ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অতঃপর রূপসা থেকে তুরাগ -জাফর ওয়াজেদ

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ২১ মে ২০১৮

অতঃপর রূপসা থেকে তুরাগ -জাফর ওয়াজেদ

রূপসা তীরের মানুষরা অধিকতর সহনশীল। ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা যেন তারা। তাই নির্বাচন এলে তারা মাতে উৎসবে। হানাহানি, মারামারি, সংঘর্ষ পরিহারে সব সময় যেন এককাট্টা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নিজেরাও বদ্ধপরিকর যেন। মতানৈক্য যতই থাক, অনেক ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে ঐক্যের ছাপ দেখা যায়। সেই রূপসা তীরের খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়েছে সহিংসতামুক্ত, অবাধ ও স্বচ্ছ। সুষ্ঠু নির্বাচনের একটা নিদর্শনও দেখিয়েছে। গণমাধ্যমগুলো শুধু নয়, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোও বলেছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাসময়ের তৎপরতায় তা বিস্তৃত হতে পারেনি। বরং পরিস্থিতি স্বাভাবিকই থেকেছে। অথচ এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগাম যেসব ভাষ্য প্রদান করা হয়েছে তাতে ধারণা হয়েছিলÑ সহিংসতার আবরণে নির্বাচন হবে সংঘাতময়। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। দলমত-নির্বিশেষে ভোটাররাও এমন পরিবেশে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পেরে তাদের সন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেছে। পরাজিত প্রার্থীরাও বলতে পারেনি নির্বাচনে সরকারী হস্তক্ষেপ বা প্রভাবের কথা। ভোট কারচুপি, ফলাফল ঘোষণায় অনিয়মের কথাও কারও মুখ থেকে উচ্চারিত হয়নি। কিন্তু ঢাকায় বসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট খুলনার ভোটে বল প্রয়োগ হয়েছে; ভোটারদের ভোট দানে বাধা দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য শুধু করেননি, এসব ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ নির্বাচনে তিনি হতাশ হয়েছেন। যে কোন মূল্যে জিততে চাওয়া আসলে কোন জয়ই নয় বলে মন্তব্যও করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে বার্নিকাট বলেছেন, নির্বাচন তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই পর্যবেক্ষণ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে কিনা তা জানাননি। ঢাকায় বসে আমরা যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি, তাদের কাছে এমনটা দৃশ্যমান বা মনে হয়নি যে, হতাশ হওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প-হিলারির নির্বাচনের সময় যা ঘটেছে, তা বিশ্ববাসী দেখেছেন। রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে যে তুলকালাম কা- ঘটেছে, তার রেশ এখনও চলছে। পপুলার ভোটে হিলারি এগিয়ে গেলেও ইলেক্ট্রোরাল কলেজের ভোটে জিতেছেন ট্রাম্প। সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে কিনা, সে নিয়ে এন্তার প্রশ্ন এবং অভিযোগের বহর কম ছিল না। নিজ দেশের এমন বিতিকিচ্ছিরি নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ বার্নিকাটের কাছে খুলনা সিটি নির্বাচন কেন হতাশ করেছে, তার কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। ভোটে বলপ্রয়োগের ঘটনাকে তিনি যেভাবে প্রাধান্য দিচ্ছেন, এমনকি ভোটদানে বাধা প্রদানের যে কথা তিনি বলছেন, তাতে পুরো নির্বাচনেরই বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না। বার্নিকাটের মতো আমরাও মনে করি সুষ্ঠু, অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন একটি স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। বার্নিকাট যা বলেছেন, তা নির্বাচনে পরাজিত বিএনপির ভাষ্যেরই প্রতিধ্বনি। তারা বলেছে, নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও জোর করে সিলমারাসহ বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে। অবশ্য নির্বাচনে হেরে গিয়ে ক্ষোভ আর হতাশায় মূহ্যমান বিএনপি যেসব অভিযোগ এনেছে, তার চর্চাটা তাদের হাত দিয়েই শুরু হয়েছে এদেশে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারী ও রাজাকার পুনর্বাসনকারী জান্তা শাসক জিয়া ‘হ্যাঁ-না’ ভোট নামক গণভোটের আয়োজন করে এদেশে ভোট নামক কার্যক্রমকে যেভাবে দলিতমথিত করেছেন, তাতে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করে তুলেছেন। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তছনছ করে শাসকদের অনুকূলে যায় এমন ব্যবস্থাই করেছেন। