত্রী হিসেবে সামনে আসার আগে ক্যামেরার পিছনে থাকতেই পছন্দ করতেন সোনম। কাজও শুরু করেছিলেন সহকারী ডিরেক্টর হিসেবেই। সেটে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীকে অ্যাসিস্ট করতেন সোনম। তাঁর পেশাদারিত্বে মুগ্ধ হয়ে ‘সাওয়ারিয়া’ ছবিতে সোনমকে কাস্ট করেন ভন্সালী। সূর্য পাঞ্চোলি: নিখিল আডবানীর ‘হিরো’ ছবি দিয়েই বলিউডে এন্ট্রি। পরে ‘হেট স্টোরি ৪’-এ নজর কেড়েছেন তিনি। তবে অভিনয় শুরুর আগে সহকারী ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন সূর্য। সঞ্জয় লীলা ভন্সালীকে ‘গুজারিস’ ছবিতে অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×