ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সান্টা ফে হাইস্কুলে গুলিতে মৃত্যু হয় পাকিস্তানের সাবিকার

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ২২ মে ২০১৮

সান্টা ফে হাইস্কুলে গুলিতে মৃত্যু হয় পাকিস্তানের সাবিকার

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইচ্ছে ছিল ভবিষ্যতে কূটনীতিক বা প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার। ইয়েস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে দেশ ছেড়ে স্বপ্নের দুনিয়ায় পাড়ি দিয়েছিল বছর সতেরোর সাবিকা শেখ। কিন্তু স্বপ্নভঙ্গ হল সেখানেই। টেক্সাসের সান্টা ফে হাইস্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যুমিছিলে রয়েছে পাকিস্তানের কিশোরীও। স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে আমেরিকায় গিয়ে ভালই সময় কাটছিল সাবিকার। ৯ জুন দেশে ফেরার কথা ছিল। পাকিস্তানেই পরিবারের সঙ্গে ইদ পালন করবে ভেবেছিল সে। কিন্তু মার্কিন সংস্কৃতির স্বাদ নিতে গিয়ে নিজেই বলি হল সে দেশের নিয়মিত বন্দুকহামলায়। দেশে ফিরছে সাবিকার কফিনবন্দি দেহ। তার আগে হিউস্টনে তার শোকসভায় জমায়েত হয়েছিল প্রচুর মানুষ। সাবিকা মনে করত, পাকিস্তানে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে, কিন্তু সামগ্রিক ভাবে সে দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে সর্বত্র। সেই ধারণাকেই বদলে দিতে বদ্ধপরিকর ছিল সাবিকা। তা আর হয়ে উঠল না। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো শনিবার নিহতদের স্মরণে এক শোকসভায় বলেন, ‘‘সাবিকা চেয়েছিল আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে।’’ সাবিকার বাবা আজ়িজ় শেখের আশা, সাবিকার মৃত্যু হয়তো আমেরিকার অস্ত্র আইন বদলের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে। বন্দুক হামলা সে দেশে নিয়মিত ঘটনা হলেও এই বিপর্যয়েও অটুট থাকবে পাকিস্তানের তরুণ-তরুণীদের আমেরিকায় পড়াশোনার স্বপ্ন। সাবিকার মতো নিহতদের তালিকায় রয়েছে সান্টা ফে হাইস্কুলের শিক্ষিকা সিন্থিয়া টিসডেলও। পরিবারের চিকিৎসার খরচ চালাতে একসঙ্গে দু’টি চাকরি করতেন তিনি। তবে নিছক পেশা নয়। শিক্ষকতা ছিল তাঁর কাছে ভালবাসারও। সেই সিন্থিয়াকেও হার মানতে হল বন্দুকের গুলিতে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×