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের নির্বাচনে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। অস্ত্র উঁচিয়ে ‘সংখ্যালঘু’ সম্প্রদায়ের ভোটারদের হুমকি দেয়া হয়েছিল ভোটের আগের রাতেই, যাতে তারা ভোট কেন্দ্রে না যায়। অনেক কেন্দ্রে আগের রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স বোঝাই করা হয়েছিল। এমনও হয়েছে তাদের দৌরাত্ম্যের মধ্যেও যারা ভোটে জিতেছে, ‘মিডিয়া ক্যু’-এর মাধ্যমে তাদের হারিয়ে দেয়া হয়েছিল। জিয়া আসন বণ্টন করেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধী জামায়াতীরাও আসন পায় ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগ নামক দলের আড়ালে। মুসলিম লীগসহ একাত্তরের পাকিস্তানপন্থী দলগুলোকে পুনর্বাসন কাজটি জিয়া করেছেন স্বজ্ঞানে। জিয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নামক যে প্রহসনের আয়োজন করেছিলেন, তাতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল হেকিমী ওষুধ বিক্রেতা, ভুঁইফোড় লোকজন। যাদের অনেকের কথাবার্তা, আচরণ হাসির খোরাক হয়েছিল। জিয়া বিপুল ভোটে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে পরম তৃপ্তি লাভ করেছিলেন। একাশি সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিচারপতি সাত্তার বিএনপি প্রার্থী ছিলেন। ভোটকেন্দ্র দখল, জালভোট, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান ইত্যাকার সবই ঘটানো হয়েছে। অন্যান্য প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদেরও কেন্দ্রে থাকতে দেয়া হয়নি। প্রিসাইডিং অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, ভোটের সংখ্যা বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে বাড়ানোর জন্য। এরপর এরশাদ যুগে ‘মার্শালক্যু’র চর্চা হয়েছে। ভোটকে প্রহসনে পরিণত করে এরশাদ যা করেছে, তা পূর্বসূরি জিয়া, সাত্তারের পদাঙ্ক অনুসরণ বলা যায়। ভোটকেন্দ্র সশস্ত্র পন্থায় দখলের মহড়া দেখা গেছে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের সংসদ নির্বাচনে। ভোটে বিরোধীদলের প্রার্থীরা জয়ী হলেও তাদের মিডিয়াক্যু’র মাধ্যমে পরাজিত ঘোষণার কাজটি সুচারুরূপে করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই হাল জিয়া-এরশাদ হয়ে খালেদা যুগেও বহাল ছিল। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন তথা উপজেলা, পৌরসভা, ইউপি নির্বাচনগুলোতে সহিংসতা, সংঘর্ষ শুধু নয়, এন্তার প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে সে আমলে। জনগণের ভোটাধিকার হরণের শুধু নয়, নির্বাচিত প্রার্থীকে পরাজিত হিসেবে ঘোষণাও করা হতো। জনগণের ভোটাধিকার কেনা-বেচার সামগ্রীতেও পরিণত করা হয়েছিল। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা ও ক্ষমতায় পুনর্বহাল হওয়ার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এসব কাজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়ক শক্তিতে নামতে বাধ্য হয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল। বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রার্থীদের তারা কেন্দ্রেও আসতে দেয়নি। দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, হামলা চালিয়ে আহত করার ভূরি ভূরি ঘটনা ঘটে। অনেক মানুষ ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যায়নি। কিন্তু তাদের ভোট ঠিকই বাক্সে জমা পড়েছে। দুর্বৃত্তরা ভোট কেন্দ্র আগে ভাগেই দখল করে নেয়। এসব কারণে ভোটের উৎসব পরিণত হয়েছিল নরকগুলজারে। ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও উৎসাহ স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেগম জিয়ার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি ছিল সর্বকালের সেরা প্রহসনের। কিন্তু সেই সংসদ দু’মাসও টেকেনি গণরোষের কারণে। বার্নিকাট যদি সেদিনের সেসব দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করতেন, তবে তিনি গভীর হতাশার অতলে নিমজ্জিত হতে পারতেন। সেদিনের তুলনায় এবার খুলনা সিটি নির্বাচনে তেমন কিছুই ঘটেনি। তিনটি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে। আর সে কারণে সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে শুধু মেয়র পদে নয়, কাউন্সিলর পদেও ভোট হয়। এই কাউন্সিলরের সমর্থকরাই অতি উৎসাহী হয়ে ভোটে বলপ্রয়োগের ঘটনা দু’একটি ঘটিয়েছে। কিন্তু মেয়র নির্বাচন নিয়ে তেমন ঘটনা ঘটানোর সুযোগ ছিল না। কাউন্সিলররা নিজ নিজ আসনগুলো নিজেদের পক্ষে রাখার