ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২২ মে ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

পবিত্র রমজান মাস শুরু হলেই ঢাকার চেহারা বদলে যায়। এক শ্রেণীর মানুষ ‘বিশেষ প্রস্তুতি’ নেয়। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় এই প্রস্তুতি মানুষের জন্য ক্ষতিকর, অনেক সময় তা প্রাণ নাশের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়াটা নিত্য বছর রমজানের সময়ে সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় অবধারিতভাবে জায়গা করে নেয় বাজারের ছবি এবং বাজারদর নিয়ে প্রতিবেদন। সেদিন এক ভদ্রলোক দুঃখ করে বললেন, আমি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, ইতালি ফ্রান্সের মতো দেশেও থেকেছি। রমজানের সময় জিনিসপত্রের দাম কমানো হয়। বাড়ে না। জানতে চাইলাম মুসলিম নয়, এমন দেশগুলোর কি একই অবস্থা? রমজানে জিনিসপত্রের দাম কমে? তিনি বললেন, আরব-দুবাইয়ের মতো গড়ে সব শপিংমলে দাম কমানো হয় না। তবে সব দেশেই তো মুসলিম ব্যবসায়ীরা আছেন। তারা নিজেদের কোম্পানি থেকে মূল্যছাড় দেন রোজার সময়ে। আর তাদের দেখাদেখি অমুসলিম কোনো কোনো কোম্পানি মালিকও দাম কমিয়ে দেন। অথচ দেখুন আমাদের দেশের কী অবস্থা? ভদ্রলোককে কী জবাব দেয়া যায়! বরং নীরব থাকি। আগে ৬০০ মণ, পরে ১১০০ রোজার মাসে ব্যবসায়ীদের এ আরেক রূপ। ফলফলারি পাকানো হবে কেমিক্যাল দিয়ে, যাতে না পচে তার জন্যে মেশানো হবে আরেক দফা কেমিক্যাল। রোজার আগে একটি খবর থেকে জানলাম রাসায়নিকে পাকানো ৬০০ মণ ধ্বংস করা হয়েছে। রোজা শুরু হওয়ার দুদিনের মাথায় ১১০০ মণ বিষাক্ত আম ধ্বংস করা হলো। এর বাইরেও আমার চোখ এড়িয়ে যেতে পারে আরও বিষাক্ত আম জব্দ করা হয়েছে কিনা। তাছাড়া আমরা শুধু পুলিশের হাতে ধরা পড়া বিষাক্ত আমের খবর জানছি। ধরা পড়ছে না এমন সংখ্যাই কি ঢাকায় বেশি নয়! ইফতারিতে ফল খাওয়া দরকার, কিন্তু আমার মতো নিশ্চয়ই অনেকে দ্বিধা করছেন। আমরা জানি, ইথোফেন, কার্বাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান দিয়ে পাকানো হচ্ছে মৌসুমী ফল আম। এ ছাড়াও কিছু রাসায়নিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি দ্রবণ আমের ঝুড়িতে স্প্রে করা হয়। এতে দু-একদিনের মধ্যে আম পুরোপুরি হলুদ রং ধারণ করে ও পেকে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। জুনের আগে রাজশাহী থেকে কোন পাকা আম কি ঢাকায় আসার কথা? তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা এখনই রাজশাহী ও সাতক্ষীরা থেকে রাসায়নিক দেওয়া কাঁচা আম ঢাকায় আনছেন। এখানে এনেও কিছু রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে। ফলে বাইরে থেকে পাকা দেখালেও ভেতরে তা অপরিপক্বই থেকে যাচ্ছে। এসব ফল বেশি দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। র‌্যাব-২ সূত্র জানাচ্ছে, কিছু ব্যবসায়ী সরকারী নিয়ম উপেক্ষা করে বেশি লাভের আশায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম বাজারজাত করছেন। এসব আম খেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। অবৈধ উপায়ে পাকানো আম বিপণন প্রতিরোধে ও অসৎ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে র‌্যাবের বিশেষ দল। রমজানে বিশেষ পার্টি বলছিলাম রোজার মাসে ‘বিশেষ প্রস্তুতি’র কথা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ তৎপর এবার। তাই রোজা শুরু না হতেই ঢাকায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। রমনার হলিফ্যামিলি হাসপাতালের আশপাশ থেকে গোয়েন্দা পুলিশ ৮ জন ‘এ্যানেসথেসিস্ট’কে গ্রেফতার করে। বড় দুঃখে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের এ্যানেসথেসিস্ট বললাম। ডাক্তাররা রোগীকে অজ্ঞান করেন তার রোগ নির্মূলের প্রয়োজনে, জীবন বাঁচাতে। আর অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা মানুষকে অজ্ঞান করেন তার সবকিছু লুটে নিতে। একবার অজ্ঞান হওয়ার পর কারও কারও আর জ্ঞান ফেরে না। তারা মারা পড়েন। তাই অজ্ঞান পার্টির কাজকর্ম অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যে ৮ ব্যক্তি গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে, তাদের কাছ থেকে ১২০টি চেতনানাশক বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। অজ্ঞান পার্টি প্রসঙ্গে এবার যাচ্ছি ভিন্ন কথায়। ঢাকা মেট্রোপলিটান নিউজ নামের ওয়েবসাইটে ঠিক এক বছর আগের চিত্র পেলাম। জনস্বার্থে পাঠকদের সুবিধার্থে সেখান থেকে তুলে দিচ্ছি। রচনাটি শুরু হয়েছে বেশ ছড়ার ছন্দে শিরোনাম দিয়েÑ ‘অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে, আর নয় এরপরে’। এরপর দেখুন: ২৯ মে ২০১৭ সোমবার। সন্ধ্যা ০৭.