ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাবিহা রহমান

হাল ফ্যাশন কামিজে নতুনত্ব

প্রকাশিত: ০৮:৪৬, ১৮ মে ২০১৮

হাল ফ্যাশন কামিজে নতুনত্ব

সময়ের ব্যবধানে বাঙালী নারী ও তরুণীদের পোশাকে এসেছে বৈচিত্র্য। নতুন নতুন ডিজাইন, বাহারি রং ও আরামদায়ক পোশাক তৈরিতে সবসময়ই ব্যস্ত থাকে দেশের ফ্যাশন হাউসগুলো। এবার হালের ফ্যাশন ট্রেন্ডে নতুনত্ব এসেছে কামিজ, লং কামিজ ও সেমি লং কামিজে। ফ্যাশনপ্রিয় নারীদের পছন্দের তালিকায় সিঙ্গেল কামিজ বেশ ভালভাবেই জায়গা দখল করে নিয়েছে। যাদের প্রতিনিয়তই নানা ধরনের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়, তাদের কাছে সিঙ্গেল কামিজের চাহিদাও একটু বেশি। একটু ঢিলেঢালা আর আরামদায়ক করে তৈরি করা হয় এসব কামিজ। তাই সিঙ্গেল কামিজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। তবে লং প্যাটার্নের কামিজ এখনও বেশি চলছে। পাল্টানো সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টে যায় ফ্যাশন ট্রেন্ড। প্রায় বছর পাঁচেক আগে তরুণীদের মধ্যে ক্রেজ তৈরি হয়েছিল শর্ট কামিজকে ঘিরে। এবারের ফ্যাশনের চিত্র পাল্টে গেছে। শর্ট কামিজকে হটিয়ে দিয়ে জায়গা দখল করে নিয়েছে লঙ কামিজ। বিভিন্ন বুটিক হাউস ঘুরে জানা গেছে। বর্তমান ফ্যাশনের ধারা বজায় রেখে কামিজগুলোকে লম্বা করা হচ্ছে। এগুলো লং হাতারও হয় আবার সিøভলেসও পাওয়া যায়। সিঙ্গেল কামিজের ক্ষেত্রে থ্রি কোয়ার্টার, সিøভলেস লং কামিজ টিনএজার ও তরুণীদের ভাল মানায়। কুর্তা স্টাইলের লম্বা সিঙ্গেল কামিজ এখনকার যুগের সঙ্গে মানানসই। ফ্যাশনের পরিবর্তনের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিটি ফ্যাশন হাউসে কুর্তা ও কামিজের কাটিং প্যাটার্নে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কামিজের কাটিং, কলার, লে-আউট, ছাপা, বল্গক, বুটিক, বাটিক, লেস ও এ্যাম্ব্রয়ডারি ব্যবহারসহ প্রায় সবকিছুতে ইদানীং ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। লম্বা কাটিংয়ের কামিজের সঙ্গে এখন চলছে মাঝারি কাটিংয়ের কামিজগুলো। তরুণীরা ট্র্যাডিশনাল পোশাকের পাশাপাশি এই নতুন ধারার ফ্যাশনের সঙ্গে সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়েই তৈরি হচ্ছে এ পোশাকগুলো। আর কাপড়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ভয়েল, লিনেন, ডুপিয়ান, ডবি ফেব্রিক্স। হালকা রঙের সুতি, লিনেন, খাদি আর তাঁত কাপড়ে তৈরি হচ্ছে নকশাদার সিøভলেস কামিজ আর কুর্তা স্টাইলের লম্বা কামিজ। এ বিষয়ে নবরূপার ডিজাইনার নাজমুন নাহার বলেন, লং ও সেমি লং কামিজের চাহিদা এখনও রয়েছে। বিশেষ করে তরুণীদের কাছে এর জনপ্রিয়তা বেশি। কেননা এ কামিজগুলো পড়তে যেমন আরাম, ঠিক তেমনই স্বাচ্ছন্দ্যের। আবার নিজের ইচ্ছামতো সালোয়ার, প্যান্ট বা পালাজ্জো দিয়ে এটি পরা যায়। ট্রেন্ডি কামিজে স্কিন প্রিন্ট ও ফয়েল প্রিন্ট বেশি দেখা যায়। যেগুলোর ভ্যালু এ্যাডিশনে দেখা যায় এ্যাম্ব্রয়ডারি, হাতের কাজ ও কারচুপি। নবরূপা, দেশীদশ, রং, অরণ্য, মাত্রা, যাত্রী, আড়ং, নিপুণ, সাদাকালো, প্রবর্তনা, বাংলার মেলা, কে-ক্রাফট, অঞ্জন’স, দেশাল, বিবিয়ানা, ওজি, রং, নগরদোলা, মেঘ, নিত্য উপহার প্রভৃতি বুটিক হাউস ঘুরে দেশী কাপড়ের তৈরি মেয়েদের পোশাকের মধ্যে লং কামিজ বিক্রি হচ্ছে বেশি। সালোয়ারের জমিনে নানা কারুকাজের পাশাপাশি ফুল, থ্রি-কোয়ার্টার, সিøভলেস হাতার পাশাপাশি পুরনো ধাঁচের ঘটি হাতা, ম্যাগি হাতা, কুচি দেয়া হাতার কামিজও এবার আনা হয়েছে। নতুন ডিজাইনে স্মার্ট এলিগ্যান্ট লুকের সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে ওড়ানায় থাকছে বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের সমাহার। আড়ংয়ে নানা রং-ডিজাইন কাপড় লং কামিজের দাম পড়বে ২৯০০ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত, কে ক্রাফটে ১৮০০ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা, সাদা-কালোয় থ্রি-পিসের দাম ১৬শ’ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। নগরদোলায় থ্রি-পিসের দাম এক হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার ৩০০ টাকা। বাংলার মেলায় থ্রি-পিস ১৫শ’ থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায়, নিপুণে থ্রি-পিসের দাম ১৬শ’ থেকে ৪ হাজার, বিবিয়ানায় সালোয়ার কামিজের দাম পড়বে এক হাজার ৮শ’ থেকে ৩৬শ’ টাকা, অঞ্জনস-এ কটনের থ্রি-পিসের দাম দেড় হাজার থেকে ৮ হাজার ৯০০ টাকা, দেশালের থ্রি-পিসের দাম ১৪০০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা। রঙে মেয়েদের থ্রি-পিসের দাম ১৬শ’ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। মডেল : মৌসুমী, রিতিকা ও তুলনা ছবি : তানভির পোশাক : নবরূপা
×