ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধরন অনুযায়ী চুলের কাট ও যত্ন

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২১ মে ২০১৮

ধরন অনুযায়ী চুলের কাট ও যত্ন

চুল প্রত্যেক মানুষের খুব অমূল্য সম্পদ। চুল নিয়ে কত গবেষণা আর কাট-ছাট। একেক সময় একেক স্টাইল। শেষ নেই চুল নিয়ে স্টাইলের। কেউই প্রথম অবস্থায় নিজের চুলের ছাঁট পছন্দ করে না। তার মানে এই নয়, আপনি কখনই চুল কাটিয়ে খুশি নন। তবে শুরুতেই চুলের কাটের প্রতি শতভাগ ভাললাগা কাজ করে এটা বেশ দুর্লভ। সাজসজ্জাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই সমস্যার মূল কারণ হিসেবে জানা যায় যে, আমরা নিজেদের চুলের ধরন না বুঝেই চুল কেটে থাকি। প্রতিবেদনে চুলের ধরন ভেদে মানানসই কাট নির্বাচন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। ঘন চুল : এই ধরনের চুলে স্টাইল করা সবচেয়ে সহজ। এমনকি এটা কখনই আপনার অমতে গিয়ে নিজের মতো আচরণ করবে না। চাইলে সাধারণ বব অর্থাৎ সামনে লম্বা রেখে পিছনে ছোট করে কাটতে পারেন। যাদের মুখের গড়ন ডিম্বাকার অথবা হৃদয় আকৃতির তাদের সঙ্গে এই চুলের কাট বেশি মানানসই। চাইলে লম্বা লেয়ারের পরিবর্তে গোলাকারভাবে কেটে রাখতে পারেন। এতে চুলের বাড়তি ঘনত্ব বোঝা যাবে। পাতলা চুল : গোলাকার চুলের কাট এই ধরনের চুলের সঙ্গে বেশি মানানসই। এতে চুল প্রাকৃতিকভাবেই ঘন দেখায়। চুলের নিচের দিকে পাতলাভাব দূর করতে ছোট করে কাটা ভাল। কেননা পাতলা চুল বড় হলে নিচের দিকটা দেখতে অগোছালো দেখায়। অসমভাবে জনপ্রিয় ‘লব কাট’ কাটা যেতে পারে। এতে আপনাকে দেখতে বেশ কোমল ও চটপটে লাগবে। পাতলা লম্বা চুলে ঘনভাব আনতে ‘লেয়ার কাট’ সবচেয়ে মানানসই। যদিও এটা সুন্দর চুলের মতো দেখাবে না। তারপরও এটাই সবচেয়ে ভাল উপায়। লম্বা চুল গোলাকারভাবে কাটা হলে তা দেখতে ঘন লাগে এবং সামনের অংশ অসমানভাবে অর্থাৎ খোঁচাখোঁচাভাবে কেটে নিতে পারেন। কোঁকড়া চুল : নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে বেশি কষ্টকর ও যতেœর প্রয়োজন হয়। তাই বলে তো আর হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কোঁকড়া চুলের অধিকারীদের বন্ধু হলো লেয়ার কাট। মুখের সামনের অংশের চারপাশে ধীরে ধীরে চুলের স্তর কাটা অথবা সামনে লম্বা লেয়ার কেটে পেছনে কৌনিক লব কাটা এবং পেছনের দিকে ছোট করে কেটে নিতে পারেন। আপনার চুল যদি অনেক বেশি কোঁকড়া হয় তাহলে চুলে লম্বা লেয়ার কাটুন এটা আপনার চুল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। ঢেউ খেলানো চুল : এই ধরনের চুল দিয়েই সবচেয়ে ভালো স্টাইল করা যায় যদি তার ঠিক মতো পরিচর্যা করা হয়। প্রাণবন্ত ভাব আনতে চুলে অসমান কাট দিতে পারেন। অথবা চাইলে কাঁধের নিচ পর্যন্ত লম্বা ঢেউ খেলানো চুল রাখতে পারেন। এটা কেবল ঐতিহ্যবাহী না বরং এতে খুব সহজেই স্টাইল করা যায়। কেবল চুল পেঁচিয়ে কাটা দিয়ে নিন এবং এরপর তাতে সামুদ্রিক লবণের স্প্রে ছড়িয়ে নিন এতেই আপনি বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি। সোজা চুল: আপনার সোজা চুলের জন্য যত মানুষই হিংসা করুক না কেনো, কেবল আপনিই বলতে পারবেন যখন চুলের অবস্থা ভালো থাকে না তখন কী পরিমাণ যন্ত্রণা পোহাতে হয়। এই সমস্যা এড়াতে চুলের পেছনের দিকে গোলাকার ও সামনে ব্যাঙ কাট দিন। এতে চুলে আসবে বাড়তি ঘন ভাব। যদি চুল ছোট রাখতে চান তাহলে কাঁধ পর্যন্ত লম্বা ‘বব কাট’ অথবা ‘পিক্সি কাট’ বেছে নিতে পারেন। রূপচর্চাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে আরও চুলের সঙ্গে প্রতিনিয়ত করা ভুলগুলো সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললেই চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব। ভেজা চুল নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া : বাসা থেকে ভেজা চুল নিয়ে বের হওয়া মানে হলো স্বেচ্ছায় চুলের ক্ষতি করা। ভেজা চুল নিয়ে বের হলে তা দূষণে আক্রান্ত হয় এবং চুল শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে ধুলাবালি বা ময়লা ভালভাবে মাথায় বসে যায়। তাই চেষ্টা করুন চুল শুকিয়ে বাসা থেকে বের হতে। অতিরিক্ত চুল আঁচড়ানো : আমরা চাই চুল কোমল ও মসৃণ থাকুক। তার মানে এই নয় যে সারাক্ষণই চুল আঁচড়াতে হবে। অতিরিক্ত ব্রাশ করলে চুল সহজে ভেঙে যায়, আগা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি জট ছাড়ানোর সময় অতিরিক্ত সচেতনতারও প্রয়োজন পরে। চুল ভাঙা ও ছিঁড়ে যাওয়ার সমস্যা এড়াতে প্রথমে জট ছাড়ান। তারপর সম্পূর্ণ চুল আঁচড়ান। চিরুনি পরিষ্কার না করা : এ কাজটা বেশ বিরক্তিকর। তারপরও সবারই এটা করা উচিত। শ্যাম্পু ও পানি দিয়ে চিরুনি পরিষ্কার করুন। এতে চিরুনিতে জমে থাকা ময়লা ও তেল দূর হয়ে যাবে। নিশ্চয়ই চান না যে আপনার চুলে চিরুনির ময়লা বসে যাক। আর প্রতিবার আঁচড়ানোর পরে চিরুনির গায়ে আটকে থাকা চুল জমিয়ে না রেখে ফেলে দিন। মাস্ক ব্যবহার না করা : চুল সুন্দর রাখার জন্য নিয়মিত পরিচর্যার প্রয়োজন। ভেতর ও বাইরে থেকে চুল সুস্থ রাখার জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান সরবারহ করা উচিত। সপ্তাহে একবার চুলের মাস্ক ব্যবহার করা হলে তা চুলের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করবে। আর সামনের সপ্তাহের জন্য চুলকে মসৃণ রাখবে। প্রতিদিন চুল ধোয়া : প্রতিদিন চুল ধোয়া হলে এর প্রাকৃতিক তেল কমে যায়। চুল নির্জীব, শুষ্ক ও রুক্ষ মনে হয়। চুল খুব বেশি চিটচিটে মনে হলে শুষ্ক শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
×