ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দীপংকর গৌতম

কাকা ঋত্বিক ঘটকের পথেই হেঁটেছেন

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ১৮ মে ২০১৮

 কাকা ঋত্বিক ঘটকের পথেই হেঁটেছেন

বাংলা উপন্যাসের পরিণত যুগের দিকে তাকালে আমরা প্রথমে চোখ রাখব বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। সেখানে শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের স্থান নেই। ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫), ‘কপালকুণ্ডলা’ (১৮৬৬) থেকে ‘চন্দ্রশেখর’ (১৮৭৫) প্রভৃতি উপন্যাসের দিকে তাকালে দেখতে পাই, সেগুলোর প্রেক্ষাপট থেকে পাত্রপাত্রী সবই প্রায় উচ্চবর্গের ও উচ্চবর্ণের। এখানে নিম্নবর্গের মেহনতী মানুষের স্থান নেই। এসব উপন্যাসের চরিত্ররা সামন্ততান্ত্রিক শ্রেণী থেকে উঠে আসা সব মানুষের প্রতিনিধি। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর উপন্যাসে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জায়গা দিয়েছেন উচ্চবর্গ বিধৌত উচ্চ মধ্যবিত্তের। এক্ষেত্রে ‘চোখের বালি’ (১৯০৩), ‘গোরা’ (১৯১০), ‘ঘরে-বাইরে’ (১৯১৬), ‘যোগাযোগ’ (১৯২৯) উল্লেখযোগ্য। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস রচনায় উচ্চমধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্তের টানাপোড়েন ও সংস্কারের কথা বলেছেন। তাঁর উপন্যাসের পাত্রপাত্রীরাও সামন্ততান্ত্রিক সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী। এক্ষেত্রে ‘দেবদাস’ (১৯১৭), ‘চরিত্রহীন’ (১৯১৭), ‘শ্রীকান্ত’ (১৯১৭-৩৩), ‘দেনা-পাওনা’ (১৯২৩) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এদের বাইরে উপন্যাসে গণমুখী ও মেহনতী মানুষের কথা প্রথমে তুলে আনেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিউনিস্ট রাজনীতিতে সমাজ রূপান্তরের যে প্রক্রিয়া, তিনি তা ব্যবহার করেন তাঁর উপন্যাসে এবং সমাজের তথাকথিত ‘ছোটলোক’দের নিয়ে কত বড় কাজ করা যায় তিনি তা দেখিয়ে দিলেন। তাঁর ‘কালিন্দী’ (১৯৪০), ‘গণদেবতা’ (১৯৪০), ‘কবি’ (১৯৪৪) উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় যাদের গণদেবতা তৈরি করলেন তাতে উপন্যাসের বহুকালের রচিত প্রথাগত কাঠামো ভেঙে গেল। ডোম-দলিত অচ্ছুত উঠে এলো উপন্যাসের পাত্রপাত্রী হিসেবে। এর মধ্য দিয়ে তিনি গণমানুষ থেকে তাদের লোকাচার উপন্যাসের কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করেন। এরপর আরেক মার্ক্সবাদী কথাসাহিত্যিকের উদ্ভব ঘটে। যিনি বাংলার অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে তাঁর ভাষাও গ্রহণ করেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ (১৯৩৬) উপন্যাসে তিনি নদীকেন্দ্রিক নিম্নবর্গের জেলে সম্প্রদায়ের জীবন উপন্যাসে নিয়ে আসেন। অন্যদিকে জলদাস বা জেলে সম্প্রদায়ের একনিষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হন অদ্বৈতমল্ল বর্মণ। জেলে সম্প্রদায়কে নিয়ে তার অনবদ্য রচনা ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ এ ক্ষেত্রে মাইল ফলক। নিম্নবর্গীয় আখ্যান নির্মাণে নিজস্ব ভাষার