ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্য বীমা কার্যকর করা হবে, কেউ চিকিৎসা বঞ্চিত হবে না ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৮:১০, ২৩ মে ২০১৮

স্বাস্থ্য বীমা কার্যকর করা হবে, কেউ চিকিৎসা বঞ্চিত হবে না ॥ নাসিম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য বীমা কার্যকর করা হবে। টাকার অভাবে দেশের কোন মানুষ চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে না, দরিদ্র জনগোষ্ঠী চিকিৎসা করাতে গিয়ে যাতে করে আরও নিঃস্ব না হয় সে লক্ষ্যে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বীমা কার্যকর করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিবেশনে স্বাস্থ্য খাতের বিশ্ব নেতাদের সামনে নির্ধারিত বক্তব্যে এমন লক্ষ্য ও অঙ্গিকারের কথা তুলে ধরেন। জেনেভা থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সিনিয়র তথ্য অফিসার এ তথ্য জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যয় মেটানোই আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের ধারায় আমরা ইতোমধ্যেই ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্র মানুষের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমরা তিনটি উপজেলায় বিশেষ হেলথ স্কিম চালু করেছি। সেই সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য বীমা ব্যবস্থা কার্যকর করতে কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। যেটা এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছে। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম অংশ হিসেবে পুষ্টির উন্নয়নকেও আমরা অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলছি। অপুষ্টি দল করার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিক নির্দেশনার আলোকে কর্মপরিকল্পনাকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়া জাতীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধে সরকারী ও বেসরকারীভাবে কাজ চলছে। মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগের চেয়ে অনেক অগ্রগতি ঘটেছে, শিশু ও মাতৃ-মৃত্যু হার কমিয়ে আনা গেছে, সংক্রামক রোগেও মৃত্যু কমেছে। এ সময় মোহাম্মদ নাসিম রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ওই দেশ থেকে বিতারিত হওয়া ১০ লাখের বেশি মানুষকে মানবিক কারণে আমরা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের কাছে মানবতার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। তাদের কেবল আশ্রয়ই নয়, খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ কাজে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো আরও কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আমাদের সহায়তা করছে। বাংলাদেশে ওষুধ খাত সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন কম দামে উচ্চমানসম্পন্ন সব ধরনের ওষুধ ও ভেকসিন তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এর আগে বিকেলে বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কার্যক্রম বিষয়ক পরিচালক ফাদিয়া সাদাহ্ জাতিসংঘ ভবনের এক সভাকক্ষে বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এ সময়ে বিশ্বব্যায়ক পরিচালক জানান রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম অব্যহত রাখতে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আগামী মাসে ৫০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য প্রস্তাব বিশ্বব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হবে।
×