ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্যাটেলাইটের ব্যয় নিয়ে গোপনীয়তা নেই : জব্বার

প্রকাশিত: ০০:৫৭, ১৬ মে ২০১৮

স্যাটেলাইটের ব্যয় নিয়ে গোপনীয়তা নেই :  জব্বার

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে কোনো গোপনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, আমরা গোপনে কিছু করিনি। বরং যত টাকার প্রকল্প তার চেয়ে ব্যয় ২০০ কোটি টাকা কম হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরটি) কার্যালয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০১৮ উদযাপনের রোডশো অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগামীকাল ১৭ মে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০১৮। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘সবার জন্য কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার ইতিবাচক ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি’। দিবসটি উদযাপনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ের সামনে থেকে রোড অ্যান্ড র্যালি শো রমনা থেকে ফার্মগেট, বিজয় স্বরণী, তেজগাঁও, সাতরাস্তা ও মগবাজার হয়ে বিটিআরসিতে ফিরে আসে। গত ১২ মে। বাঙালী জাতির জন্য স্বর্ণালী দিন বিশ্ব ইতিহাসের খাতায় লেখা এক মুহূর্ত। মহাকাশে পাড়ি জমায় দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। এরইমধ্যে এটি সংকেত পাঠাতে শুরু করেছে। ৩ দশমিক ৭ টনের স্যাটেলাইটটি পাঠাতে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়। স্যাটেলাইটটি যখন কক্ষপথের পানে ছুটে চলা শুরু করে, তখন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সরকার মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। এটা আমাদের সবার জন্য একটা গৌরবের বিষয়। কিন্তু আমরা জানতে চাই, এই প্রকল্পে কত অর্থ অপচয় হয়েছে। কত অর্থের দুর্নীতি হয়েছে। এটা বাংলাদেশের মানুষ জানার অধিকার রাখে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ব্যাপারে সব চুক্তিই প্রকাশ্যে হয়েছে। এখানো গোপনীয়তার কিছু নেই। বরং যা ব্যয় ধরা হয়, তার চেয়ে ২০০ কোটি টাকা কম হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে যেকোনো তথ্য দিতে সরকারের কোনো কৃপণতা নেই বলে জানান তিনি। গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন সংকেত পেলেও এটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছে যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়া এবং ইতালির স্পেস স্টেশন। নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বঙ্গবন্ধু-১ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পাবে গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে স্যাটেলাইটটি সেবা দেয়া শুরু করবে। স্যাটেলাইটটিতে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য এবং বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেয়া হবে। ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) সেবা, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার এবং ইন্টারনেট সুবিধাসহ ৪০ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে এই স্যাটেলাইট থেকে। সরকার আশা করছে, এ উপগ্রহ ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বাংলাদেশের।
×