ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এইচএস কোড জটিলতায় শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে না বিমান

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২৪ মে ২০১৮

এইচএস কোড জটিলতায় শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে না বিমান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উড়োজাহাজের খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য মাত্র ৪ শতাংশ শুল্ক থাকলেও এইচএস কোড জটিলতায় সেই সুবিধা পান না দেশীয় বিমান সংস্থাগুলো। পাশাপাশি এয়ারপোর্টে বিমানের জরুরী মেরামতের জন্য বিনা এলসিতে যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেতে নিয়মিত শুল্কের পাশাপাশি গুণতে হয় উচ্চ শুল্ক। এ অবস্থায় দেশীয় বিমান কোম্পানিগুলোর সহায়তায় যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য একটি অভিন্ন শুল্ক কাঠামো নির্ধারণের দাবি তাদের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর বলছে শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতা ও এইচএস কোডের অসামঞ্জস্যতা দূর করতে কাজ করছেন তারা। উড়োজাহাজের খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য শুল্ক প্রদানের ক্ষেত্রে একটি স্বতন্ত্র এইচএস কোড নির্ধারণ করে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। কোডের আওতায় যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে মাত্র ৪ শতাংশ শুল্কও নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আমদানির পর্যায়ে এই সুবিধা পান না দেশীয় বিমান সংস্থাগুলো। এ ক্ষেত্রে বিমানের যন্ত্রাংশকে অন্যান্য পরিবহনের যন্ত্রাংশের আওতায় ফেলে উচ্চ শুল্ক আদায় করে রাজস্ব বোর্ড। এয়ারক্রাফট টায়ার ৩১.০১ শতাংশ, এয়ারক্রাফট ইঞ্জিন অয়েল ৮৯.৪২ শতাংশ, স্টার্টার জেনারেটর ৩৭.০৭ শতাংশ, এয়ারক্রাফট ইঞ্জিন ২৫.০৭ শতাংশ, টার্বো প্রপেলার ২৬.২৭ শতাংশ এবং অডিও কন্ট্রোল প্যানেল ৮৯. ৪২ শতাংশ। বিশ্বের যে কোন এয়ারপোর্টে বিমানের জরুরী মেরামতের জন্য কোন যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হলে তা সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধা রাখা হলেও বাংলাদেশ ঠিক তার উল্টো চিত্র। জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের জন্য এলসি না করে যন্ত্রাংশ আমদানি করায় এখানে বিমান সংস্থাকে নিয়মিত শুল্কের সঙ্গে আরও ৫৩ শতাংশ বাড়তি শুল্ক দিতে হয়। এ অবস্থায় অধিকাংশ যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে ৭৮ শতাংশ থেকে ১শ’ ৪২ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক গুণতে হয় বিমান সংস্থাগুলোকে। শুল্ক সংক্রান্ত এই জটিলতায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশীয় বিমান সংস্থাগুলোকে। রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চিফ অপারেটিং অফিসার বলেন, আমাদের যে এইচএস কোড দেয়া আছে তাতে কিছু বৈষম্য আছে। এমন করা উচিত যে সবগুলো এয়ারক্রাফটের পার্টস এক কোডের মধ্যে পরবে। বিমানের যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতা ও এইচএস কোডের অসামঞ্জস্যতা দূর করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছে। এইচএস কোডের অসামঞ্জস্যতা দূর করতে আমরা কাজ করছি। এইচএস কোডের সংখ্যা কমিয়ে ইউনিফর্ম করা হবে। আমরা ছেড়ে দিব বা দিবো না কোনটাই বলছি না।’ দেশীয় বিমান সংস্থাগুলোর উন্নয়নে এবং কম খরচে আকাশ পথে ভ্রমণ নিশ্চিত করতে এ খাতে বিদ্যমান ভ্যাট ও ট্যাঙ্কসংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
×