ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘ট্রাম্প প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন’

শীর্ষ বৈঠক নিয়ে আশাবাদী মুন

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২৪ মে ২০১৮

শীর্ষ বৈঠক নিয়ে আশাবাদী মুন

যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া শীর্ষ বৈঠক যেন সময় মতো হয় সে লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন কাজ করে যাচ্ছেন। ১২ জুন এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক আদৌ হবে কি হবে না এনিয়ে ট্রাম্প সংশয় প্রকাশ করার পর ধারণা তৈরি হয় যে দুই নেতার মধ্যে বহুল আলোচিত বৈঠকটি নাও হতে পারে। ইয়াহু নিউজ। ট্রাম্প-উনের মধ্যে প্রস্তাবিত বৈঠকটি সিঙ্গাপুরে হওয়ার কথা রয়েছে। কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তির সম্ভবনা জাগিয়ে তুলেছে এই বৈঠক। তবে একই সঙ্গে এ রকম শঙ্কাও রয়েছে যে, বৈঠক থেকে কোন ফল না এলে উত্তর কোরিয়া ফের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচী শুরু করতে পারে। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে উন দক্ষিণ কোরিযার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসেছেন। ট্রাম্প-উনের বৈঠক সামনে রেখে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোতে শুরু করেছিল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু কোন কারণে বৈঠক না হলে বা পিছিয়ে গেলে কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। ওভাল অফিসে মুন জায়ে ইনকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, উনের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠকটি সময়মতো না হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ উত্তর কোরিয়া ওই বৈঠকে বসার পূর্ব পূর্বশর্তগুলো এখনও পূরণ করেনি। ট্রাম্প এ কথাও বলেন যে, তিনি মনে করেন উন আলোচনার বিষয়ে ‘সিরিয়াস’। এর আগে উত্তর কোরিয়া বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র যদি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের জন্য একতরফা চাপ দিতে থাকে তবে ট্রাম্পের সঙ্গে পূর্ব ঘোষিত বৈঠক থেকে তারা সরে আসতে পারে। ট্রাম্পের সঙ্গে উপস্থিত মুন আশা প্রকাশ করে বলেন, তিনি মনে করেন বৈঠকটি যেন সময়মতো হয় সে লক্ষ্যে ট্রাম্প তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। মুন বলেন, প্রত্যাশিত বৈঠক সময়মতো আয়োজন করা গেলে তা হবে ট্রাম্পের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক অর্জন যা বিগত কয়েক দশকের মধ্যে কেউ করতে পারেনি। মুন বলেন, হতাশা সত্ত্বেও বৈঠক আয়োজনে প্রস্তুতি এগিয়ে চলেছে। বৈঠকের আগে যার যার মতো সুবিধা আদায় করে নিতে উভয়পক্ষই চেষ্টা করছে। উন চেষ্টা করবেন এই বৈঠকের মাধ্যমে তার সরকারের আন্তর্জাতিক বৈধতা অর্জনের। অন্যদিকে ট্রাম্প চেষ্টা করবেন কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি স্থাপনের নজির তৈরি করার। এর মধ্য দিয়ে নোবেল পুরস্কার পাওয়ারও একটি সুযোগ তৈরি হতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সম্প্রতি বলেছেন, ‘সত্যি কথা হলো প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠক নাও হতে পারে। তাতে এটি সময়মতো হোক তার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মনে করেন, প্রস্তাবিত ওই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ দশমিক ৯ ভাগ। তবে ট্রাম্প বৈঠকের সম্ভাবনা যে একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন তা নয়, তিনি বলেছেন তা পেছাতে পারে। উনকে তিনি যেসব প্রস্তাব দিতে চান সেগুলো বিস্তারিত প্রকাশ করেননি। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত সামরিক মহড়া নিয়ে উত্তর কোরিয়া সব সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। এরই জের ধরে পিয়ংইয়ং গত সপ্তাহে সিউলের সঙ্গে পূর্ব পরিকল্পিত শান্তি আলোচনা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
×