ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীর কাওরনবাজারে ৩৫০ কেজি অপরিপক্ব আম জব্দ

প্রকাশিত: ০২:৪৪, ২১ মে ২০১৮

রাজধানীর কাওরনবাজারে ৩৫০ কেজি অপরিপক্ব আম জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবারও রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ফলের আড়ত থেকে অপরিপক্ব আম জব্দ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ডিএমপি’র ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে সোনার বাংলা বাণিজ্যালয়ের মোট ৩৫০ কেজি আম জব্দ করা হয়। এর ৬ দিন আগে র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত একই ফলের আড়তে ৪০০ মণ আম জব্দ করেন। ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান জানান, আমগুলো অপরিপক্ব ছিল। সরকার নির্ধারিত তারিখের আগেই গাছ থেকে আম পেড়ে এখানে বিক্রি করা হচ্ছিল। সোমবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে অভিযানের শুরুতেই সোনার বাংলা বাণিজ্যালয়ে যান তিনি। এ সময় প্রতি ক্যারট থেকে ২-৩টি করে আম নিয়ে নিজেই ছুরি দিয়ে মাঝখান থেকে কেটে পরীক্ষা করেন। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইর ফিল্ড অফিসার এ এফ এম হাসিবুল হাসান। এ সময় অনেক আম আটিসহ মাঝ বরাবর দু’ভাগ হয়ে যাওয়ায় সেগুলোকে অপরিপক্ব হিসেবে শনাক্ত করা হয়। পরে তা জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়। আমগুলোর ভেতরে হালকা হলুদ ও সবুজ রংয়ের আর আঁটিগুলো সম্পূর্ণ সাদা। অপরিপক্ব আম বিক্রির অভিযোগে দোকানের ৩৫০ কেজি আম (২৫ কেজি করে ১৪ ক্যারট) জব্দ করে সেগুলো বিনষ্ট করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের সময় সোনার বাংলা বাণিজ্যালয়ের মালিক কিংবা কর্মচারী কাউকে দোকানে পাওয়া যায়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংবাদ পেয়ে অন্যান্য আড়তদার ও ব্যবসায়ীরাও পালিয়ে যান। পরে পক্ষ থেকে আড়তের মালিক হাজী মোহাম্মদ মহাবুবুল আলম বাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। আমের আড়তে অভিযান শেষে মশিউর রহমান জানান, গোডাউন থেকে উদ্ধারকৃত অধিকাংশ আম অপরিপক্ব ও এর আঁটি নরম। এগুলো সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই গাছ থেকে পেড়ে এনে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই আমগুলো বিনষ্ট করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিএসটিআইর প্রতিনিধি ছাড়াও অর্ধশতাধিক সশস্ত্র পুলিশ সদস্য নিয়ে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। এর আগে গত ১৫ মে কারওয়ান বাজারের একই আড়ৎ থেকে আমে ক্ষতিকারক ইথোফেন হরমোন স্প্রে করার দায়ে আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে (সর্বনিম্ন ১ মাস ও সর্বোচ্চ ৩ মাস) কারাদণ্ড দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। ‘আম ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী, চলতি মাসের ২৫ মে গোপালভোগ, হিমসাগর ও ক্ষিরসাপাতি ২৮ মে বাজারে আসবে। আগামী ১ জুন লক্ষণভোগ, ৫ জুন ল্যাংড়া ও বোম্বায়, ১৫ জুন আম্রপালি, ফজলী ও সুরমা ফজলী বাজারে আসবে। মৌসুম শেষের আশ্বিনা আসবে ১ জুলাই থেকে।
×