ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রেলওয়ের ৭০ টি ডিজেল ইঞ্জিন ক্রয়সহ মোট ১০টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

প্রকাশিত: ০২:৫৮, ১৬ মে ২০১৮

রেলওয়ের ৭০ টি ডিজেল ইঞ্জিন ক্রয়সহ  মোট ১০টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য কোরিয়া থেকে ৭০ টি মিটার ডিজেল ইঞ্জিন ক্রয়সহ মোট ১০টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬ হাজার ২৩৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এছাড়া বিশ্বের ১১৮টি দেশে চালু রয়েছে ই-পাসপোর্ট বা ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট। ওই দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও প্রবেশ করতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট যুগে। আর এ কাজে টেকনিক্যাল এবং টেকনোলজিক্যাল দুটি সহায়তা দেবে জার্মান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভেরিডাস জিএমবিএইচ। বুধবার সচিবালায়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ। অতিরিক্ত সচিব বলেন, রেলওয়ে ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকার টেন্ডার ফাইন্যান্সের অধীনে ‘৭০টি মিটার গেজ (এমজি) ডিজেল ইলেক্ট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক পুনঃমূল্যায়নে রেসপনসিভ দরদাতা কোরিয়ার মেসার্স গুন্দাই রোটেম কোম্পানির দরপত্র অনমোদন দিয়েছে কমিটি। এজন্য ব্যয় হবে ২ হাজার ৬৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। বৈঠকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ’ শীর্ষক প্রকল্পের একটি লটের আওতায় ৪টি ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশন নির্মানের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৬ কোটি ৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এছাড়াও বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে সিলেট জোনের সিলেট সড়ক বিভাগের বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের অতিরিক্ত কাজের ব্যয় ৩৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরআগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে জানানো হয় ই-পাসপোর্ট চালুতে সহায়তা করবে জার্মানি প্রতিষ্ঠান। ফারুক আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জর্মানি গিয়েছিলেন সেখানে একটি কোম্পানির সঙ্গে সমতঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়। তারা আলোকে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের লক্ষ্যে জার্মান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভেরিডাস জিএমবিএইচ এর স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভিাগে অধিনে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃক জি টু জি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে কার্য সম্পাদনের অনুমোদন দেয়া হয়। অর্থাৎ ই-পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে জার্মান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি আমাদেরকে টেকনিক্যাল এবং টেকনোলজিক্যাল দুটি সহায়তায় তারা দিবে।
×