ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ রমজানে দ্রব্যমূল্য

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২৪ মে ২০১৮

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ রমজানে দ্রব্যমূল্য

পবিত্র রজমান মাস এলেই প্রতিবছরই হু হু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যায়। এসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচ, মুগ, মসুর, ছোলা, কলই, কালাই, চাল, ডাল, তেল, নুন, চিনি ইত্যাদি। এছাড়াও শাক-সবজি তরি তরকারি ইত্যাদিও রয়েছে। দেখা যায় রমজান মাস এলেই এসব জিনিসের দাম দ্রুত গতিতে বেড়ে যায়। এ বছর অবশ্যই রোজার মাসে যাতে এসব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম না বাড়ে সেজন্য সরকার তৎপর রয়েছেন। দেখতে হবে এসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কেন বাড়ে আর কে বা কারাই এ দাম বাড়ার পেছনে কলকাঠি নাড়ে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি লোভের বশবর্তী হয়ে সিন্ডিকেট করে এসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে থাকে। দ্রব্যমূল্যের এই পাগলা ঘোড়াকে আটকাতে না পারলে জনজীবনে স্বস্তি আসবে না। তাই সরকার এই বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে যাতে এই অশুভ তৎপরতা বন্ধ করা যায়। মোবাইল কোর্ট চালু করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় এনে এদের শাস্তি দেয়া হবে বলে সরকারীভাবে জানানো হয়েছে। জনগণ চায় পবিত্র রোজার মাসে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে, তাই সরকারের এই উদ্যোগ একটি প্রশংসনীয় কাজ এবং এই কাজে সকলকে সহযোগিতা করা উচিত। পবিত্র রমজান মাসের পরেই ঈদ আসে। ধনী-গরিব সকলের জন্য ঈদের দিনটি অতি আনন্দের দিন এবং সকলেই এই দিনটি আনন্দের মাধ্যমে কাটাতে চায়। কিন্তু দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বাড়তে থাকলে ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে যাবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে মজুরদার ও কালোবাজারিদের হাত রয়েছে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে তারা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই এসব অসাধু লোকদের দমনের জন্য পুলিশ র‌্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থানসহ সরকার যেসব কমিটি করেছে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করলে দ্রব্যমূল্য অবশ্যই সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। জেলা পর্যায় ও উপজেলা পর্যায়েও যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি না পায় সেজন্য সরকার থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সকলে মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে আশা করা যায় দ্রব্যমূল্য অবশ্যই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। তাই সকলেরই উচিত প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য ও সহযোগিতা করা। লেক সার্কাস, কলাবাগান, ঢাকা থেকে
×