১০। ধানমন্ডির ১২/এ রোডের লেকপাড় এলাকা। সকলে ইফতার শেষে নামাজে ব্যস্ত। এই সুযোগে অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্য এক সিএনজি চালককে নেশা জাতীয় দ্রব্যের মাধ্যমে অজ্ঞান করে সিএনজি নিয়ে পালাতে চেয়েছিল। কিন্তু ধানম-ি থানা পুলিশের তৎপরতায় সে চেষ্টা সফল হয়নি। ধরা পড়ে তারা। বেঁচে যান ড্রাইভার। অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়লে সবার ভাগ্য এই সিএনজি ড্রাইভারের মতো নাও হতে পারে। অনেকের জীবনের যবনিকাপাতও ঘটতে পারে। অনেকে হারাতে পারেন সর্বস্ব। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় বিপদ আপদ সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারে না। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে বিড়ম্বনা কিছুটা কমবে। আসুন জেনে নিই সেই বিষয়গুলোÑ ১. ভ্রমণ পথে অযাচিতভাবে অপরিচিত কেউ অহেতুক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পাত্তা দিবেন না। ২. আজকাল ডাবের ভিতরে সিরিঞ্জের মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে থাকতে পারে। তাই কখন কোথা হতে তৃষ্ণা মিটাচ্ছেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ৩. কারও হাতে রুমাল দেখলে সতর্ক থাকুন। কারণ রুমালের মধ্যে ক্লোরোফর্ম মিশিয়ে আপনার নাকের কাছে ধরলেই আপনি অজ্ঞান হয়ে যাবেন। ৪. ফুটপাথে বা রাস্তার মোড়ে টং দোকান থেকে খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। ৫. ফেরিওয়ালা বা ভ্রাম্যমাণ কারও কাছ থেকে আচার, আমড়া, শসা, পেয়ারা প্রভৃতি খাবেন না। ৬. বাসে, ট্রেনে ভ্রমণের সময় লজেন্স বা চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি জাতীয় কোন খাবার গ্রহণ করবেন না। ৭. সিএনজিতে চলার সময় যাত্রীরা ড্রাইভারের কাছ থেকে এবং ড্রাইভাররা যাত্রীদের কাছ থেকে কোন খাবার গ্রহণ করবেন না। ৮. ভ্রমণের সময় নির্জন পথ পরিহার করে সর্বদা গাড়ি চলাচল করে এবং লোক সমাগম থাকে এমন রাস্তা বেছে নিন। ৯. ভ্রমণের সময় চেষ্টা করবেন পরিচিত কাউকে সঙ্গে নিতে। শুধু একটু সচেতনতাই রক্ষা করতে পারে আপনার জীবন ও সম্পদ। ফুট ওভারব্রিজ বনাম আন্ডারপাস পথচারীদের নির্বিঘেœ রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে নির্মিত ওভারব্রিজগুলো কি কখনো দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে? মানুষ কি ওভারব্রিজ ব্যবহারে নিরৎসাহিত হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে? বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা কেন্দ্রের এক গবেষণায় ঢাকায় বছরে চার শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ২৬ শতাংশ পথচারী রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে গবেষণায় বলা হয়। সেখানে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পথচারীদের ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করার বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়। নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, ফুট ওভারব্রিজের যে উচ্চতা থাকা প্রয়োজন, ঢাকার ব্রিজগুলোর উচ্চতা তার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় সেগুলো ব্যবহারে পথচারীরা উৎসাহ পায় না। বিষয়টি ভেবে দেখার মতো। শাহবাগে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সেখানে একটি আন্ডারপাস নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, শাহবাগে দুটি