চেষ্টা যে করেনি, তা নয়। তাই দেখা যায়, কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বিজয়ী হয়েছে। একতরফা ভোট হলে অন্য দলের প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার কথা নয়। বাস্তবতা এই যে, নির্বাচনে দলীয় কোন্দল না থাকায় সুফল পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ভোটারদের মধ্যে তারা সাড়া জাগাতে পেরেছিল। যা পারেনি কুমিল্লা ও রংপুর সিটির মেয়র পদের নির্বাচনে। সেখানে হেরেছিল। খুলনা নগরীকে উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে আনার আগ্রহ ছিল ভোটারদের মধ্যে। কারণ গত চার বছরে বিএনপির নির্বাচিত মেয়র নগরবাসীকে কিছুই দিতে পারেননি। তদুপরি দলীয় কোন্দল ছিল তীব্র। ভোটের আগে দলগত সংহতি তৈরি করতে পারেনি বিএনপি। আর আওয়ামী লীগ ছিল ঐক্যবদ্ধ। যা কুমিল্লা ও রংপুরের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। খুলনায় আওয়ামী লীগ নগরীর উন্নয়নের কথা ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে পেরেছিলেন। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী স্থানীয় বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে বেগম জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় রাজনীতিকে গুরুত্ব দেয়ায় তা জনগণের মধ্যে কোন রেখাপাত করেনি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইলেকশন ওয়ার্কিং। গ্রুপ তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, নির্বাচনে কিছু বিচ্ছিন্ন সহিংসতা এবং নির্বাচনী অনিয়মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনার ব্যাপকতা বেশি না হওয়ায় তা ভোটের ফলাফল পরিবর্তনে কোন প্রভাব ফেলেনি। কোন অনিয়ম না হলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীই বিজয়ী হতেন। নির্বাচনে হেরে গিয়ে বিএনপি যেসব অভিযোগ উত্থাপন করছে, তা কতটা ধোপে টেকে, তারা তা জানে। তাই অপ্রাসঙ্গিকভাবে অর্বাচীনের মতো মওদুদ আহমদ আর কোন বিষয় না পেয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি তুলেছেন। অথচ এই কমিশন গঠন হয়েছে সকল দলের মতামতের ভিত্তিতেই। কিছু বলতে হয় বলে বলা আসলে। দলীয় কোন্দলের প্রসঙ্গটি বিএনপি মুখে না আনলেও ভোটারদের তো তা জানা। রূপসা পাড়ের শান্ত মানুষেরা মওদুদ, রিজভী, ফখরুল এবং তাদের ভাষ্যে প্রভাবিত বার্নিকাটের বক্তব্য তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। দেয়ার কথা নয়। কুমিল্লা নির্বাচনেও বিএনপি ভোটগ্রহণের সময় কারচুপির অভিযোগ এনেছিল। কিন্তু বিজয়ী হওয়ার পর সে নিয়ে উচ্চবাচ্যও করেনি। রূপসা পাড়ের মানুষ ভুল করেছে বলা যাবে না। তারা নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। রূপসার পথ ধরে তুরাগ তীরের গাজীপুর সিটি নির্বাচন সামনে। একই দিনে দুটি নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মামলার কারণে গাজীপুর নির্বাচন পিছিয়ে গেছে। গাজীপুরের পর সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে লড়াই হবে। গাজীপুরে বর্তমানে মেয়র পদে রয়েছে বিএনপি। কিন্তু গাজীপুরের উন্নয়নে তেমন কোন অবদান রাখতে না পারায় তারা প্রার্থী বদল করেছে। প্রবীণ নেতাকে প্রার্থী করেছে। বিপরীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নবীন। নবীন-প্রবীণের লড়াই এটা নয়। পুরোটাই রাজনীতিক। রাজধানীর নিকটবর্তী এই এলাকার নির্বাচন হবে আরও মাসখানেক পর। এই নির্বাচনে আগাম কারচুপির আশঙ্কা করছে বিএনপি। রূপসার ঢেউ যদি তুরাগে এসে প্রবাহিত হয়, তবে সরকারী দলের প্রার্থীর বিজয় লাভ সহজতর হবে। নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত সবকটি সিটি নির্বাচনে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে পেরেছে। কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ক্রমশ বাড়ছে। নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার জন্য তারাও মরিয়া। বার্নিকাটের অভিযোগগুলো নিশ্চয় তারা খতিয়ে দেখবেন। এবং বক্তব্য যে অসার, তা প্রমাণে এগিয়ে আসবেন। চলতি বছর নির্বাচনী বছর। আর সাত মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচনগুলো ‘ড্রেস রিহার্সেল’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলো সহনশীল হলে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ হোক, তা কারও কাম্য নয়। জিয়া-এরশাদ-খালেদা স্টাইলের নির্বাচনের পুরনাবৃত্তি জনগণ চায় না। সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। জনগণ সব অবলোকন করছে।
×