ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেসরকারী ভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৪ মে ২০১৮

বেসরকারী ভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেসরকারী ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে, কয়েকটির মালিকানা নিয়ে মামলা চলছে, কয়েকটির ক্যাম্পাস অনুমোদিত নয় এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নেই। মঙ্গলবার ইউজিসির ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশে এখনও কোন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা, ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয়নি জানিয়ে ইউজিসি কোন বিদেশী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে প্রতারণার শিকার না হতেও শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১০১টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারী অনুমোদন আছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ৯১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৯১টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হলেও এর মধ্যে ৬০টিতে উপাচার্য, ২০টিতে উপ-উপাচার্য এবং ৪৪টিতে কোষাধ্যক্ষ রয়েছে। বাকিগুলোতে শীর্ষ পদ ফাঁকা রেখেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে ‘ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা’ জানিয়ে মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইউজিসি। এতে বলা হয়েছে, কেউ অনুমোদনবিহীন কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস বা অননুমোদিত কোন প্রোগ্রাম বা কোর্সে ভর্তি হলে তার দায়-দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি নেবে না। গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমস্যা থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইবাইস ইউনিভার্সিটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব বা আদালতে বিচারাধীন থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আরও রয়েছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি। সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে। সরকার বন্ধ করলেও আদালতের রায়ে চলছে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা। অননুমোদিত ক্যাম্পাস চালাচ্ছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কুইন্স ইউনিভার্সিটি সরকার বন্ধ করেছিল। পরে ২০১৫ সালে শর্তসাপেক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বছরের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পত্র দেয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তারা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। গণবিদ্যালয়ের কয়েকটি প্রোগ্রামের বিষয়ে ইউজিসির অবস্থান এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা রিট এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচটি প্রোগ্রামে ছাত্র ভর্তি করাতে আদালতের নির্দেশনা থাকার কথাও তুলে ধরা হয় গণবিজ্ঞপ্তিতে। আর আদালতের আদেশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ও এর সব কটি শাখা ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া আটটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি অনুমোদন পেলেও শিক্ষা কার্যক্রম বা ভর্তির অনুমতি দেয়া হয়নি। এগুলো হলো কেরানীগঞ্জের রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের রূপায়ণ এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি, জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনার খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়।
×