ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারের টার্গেট খালেদা ও বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা ॥ মোশাররফ

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ২৩ মে ২০১৮

সরকারের টার্গেট খালেদা ও বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা ॥ মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকারের টার্গেট খালেদা ও বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা। কিন্তু সরকারের এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা যাবে না। দেশের জনগণ তা মানবে না। যদি সরকার ২০১৪’র মতো নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয় তাহলে জনগণ রাস্তায় নেমে তাদের সামনে দাঁড়াবে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মোশাররফ বলেন, এ সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। তা করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তাকে মুক্ত করে তবেই আমরা একটি নির্বাচন করব এবং সে নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি বিজয়ী হয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। ক্রসফায়ারের নামে মানুষ হত্যা প্রসঙ্গে ড, মোশাররফ বলেন, চুনোপুঁটিদের না মেরে মাদকের মূল নায়কদের নাম প্রকাশ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তিনি বলেন, মাদকের সম্রাটরা সবাই আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা। সরকারের একজন এমপি, যাকে সারাদেশের মানুষ চেনে মাদকের সম্রাট হিসেবে। তাকে ধরার পরিবর্তে ফুলের মালা পরানো হয়েছে। ড. মোশাররফ বলেন, দেশের মানুষ নিরাপদে নেই। কথায় কথায় ক্রসফায়ার দেয়া হচ্ছে। গুম, খুন চলছে। হঠাৎ মাদকের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যা বেড়ে গেছে। এর মাধ্যমে বিরোধীদের দমনের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। তবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- দিয়ে মাদক নির্মূল হবে না। দেশে যে আইন আছে সেই আইনের অধীনে বিচার করা যায়। ড. মোশাররফ বলেন, এদেশে কোন ইয়াবা তৈরি হয় না। বাহির থেকে আসে। সরকার যদি আন্তরিক হতো তাহলে সীমান্ত দিয়ে দেশে মাদক প্রবেশ করত না। এর সঙ্গে মূলত সরকারের এমপিরা জড়িত। আগে তাদের ধরুন। তবে সরকার তাদের ধরবে না। চলমান অভিযান আসলে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের মাঝে ভয়ভীতি সৃষ্টি করাই লক্ষ্য। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা, মিজানুর রহমান প্রমুখ। নির্বাচন সামনে রেখে আতঙ্ক ছড়াতেই এ মাদকবিরোধী অভিযান- রিজভী : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জনমনে আতঙ্ক ছড়াতেই মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, দশের প্রচলিত আইনেই মাদক প্রতিরোধ সম্ভব উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা মাদকবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে নই। অপরাধীদের গ্রেফতার করুন, আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করুন, আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। কিন্তু তা না করে সারাদেশে বন্দুকের অপব্যবহারে মানুষ হত্যা কোন সভ্য সমাজের কাম্য হতে পারে না। রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত সাড়ে ৯ বছরে মাদকে ছেঁয়ে গেছে দেশ। যুব সমাজকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিতভাবে মাদকের বিস্তার ঘটানো হয়েছে। এর পেছনে দায়ী ব্যক্তিরা হলেন সরকার দলীয় এমপি বদির মতো রাঘব বোয়ালরা। যারা মাদক ব্যবসার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে এসব রাঘব বোয়ালদের নাম প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি পুলিশের কিছু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নানা চ্যানেলে মাদক এসে ঢুকছে বাংলাদেশে। এ চ্যানেলগুলোর উৎস মুখ বন্ধ করতে পারেনি কেন সরকার? মাদকের আসল গডফাদারদের ধরছেন না কেন? জেলেই ভাল ছিলাম গয়েশ্বর : কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন নিয়ে আক্ষেপ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন জেলে ছিলাম, সেখানেই ভাল ছিলাম। কারণ বের হয়েও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তেমন কিছু করতে পারছি না। ভয়ের কারণে কথা বলি না আমরা। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেক্লাবে ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত বিএনপির প্রয়াত নেতা এম শামসুল ইসলাম এবং জাগপার প্রয়াত সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
×