ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দশ পেড়িয়ে এগারোতে পা দিল কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ২২ মে ২০১৮

দশ পেড়িয়ে এগারোতে পা দিল কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ

‘তারুণ্যের ছোঁয়ায় নতুন সূর্যোদয়, আলোকিত সমাজ গড়ার অটুট’ এই সেøাগানকে সামনে রেখে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে লালন করে ২০০৮ সালের ১৫ মে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু“করে কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ। শুদ্ধ বাংলা সংস্কৃতি চর্চা এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই এই সংগঠনের প্রধান কাজ। গত ১৫ মে দশ বছর অতিক্রম করে এগারোতে পা দিল সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই জনপ্রিয় সংগঠনটি। আত্মপ্রকাশের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে অবদান রাখছে কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ। কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘের লোগো তে রয়েছে সবুজে মোড়ানো লাল সূর্য, যার রয়েছে ৭টি রশ্মি এবং নিচে নীল প্রবাহ। রংধনুর রং হচ্ছে এ সাতটি রং। পৃথিবী যেমন বৃষ্টিস্নাত হয়ে তার সব জরাজীর্ণতাকে দূর করে নতুন রূপে আবির্ভূত হয়, আকাশে দেখায় সাত রঙের আলোকচ্ছটা তেমনি ‘কৃষ্ণচূড়া’ সাংস্কৃতিক সংঘের লোগোটিতে সাত রঙের ব্যবহার প্রকাশ করে নতুন সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান । বৃত্তের ভেতর লাল সবুজ আমাদের জাতীয় পতাকার প্রতীক। নীল রঙের প্রবাহটি সমুদ্র প্রবাহ নির্দেশ করে, যে প্রবাহ দিয়ে সমাজ থেকে দুর্নীতি ও জরাজীর্ণতাকে ধুয়ে মুছে দূর করার ভাব ব্যক্ত করে। কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ যেমন তার লাল ফুল দিয়ে ধরণীকে আলোকিত ও রূপময় করে তোলে। তেমনি কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ সমাজের জরাজীর্ণ কালিমা দূর করে সমাজকে সুন্দর সাবলীল ও আলোকিত করবে। যার হাত ধরে কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তিনি হলেন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। তার মতে-‘যারা সাংস্কৃতিকমনা তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার হয়। তাদের মন অনেক ভাল হয়।এই বিশ্বাস থেকে কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ তৈরি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এই সংগঠন করে ছেলে মেয়েরা সারা বাংলাদেশে তথা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পরবে। এবং ভাল কাজ করে প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করবে।’ কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে একমাত্র সাংস্কৃতিক সংগঠন যেটি সম্প্রতি জয় বাংলা ইয়থ এওয়ার্ড পেয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তি সংগঠন কৃষ্ণচূড়া। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় সারে তিন শ’। ক্যাম্পাসের সব বাঘা বাঘা শিল্পীরা এই সংগঠনের ভেতরে কাজ করে থাকেন। এ সংগঠনের মাধ্যমেই আজ অনেক শিল্পী শুধু ক্যাম্পাসের নয় সারা বাংলাদেশের স্টার-সুপারস্টার। এখানে অভিনয়, নাচ, গান, আবৃত্তিচর্চা করা হয়। প্রতিবছর নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে থেকে নতুন শিল্পী সংগ্রহ, শুদ্ধ বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য কৃষ্ণচূড়া আয়োজন করে ‘প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা।’ এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করে ‘প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০১৮।’ গতানুগতিক ধারা থেকে একটু ভিন্ন উপায়ে দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা । প্রতিষ্ঠার পর থেকে বড় বড় জাতীয় দিবসগুলোতে কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে আসছে। ডিপ্রজন্ম ডেস্ক
×