ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শুধু জয়ের কথাই ভাবছি ॥ জ্যাক ক্যালিস

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ১৯ মে ২০১৮

শুধু জয়ের কথাই ভাবছি ॥ জ্যাক ক্যালিস

অনলাইন ডেস্ক ॥ শেষ দুটো ম্যাচ যে রকম গিয়েছে তাতে আমি স্বাভাবিক ভাবেই খুব খুশি। এটা বলব না, দুটো জয়েই একটা ধারাবাহিকতা তৈরি হয়েছে। তবে কে বলতে পারে এটাই হয়তো শুরু। প্রত্যেকটা দলেই ব্যক্তিগত দক্ষতা দেখানো ক্রিকেটার রয়েছে। কিন্তু একটা দলের সামগ্রিক ক্ষমতা যখন পরীক্ষার মুখে পড়ে এবং পাশ করে যায়, তার চেয়ে আনন্দের কিছু হয় না। চলতি মরসুমে আমি সে রকমই কয়েকটা মুহূর্ত বেশ উপভোগ করেছি। যেমন রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচটায় ওরা একটা সময় চার ওভারে ৫৯-০ ছিল। এই অবস্থায় যে কোনও দলেরই চাপে পড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে আমাদের দলের ক্ষেত্রে সে রকম হয়নি। সবাই শান্ত এবং লক্ষ্যে অবিচল ছিল। নিজেদের উপর বিশ্বাসটা ধরে রেখে এর পরে আমাদের ক্রিকেটাররা পাল্টা লড়াই শুরু করে। ইডেন গার্ডেন্সের পিচও তখন কিছুটা স্পিন বোলিংকে সাহায্য করছিল। আর আমাদের দলে তো বিশ্বসেরা স্পিনাররা রয়েছে। এর পরের ম্যাচেও আশা করি আমাদের পরিকল্পনা প্রায় একই থাকবে। আরও শান্ত থাকা, পরিষ্কার ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা ধরে রাখা এবং আরও নিষ্ঠুর ভাবে আমাদের দক্ষতাগুলো মাঠে প্রয়োগ করা। যে কোনও দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি আমরা। প্লে-অফের দৌড়ে কে যেতে পারে কে যেতে পারে না, এই নিয়ে অনেক রকম অঙ্ক শুনছি। এ সব দেখার পরে আমার মাথায় শুধু একটাই কথা ঘুরছে, আমরা পরের ম্যাচে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে হারলে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে যেতে পারি। তবে এই ম্যাচটায় জিতলে আমরা নিশ্চিত ভাবে আমরা প্লে-অফে পৌঁছে যাব। তাই সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ম্যাচটা ফাইনাল ভেবে খেলতে হবে। শুধু এটা নয় এই পর্যায় থেকে এর পরে প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের ফাইনাল ভেবে খেলতে হবে। হায়দরাবাদে বিমান থেকে নেমে স্বস্তি ফিরল। এতক্ষণ আকাশে ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝড় আর দুর্যোগে আমাদের বিমানটা ঘুড়ির মতো মনে হচ্ছিল। আমাদের বিমানটা মাটিতে নামার সময় দলের কয়েক জন তরুণ ক্রিকেটারের মুখ ভয়ে কিছুটা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে দেখলাম। অবাক লাগে ভাবলে, এ রকম কঠিন পরিস্থিতিতে কী করে চালক বিমানের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন। এখন সময় দলের সিনিয়রদের মাঠে নেতৃত্ব দেওয়ার। আর তরুণদের প্রয়োজনীয় আগুনটা জোগানো, যাতে আমরা টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে পারি। কেউই প্রতিযোগিতা থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যেতে চায় না। আমার মনে হয় এ বার আমরা এই পর্যায় পর্যন্ত আসতে দুর্দান্ত খেলেছি। এ রকম হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আইপিএল মরসুম এর আগে কোনও বার দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। তাই অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এই মুহূর্তে আমাদের মেডিক্যাল স্টাফদের পরিশ্রমের সময়। যাতে ম্যাচের দিন সুখবরটা দিতে পারে তাঁরা— ‘‘দলের সবাই সুস্থ, ম্যাচে নামার জন্য প্রস্তুত।’’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×