সক্রিয়তা তৈরি করেন কমলকুমার মজুমদার (১৯১৪-১৯৭৯)। তার ‘অন্তর্জলী যাত্রা’ (১৯৫৯) এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। এই ধারাবাহিকতায় উঠে আসেন এক ঝাঁক উজ্জ্বল অবয়ব। অমিয়ভূষণ মজুমদার (১৯১৮-২০০১), সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (১৯২২-১৯৭১), মহাশ্বেতা দেবী (১৯২৬-২০১৬), দেবেশ রায় (১৯২৬), অভিজিৎ সেন (১৯৪৫) যুক্ত হন এ গন্তব্যে। তারা নিম্নবর্গের জীবন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এসে প্রতিবাদী ও বিপ্লবী উপাখ্যান নিয়ে আসেন উপন্যাস-সাহিত্যে। বিশ শতকে তাদের এই ধারাকে উপন্যাসের নবযাত্রা বলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে নিম্নবর্গের, নিম্নবর্ণের, সমাজের পা-ফাটা দলিত-মথিতদের নিয়ে উপন্যাসের আসরে সব মাত্রা ভেঙে চুরমার করেন একজন সংগ্রামী ঔপন্যাসিক মহাশ্বেতা দেবী। তিনি ইতিহাস ও রাজনীতির মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে লেখেন নকশাল বাড়ির কাহিনী নিয়ে শাসক শ্রেণীর কাঁপন লাগানো রাজনৈতিক উপন্যাস ‘হাজার চুরাশির মা’ (১৯৭৪)। এই উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তিনি তার লেখ্যরীতির বদল আনেন। মহাশ্বেতা দেবীর উপন্যাসে মার্ক্সবাদী চেতনা উঠে এসেছে তার পরিবার থেকে। তার সংগ্রামের বা সংগ্রামী চেতনার স্ফুরণ ঘটেছে পরিবারের আঙিনা থেকে। সেই বিপ্লবী চেতনার ফল্গুধারায় গড়ে উঠেছে তার ‘চোট্টি মুন্ডা এবং তার তীর’ বা ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতালদের গড়ে তোলা প্রথম গণসংগ্রাম যা হুল নামে পরিচিত। তার বিশ্বাস, চেতনা ও ভাষার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে তার প্রতিবাদ-প্রতিরোধ অভিজ্ঞান। তার অন্তর্গত সংগ্রামী চেতনা তার উপন্যাসে দেখা দেয়। শোষণ-মুক্তি, শাসকের নিপীড়ন, অত্যাচার সব কিছুর বিরুদ্ধে তার শাণিত চেতনার শিল্প ভাষ্য ছিল তার উপন্যাস। দুই পারিবারিকভাবেই মহাশ্বেতা দেবী সাহিত্যবেষ্টিত পরিমণ্ডলে বড় হয়েছেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে দুটি কবিতা উপহার দিয়েছিলেন। মহাশ্বেতা দেবীর রাজনৈতিক চেতনা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আগে তার পারিবারিক পরিমণ্ডল দেখে নেওয়া জরুরী। তার বাবা মণীশ ঘটক বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিত্ব। ছোটকাকা ঋত্বিক ঘটক ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক ব্যতিক্রমী প্রতিভার শ্রদ্ধেয়জন। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। একসময় পার্টিতে তিনি ভিন্ন দলিল স্থাপন করে পার্টির সদস্যপদ হারালেও তাতে দমে যাননি। তারপরও তিনি কমিউনিস্ট হিসেবে নিজেকে দাবি করতেন। বলতেন, ‘কমিউনিস্ট চিন্তা একটি চর্চা। প্রতিনিয়ত তাকে আপডেট করতে হয়। কমিউনিস্ট হতে কোনো পার্টির ফরম ফিলাপ করতে হয় না। তার কাজ-কর্মই সে সাক্ষ্য দেবে।’ ১৯৪৩-এর মন্বন্তরের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে মহাশ্বেতা দেবীকে প্রথম আবিষ্কার করা যায় একজন রাজনৈতিক অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে। অর্থাৎ কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী হিসেবে। তিনি তখন প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তখন তিনি এই দলের ছাত্রী সংগঠন ‘এরৎষং ঝঃঁফবহঃ অংংড়পরধঃরড়হ’-এ যোগ দেন এবং দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকায় ত্রাণকাজে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির মিটিংয়ে যোগ দিতেন, পার্টির মুখপত্র ‘জনযুদ্ধ’ বিক্রি করতেন এবং সে পত্রিকার নিয়মিত পাঠকও ছিলেন। পার্টির সদস্যপদ পাওয়া সহজ ছিল না। তবে সদস্য না হয়েও কাজ করা যেত। সেভাবেই তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মূলত তখন থেকেই তার কর্মীসত্তার বিকাশ, যা পরবর্তীকালে আরও বিকশিত হয়। ১৯৪৪ সালে মহাশ্বেতা ফিরে আসেন শান্তিনিকেতনে, বিএ পড়তে। ১৯৪৬ সালে কলকাতা ফিরে গিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু তখন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পড়াশোনা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে বিশিষ্ট নাট্যকার এবং কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসার-জীবন ছিল দারিদ্র্য পরিবেষ্টিত। এ সময় মহাশ্বেতা দেবী রং-সাবান, রঙের গুঁড়া ফেরি করতেন, ছাত্রও পড়াতেন। এই জীবনযুদ্ধ তিনি শেষ দিন পর্যন্ত করেছেন। ১৯৬৪ সালে তিনি ইংরেজী সাহিত্যে অধ্যাপনা পেশায় যোগ দেন বিজয়গড় জ্যোতীষ রায় কলেজে। এরই মধ্যে তার প্রথম বই ‘ঝাঁসির রানী’ (১৯৫৬) প্রকাশিত হয়ে গেছে। পরবর্তীকালে তিনি লেখাকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। ইতিহাস তার সাহিত্যজীবনে সব সময়ই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। তিনি মনে করতেন, ইতিহাসের মুখ্য কাজই হচ্ছে একই সঙ্গে বাইরের গোলমাল, সংগ্রাম ও সমারোহের আবর্জনা এবং ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জনবৃত্তকে অন্বেষণ করা, অর্থ ও তাৎপর্য দেওয়া। এর মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে সমাজনীতি ও অর্থনীতি, যার মানে হলো লোকাচার, লোকসংস্কৃতি, লৌকিক জীবনব্যবস্থা। তার প্রথমদিকের সাহিত্যকর্মে এই প্রয়াস পরিলক্ষিত হয়। তিনি ঐতিহাসিক পটভূমিকায় খুদাবক্স ও মোতির প্রেমকাহিনী নিয়ে ১৯৫৬ সালে ‘নটী’ উপন্যাস লেখেন। এ ছাড়া প্রথম পর্যায়ে তিনি লোকায়ত নৃত্য-সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে লিখেছেন ‘মধুরে মধুর’ (১৯৫৮), সার্কাসের শিল্পীদের বৈচিত্র্যময় জীবন নিয়ে লেখেন ‘প্রেমতারা’ (১৯৫৯)। তিন. নিঃসঙ্গ জীবন, বিচ্ছেদ-বিরহ-বেদনায় তিনি নিজেকে সঁপে দেন লেখা এবং শিক্ষার ব্রতে। তার পরিবর্তিত জীবনের সঙ্গে সাহিত্যকর্মেও যে পরিবর্তন এসেছিল, এ-প্রসঙ্গে জীবন ও দর্শন নিয়ে কল্যাণ মৈত্রের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন, ‘... ‘হাজার চুরাশির মা’ লিখেছিলাম ওই সময়ে। উপন্যাসটা পড়লে বোঝা যাবে। আর ওই সময় আমি অসম্ভব ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। তার একমাত্র কারণ ছিল এটাই। মনের একটা কষ্ট চাপতে চেষ্টা করছি। হয়তো এটাই আমার জীবনে একটা টার্নিং পয়েন্ট। ওই সময় দিনে চৌদ্দ-পনেরো ঘণ্টা কাজ করেছি।... এদিকে আমি কোয়ালিটি রাইটিংয়ের দিকে মন দিলাম, অন্যদিকে আদিবাসীদের মধ্যে কাজ শুরু করলাম। এই দিকটা অবশ্যই আমার লেখা সমৃদ্ধ করতে শুরু করেছিল। একটা না দেখা ওয়ার্ল্ড, কেউ জানে না, বোঝে না। তার সমস্ত অনুভূতি, ক্ষোভ-দুঃখ আমার লেখার সঙ্গে খুব মিশে যাচ্ছিল।’ কমিউনিস্ট লেখক হিসেবে তার লেখাগুলো হয়ে উঠেছে শোষক ও শাসকের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মুক্তির ইশতেহার। ১৯৯৬-এর ডিসেম্বরে ঢাকায় আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সঙ্গে আলাপে তিনি উচ্চারণ করেন, ‘আমার প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৫৬ সালে। বইটি লিখে আমি টাকা পেয়েছিলাম। সেই থেকে আমি প্রফেশনাল লেখাতে বিশ্বাসী। লেখা আমার প্রফেশন, আমার আর কোন জীবিকা নেই। মাঝখানে কয়েক বছর কলেজে পড়িয়েছিলাম, সতেরোশ টাকা মাইনে হতো, মনে হলো যে মহাপাপ করেছি, তৎক্ষণাৎ ছেড়ে দিলাম। আমি যেন নিজের গুরুত্ব ভুলে যাচ্ছি। আসলে লেখাই আমার জীবিকা ছিল। লেখার উপজীব্য হিসেবে তিনি অধিকারহীন আরণ্যক সাঁওতাল জনগোষ্ঠী বেছে নিয়েছিলেন। তাদের জীবন-সংস্কৃতি-সংগ্রাম না-বলা অনেক কথা নিয়ে যে কথাসাহিত্যের বুনিয়াদ তিনি সৃষ্টি করেছেন তা অতিক্রম করা সম্ভব নয়। তবে তিনি যে লেখার মধ্য দিয়ে অরণ্যের মানুষকে অধিকার সচেতন করেছেন, জঙ্গল মহল, ছত্তিশগড়ে যদি তার এতটুকু হাওয়া লেগে থাকে তাহলে বলতে হবে, এখানে হয়তো ঝড় উঠবেই; যার পথ তিনি তৈরি করে গেছেন। মহাশ্বেতা দেবী অন্ত্যজ আদিবাসীদের চোখ দিয়ে জীবন ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের পুরাণকথার ভেতর দিয়ে ইতিহাস তুলে এনেছেন, যা ছিল আধিপত্য বিস্তারকারী হেজিমনি শ্রেণীর নয়, বরং শোষিত দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। প্রান্তিক কণ্ঠস্বর তুলে এনেছেন মূলগ্রোতের মানুষের সাহিত্যে, যা নিচের দিক থেকে ইতিহাসকে দেখবার ইঙ্গিত বহন করে, ওপরের দিক থেকে নয়। যা সাব-অলটার্ন স্টাডিজের অংশ হয়ে দেখা দেয়। মার্ক্সবাদে সাব-অলটার্ন শব্দটির ব্যবহার পুরনো। অ্যান্তোনিও গ্রামশি (১৮৯১-১৯৩৭) তার বিখ্যাত ‘কারাগারের নোটবুক’ বইটিতে এ-সম্পর্কিত আলোচনার অবতারণা করেন। গ্রামশির মতে, কৃষকদের পক্ষে কলম ধরতে হবে বুদ্ধিজীবীদের। মহাশ্বেতা দেবী উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক, ভৌগোলিক পরিবর্তনের সঙ্গে ভারতীয় রাজনৈতিক ইতিহাসের পরিবর্তনের ধারায় সে- দেশীয় আদিবাসী জীবনের পরিবর্তন বর্ণনা করেন। আদিবাসীদের নিয়ে বেশকিছু উপন্যাস লিখেছেন তিনি। এসব গল্প-উপন্যাসে তিনি স্রাজ্যবাদী শক্তির সামরিক নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে যেমন আদিবাসী প্রতিবাদী চরিত্র চিত্রিত করেছেন, তেমনি এদেশীয় সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার শোষণের প্রতিবাদ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরে তুলে ধরেছেন। সুতরাং কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ফরম পূরণ না করেও তিনি ছোটকাকা ঋত্বিক ঘটকের পথেই হেঁটেছেন।
×