ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘শিক্ষাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছড়িয়ে দেয়ার আমার ইচ্ছে’

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৯ মে ২০১৮

 ‘শিক্ষাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছড়িয়ে দেয়ার আমার ইচ্ছে’

বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক, তার দিক নির্দেশনা। যুদ্ধ শেষে সামরিক বাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিয়ে পিছিয়ে পড়া নিজের এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে নিরলস সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় থেকে শিক্ষাকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে আবার গণশিক্ষা ক্ষেত্রে যুদ্ধে নামেন যিনি তিনি হলেন লালমনিহাট জেলার বর্তমান সাংসদ মোতাহার হোসেন। জনকণ্ঠকে তিনি জানান তার সেই সময়কার বিশেষ স্মৃতির কথা। নিজে চারবার লালমনিহাট জেলার সংসদ। একবার গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। কাজ করেছেন ছিটমহল নিয়ে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহারকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন। ২০০৯-১৩ সালে বিদ্যুতের জন্য ১৭৬ কিলোমিটার নতুন লাইন স্থাপন করেন। ট্রান্সফরমার স্থাপন করেন প্রায় ১২টি। ৫ মেগাওয়াট ১টি সাবস্টেশন নির্মাণ করেন। এছাড়াও তিনি নতুন গ্রিড লাইন নির্মাণ করে লালমরিহাট জেলাকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেন। প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে গণশিক্ষা কার্যক্রমকে নিজের মন আর মনন মিশিয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বারবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন সরকার প্রধানের কাছে। শিক্ষার্থীদের জন্য মিল ডে কার্যক্রম তার নিজ এলাকায় তিনিই প্রথম শুরু করেন। যা আজ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আয়োজন হয়ে উঠেছে। ২০০৯-১৩ সালে ১২টি বিদ্যালয়ে গ্রীন এনার্জি সোলার সিস্টেম নির্মাণ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন জাতিকে শিক্ষিত করতে গেলে প্রযুক্তিগত শিক্ষার বিকল্প নেই। তাইতো তিনি কৃষি ও প্রযুক্তি কলেজ স্থাপন করেন। এছাড়াও শিক্ষার হাতেখড়ি যাদের হাতেসেই সব খুদে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মাণ করেন আধুনিক প্রাইমারী স্কুল। শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন সময়োপযোগী প্রকল্প হাতে নেন এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ শেষ করেন। দেশে যখন কম্পিউটার যন্ত্রটি সহজলভ্য ছিল না। সেই সময়ে নিজ এলাকায় চারটি কম্পিউটার দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থার নতুন দিক উন্মোচন করেন। তিনি মনে করেন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে কম্পিউটার শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সরকারের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে গৃহীত পদক্ষেপকে এগিয়ে নিতে, বিদ্যালয়ে স্থাপিত ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম নিয়মিত মনিটরিং করেন। তিনি আপেক্ষের সঙ্গে জনকণ্ঠকে জানান যে, ডিজিটাল শিক্ষায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ এবং এই আধুনিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থাকে দেশের তৃণমূলে জনপ্রিয় করা যাবে এই শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ শিক্ষকদের দ্বারা। যেটা এখনও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তারই নিজ চেষ্টায় পিছিয়ে পড়া জনপদকে বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকা- পরিচালনা। শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহারে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কম্পিউটার শিক্ষাকে মনিটরিং ব্যবস্থা করা। যার ফলে দেশের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যজনকভাবে অংশগ্রহণ করছে তারই এলাকার শিক্ষার্থীরা।
×