ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বান্দরবানে পাহাড় কাটতে গিয়ে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২২ মে ২০১৮

বান্দরবানে পাহাড় কাটতে গিয়ে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ২১ মে ॥ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয় পাড়ায় পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটিচাপায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, আহত হয়েছে ১ জন। যারা প্রাণ হারিয়েছে তারা হলেন- সোনা মেহের, মোঃ আবু, নুরুল হাকিম ও জসিম উদ্দিন। সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে পাহাড়ধসের এই ঘটনা ঘটে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয় পাড়ায় পাহাড় কাটার সময় পাহাড়ধসে পড়লে এই চার শ্রমিকের মৃত্যু হয় ও একজনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, যারা প্রাণ হারিয়েছে তারা সবাই শ্রমিক, আহত একজনকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় রূপায়ন বড়ুয়ার জায়গায় পাহাড়ের পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য পাহাড়ের কিছু অংশ কাটার সময় হঠাৎ করে পাহাড়ধসে পড়ে পাঁচ শ্রমিক মাপড়ে। তাদের মধ্যে চার জনের লাশ উদ্ধার করে এবং আহত অন্যজনকে কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৩ জুন বান্দরবান সদরের কালাঘাটায় বসতবাড়ির ওপর পাহাড়ধসে মারা যায় ৭ জন। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ২৩ জুলাই বান্দরবান-রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়ায় রাস্তার ওপর পাহাড়ধসে পড়ে নিখোঁজ হয় ৫ পথচারী। এছাড়াও পাহাড়ধসে জেলার থানচি ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২জনসহ সর্বমোট ১৭ সালেই ১৩ জন মারা যায়। পাহাড়ের ভূমি অন্যান্য সমতল ভূমির চেয়ে অনেকটা সস্তা, যার কারণে অতিদরিদ্ররা কমমূল্যে পাহাড় কিনে মাটি কেটে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তৈরি করছে বসতবাড়ি। তবে সরকারীভাবে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কোন উদ্যোগ না থাকায় দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ি নির্মাণ বেড়েই চলছে। এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সরোয়ার কামাল বলেন, আমরা পাহাড়ধসের ঘটনায় প্রাণ হারানো এবং আহতদের পরিবারকে সহযোগিতা করব। সরকারী তথ্যমতে, বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ধসে ২০১৭ সালে ১৬৮ জনের প্রাণহানি ঘটে আর আহত হয় ২২৭ জন। পাহাড়ধসে ১৭ সালে ৩ হাজার ৭৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ ৩৬ হাজার ৬৩৭টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
×