স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ আ...ররর...রা...বি, আ...রা...বি এমন কথার টানা সুরের হাঁকডাকে বুঝে নিতে হয় আশপাশেই ইফতারের প্রিয় ফলটি আছে। ইতিউতি তাকাতেই দুই চারটা মৌমাছি আপনার শরীরে ছোঁয়া দিয়ে উড়ে যাবে। ভয় নেই এই মৌমাছি হুল ফোটাবে না। মনে করতে পারেন কাক্সিক্ষত ফলটি কেনার জন্য স্বাগত জানাচ্ছে। যার নাম খেজুর। রমজানের ইফতারে খেজুর থাকবে না তা কি হয়!
নিকট অতীতে ইফতারে খেজুর থাকতেই হবে এমনটি কখনও ছিল না। কালেভদ্রে স্থান পেত। তখন এত খেজুর পাওয়াও যেত না। গ্রীষ্মের রমজানে কাঁচা ছোলা বুট, সিদ্ধ বুট, পেঁয়াজু, মসুর ডালের বড়ার সঙ্গে আম কাঁঠাল লিচু পেয়ারা কেসুর শসা থাকত। রোজাদার ইফতার শুরু করতেন কুচি করে কাটা সামান্য আদা লবনে মেখে মুখে দিয়ে। তারপর কাঁচা ছোলা বুট এবং পর্যায়ক্রমে পছন্দের ইফতার। বর্তমানে খেজুর মুখে দিয়ে ইফতার শুরু করা হয়। আতœতৃপ্তি পাওয়া যায়, আরব দেশের খেজুর মুখে দিয়ে পবিত্র মাসের ইফতার খাওয়া হচ্ছে। দোকানিরাও রমজান মাসকে সামনে রেখে অনেক আগেই খেজুর আমদানি শুরু করে। যার রেশ চলে অনেকটা সময়।
খেজুরের নামও অনেক। মদিনা, জাহেদী, নাদাল, দাবাস, লুলু, মরিয়ম, মাদরুম, রেডিস, ফরিদা ইত্যাদি। গোলাকৃতির বড়ইয়ের মতো এক ধরনের খেজুরের নাম বড়ই খেজুর। কোন খেজুর প্যাকেটে ভরে আসে। প্রতিটি প্যাকেটে থাকে ৫শ’ গ্রাম করে। কিছু আসে খাচিতে। কিছু বস্তায়। প্যাকেট খেজুরের দাম বেশি। প্রতি কেজি ৪শ’ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। নানা জাতের অন্যান্য খেজুরের কেজি নিচে ১২০ টাকা। সাধারণ ক্রেতা ১২০ টাকা থেকে ৫শ’ টাকা কেজির মধ্য খেজুর কিনছে। খেজুর নিয়ে বিড়ম্বনাও আছে কিছুটা। কেমন খেজুর কিনছেন তা পরখ করার সুযোগ কমই থাকে। কারণ খেজুর সবই আমদানি করা। তারপরও খেজুর বলে কথা!