ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একটি সেতুর জন্য সাত গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৪ মে ২০১৮

একটি সেতুর জন্য সাত গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ২৩ মে ॥ উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে হাটহাজারী ও ভূজপুর থানার মধ্যবর্তী নাজিরহাট-হাজিরখীল- সড়কে মন্দাকিনী খালের ওপর সেতু না থাকায় পৌর এলাকার পশ্চিম মন্দাকিনীসহ ৭ গ্রামের জনগোষ্ঠী দীর্ঘ অর্ধ-শতাব্দী ধরে যোগাযোগে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ১৯৬৭ সালে স্থানীয় আলহাজ সিরাজ কোম্পানি এ সাঁকোটি নিজ অর্থায়নে স্থাপন করলেও স্বাধীনতার পর থেকে কোন সরকারই এখানে সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নেননি। বর্তমানে সাঁকোটি পায়ে হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এলাকাবাসী জানায়, এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন এলাকার শত শত শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক এবং জনসাধারণ চলাচল করতেন থাকে। সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়াতে মন্দাকিনী, পশ্চিম মন্দাকিনী (পৌর এলাকা) হাজিরখীল, শান্তিরহাট, উদালিয়া, জঙ্গল উদালিয়াসহ ৭ গ্রামের মানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই। বর্ষাকালে সুয়াবিল সড়ক পানিতে ডুবে গেলে সুয়াবিলের বাসিন্দারা বিকল্প এ সড়ক ও সাঁকো ব্যবহার করে থাকে। সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে এলাকাসীকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হাট-বাজার, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যেতে হয়। তাই, উল্লেখিত ৭ গ্রামের জনগণের চলাচলের জন্য উক্ত স্থানে জরুরী ভিত্তিতে সেতু নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে, নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজ দৌলা বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য যত দ্রুত সম্ভব প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। নাচোলে বন্ধ হচ্ছে ভূ-গর্ভস্থ সেচ প্রকল্প স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ বরেন্দ্রর সবচেয়ে খরাপ্রবণ এলাকা নাচোলে বন্ধ হতে চলেছে ভূ-গর্ভস্থ সেচ প্রকল্প। পরিবর্তে আনা হচ্ছে ক্যানেলের পানি দিয়ে সেচ। এর ফলে একদিকে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার বন্ধ হবে, পাশাপাশি কম খরচে কৃষক সারা বছর সেচের পানি পাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের নিজ তহবিল হতে প্রাথমিক ভোবে ১৪ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। নাচোলের এক হাজার সাত শত হেক্টর জমি এই সুবিধা পাবে। পরবর্তীতে প্রকল্প সম্প্রসারণ হলে সেচের জমির পরিমাণ বাড়বে। বরেন্দ্র এলাকায় খালে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভূ-গর্ভস্থ পানির চাপ কমাতে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নদী থেকে নালার মাধ্যমে পানি এনে সেচ দেয়া এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এতে শুধু নাচোল উপজেলার পাশাপাশি গোমস্তাপুর উপজেলাও উপকৃত হবে। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মহানন্দা নদীতে পল্টন নির্মাণ, নদী থেকে পূর্ব চন্দনা খাল পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ পানির পাইপলাইন স্থাপন, ৬ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন ও সংস্কার, ২টি খালে ক্রস ড্যাম নির্মাণ, খালের দুই ধারে ১৮টি সোলার প্যানেল ও বিদ্যুত চালিত লো লিফট্ পাম্প স্থাপন করা হবে।
×