ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বীমা এজেন্ট কমিশনের উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশিত: ০২:৪৪, ২১ মে ২০১৮

বীমা এজেন্ট কমিশনের উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বীমা শিল্প বিকাশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে বীমা এজেন্ট কমিশনের বিপরীতে ১৫ শতাংশ উৎস কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে সংগঠনের কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি ড. রুবিনা হামিদ, মনিরুল হক, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, ডেল্টা লাইফের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন পাভেল প্রমুখ। শেখ কবির হোসেন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বীমার এজেন্ট কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ উৎসে কর আরোপ করেছে। এই করের কারণে বীমা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বীমা শিল্প বিকাশে দ্রুত এজেন্ট কমিশন কর বাতিল করা উচিত। তিনি বলেন, এজেন্টরা বীমা কোম্পানির কাছ থেকে যে কমিশন পেয়ে থাকে। ওই কমিশন হল এজেন্টদের আয়। এই আয়ের উপর তারা ৫ শতাংশ আয়কর দিয়ে থাকেন। ফলে তার আয়ের উপর নতুন ১৫ শতাংশ এজেন্ট কর দিলে এটা দ্বৈতকরের সামিল। বিআইএ‘র সভাপতি বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানি ২৫ শতাংশ হারে করপোরেট কর দিচ্ছে। অথচ বীমা কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ৪০ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হচ্ছে। তাই, বীমা শিল্প বিকাশে করপোরেট কর কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি। শেখ কবির হোসেন বলেন, পুন:বীমা প্রিমিয়ামের ওপর মুসক প্রযোজ্য নয়। বীমা কোম্পানিগুলো প্রিমিয়াম নিলেই গ্রাহকের কাছে ১৫ শতাংশ হারে মুসক নিয়ে সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হয়। এই প্রিমিয়ামেরই একটি অংশ পুন:বীমাকারিকে প্রদান করা হয়। তাই পুন:বীমা প্রিমিয়ামের উপর ভ্যাট আরোপের কোন সুযোগ নেই। তাই এটা বাতিল করতে হবে। এছাড়াও, সংবাদ সম্মেলনে লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি হোল্ডারদের পলিসি বোনাসের উপর ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
×