ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ যাত্রায় ২০৯ লঞ্চে দক্ষিণাঞ্চলের ২০ লাখ মানুষকে বহনের প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ২২:০৩, ২৩ মে ২০১৮

ঈদ যাত্রায় ২০৯ লঞ্চে দক্ষিণাঞ্চলের ২০ লাখ মানুষকে বহনের প্রস্তুতি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রমজানের শেষ ১০ দিনে বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো প্রায় ২০ লাখ মানুষকে বহনের জন্য ২০৯টি লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে। আগামী ৫ জুন থেকে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের পরিবহন করবে এসব নৌযান। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং নৌযান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ঈদ যাত্রাকে নির্বিঘœ করতে নৌ-মন্ত্রীর নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইসসভায় ঈদে ঝামেলামুক্ত নৌযান চলাচলে করণীয় সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি লঞ্চ মালিক বা বন্দর কর্তৃপক্ষকে। তবে সার্বিক দিক মাথায় রেখেই দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের পরিবহনে এরইমধ্যে ২০৯টি লঞ্চ প্রস্তুত করেছেন লঞ্চ মালিকরা। এরমধ্যে বিভিন্ন রুটের পাঁচটি নতুন বিশালাকৃতির লঞ্চ ঈদ উপলক্ষে যাত্রী পরিবহনে নামবে। অপরদিকে ২০৪টি লঞ্চের মধ্যে যেগুলো পুরনো বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ ছিলো সেগুলোর বেশির ভাগেরই রং ও ত্রুটি সারিয়ে ফের চলাচলে উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা নদী বন্দরের যেসব পল্টুন আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ রয়েছে সেগুলো মেরামত করছে নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। সব শ্রেণীর যাত্রীরা যেন টিকিট পান সেজন্য ঈদের ৮ থেকে ১০ দিন আগে টিকিট বিক্রির জন্য কাউন্টার খোলা হবে। তবে লঞ্চ মালিকরা বলছেন, অধিকাংশ টিকিট ফোনে ফোনে বিক্রি হয়ে যায়। ঈদে নৌপথে যাতায়াত ঝামেলাহীন হবে দাবি করে নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, এবারের ঈদের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে ২০৯টি লঞ্চ চলাচল করবে। গত ঈদের তুলনায় এবার বড় পাঁচটি লঞ্চ বেড়েছে। তাই অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কাউকে লঞ্চে ভ্রমণ করতে হবেনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ফিটনেসবিহীন নৌযান চলাচলের ব্যাপারে তিনি বলেন, একটি লঞ্চের গড় আয়ুকাল থাকে ৩০ বছর। কিন্তু ৩/৪ বছর চলার পরেই অনেক লঞ্চের রং বা রিপেয়ারিং করার দরকার পরে, তার মানে এই নয় যে লঞ্চের ফিটনেস নেই। যখন ফিটনেস থাকেনা তখন এমনি লঞ্চ আর চলতে পারেনা। নদী বন্দর ও নৌপথের নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৭০ জন পুলিশ সদস্য ফাঁড়িতে যোগ দিয়েছেন। সামনে আরও টিম আসবে। এখানে ঢাকা মহানগর পুলিশ, নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, র্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে প্রায় পাঁচ’শ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
×