ওভারব্রিজ থাকলেও বৃদ্ধ ও শিশুরা সেখানে উঠতে পারে না। অনেকে থাকে অসুস্থ। এত উঁচু ওভারব্রিজে ওঠা অসুস্থ ব্যক্তিদের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি পথচারীদের নির্বিঘেœ সড়ক পারাপারে অবিলম্বে সেখানে একটি আন্ডারপাস নির্মাণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছর পেরোলেও সেখানে আজও কোন আন্ডারপাস হয়নি। ঢাকায় ফুটওভার ব্রিজের সংখ্যা ৮৯। এর অনেকটিই ব্যবহৃত হয় না। আন্ডারপাস (পাতালপথ) আছে তিনটি। এর মধ্যে রাস্তা পারাপারে ব্যবহৃত হয় দুটি। দুটি পদচারী-সেতুতে চলন্ত সিঁড়ি লাগানো হয়েছে। এর একটি অনেক সময় নষ্ট থাকে। রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সংযুক্ত করতে একটি র‌্যাম্প করা হয়েছে। সেটা কেউ ব্যবহার করে না। পথচারীদের রাস্তা পারাপার বিড়ম্বনামুক্ত করে দিতে বিশেষ পরিকল্পনা দরকার। সেইসঙ্গে মোটর সাইকেল চালকদের লাগামও টানা জরুরি। যানজট জনজট আসলে ঢাকার সড়ক কোন সংজ্ঞার ভেতরেই পড়ে না। কখন যানজট হবে, কখন হবে নাÑ এ নিয়ে কোন আগাম ধারণা প্রকাশ রীতিমতো নির্বুদ্ধিতার কাজ। প্রথমত যানবাহনের আধিক্য, সিগনালে অনিশ্চিত সময়ের জন্য প্রতীক্ষা। এ দুটি বিষয় মনের ওপর চাপ ফেলে, অন্তত কেউ যদি গ্রাম, কিংবা পাহাড়ী এলাকা/সমুদ্র সৈকত কিংবা চা-বাগান থেকেও আসেন এই রাজধানীতে। একবার সাত দিন ছিলাম কুলাউড়ার একটি চা-বাগানে। ট্রেন থেকে নেমে ভর সন্ধ্যায় তীব্র হর্নের আওয়াজে মনে হচ্ছিল এখনই চিৎকার শুরু করি চালকদের উদ্দেশে। ভদ্রতাবোধ তা হতে দেয়নি, দুই হাতে কান চেপে মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলাম। শব্দ দূষণ কী মারাত্মক প্রতিক্রিয়া জাগায় সেটিই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। এখন অনেক কিছুই সয়ে গেছে। ঢাকায় যানজট আর উচ্চ শব্দের হর্ন সাময়িকভাবে হতবিহ্বল কওে তোলে। মধ্যরাতে যারা ঢাকায় চলাচল করেন তারা জানেন একেকটা গম্ভীর দানবের মতো ভারি হয়ে ছুটে চলে সারি সারি ট্রাক, হঠাৎ হঠাৎ গাম্ভীর্য খসে পড়ে, নিনাদ শুরু হয়ে যায় যন্ত্রদানবের, আর তার চোখ দুটো রাগে ফুঁসতে থাকে অপরের দৃষ্টিশক্তি ম্রিয়মাণ করে দেয়ার সঙ্কল্পে! ভয় পেলাম লোহার রড নিয়ে খোলা একটি ট্রাকের রাজসিক ভঙ্গিতে চলাচল দেখে। সেদিন একটি ইংরেজী দৈনিকে দেখলাম দিনের বেলাতেই ঢাকার ব্যস্ত সড়কে চলছে লোহার রড উন্মুক্ত ও বিপজ্জনকভাবে বহনকারী ট্রাক। এই শহরে কি কোন ট্রাফিক নিয়মই চলতে দেবে না। ঢাকার জনসংখ্যা বর্তমানে ১ কোটি ৫৯ লাখ। ২০৩৫ সালে এ শহরের জনসংখ্যা হবে ২ কোটি ৬০ লাখ। মানুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়বে। বর্তমানে ঢাকায় মোট যানবাহনের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০। ২০৩৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৯ লাখ ১৯ হাজারে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি থাকবে ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৩০০। বর্তমানে এ ধরনের যানবাহন রয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ১৫০টি। গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়কের ওপর চাপ বাড়বে। ফলে অর্ধেকে নেমে আসবে গাড়ির গতি। এমনিতেই ঢাকার রাস্তায় গাড়ির গতির এখন করুণ অবস্থা। ঢাকায় যানজটে দিনে নষ্ট ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা, এমন খবর পড়ে কিচুক্ষণ থমকে থাকি। এর ফলে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। যানজটে অতিব্যস্ত সময়ে ঘণ্টায় গাড়ির গতিবেগ নেমে এসেছে পাঁচ কিলোমিটারে। হেঁটে চলার গড় গতিও পাঁচ কিলোমিটার। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণে কার্যকর ব্যবস্থা নিলে ৬০ শতাংশ যানজট কমানো সম্ভব হবে। তাতে সাশ্রয় হবে ২২ হাজার কোটি টাকা। শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেছেন। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে রাখারও আহ্বান জানান তাঁরা। তাঁদের মতে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অসম্ভব। ২০ মে ২০১৮ [email protected]
×