ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বকেয়া দাবিতে ন্যাশনাল মেডিক্যালে কর্মবিরতি

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২৪ মে ২০১৮

বকেয়া দাবিতে ন্যাশনাল মেডিক্যালে কর্মবিরতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালের চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ডবয়সহ সব কর্মচারী। তাদের কর্মবিরতি পালনের কারণে বুধবার সকাল দশটা থেকে দুপুর দু’টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে রোগীদের। বকেয়া বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তারা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সব কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করবেন বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, এই হাসপাতালে ৫৭৩ জন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারী তিন থেকে পাঁচ মাস ধওে বেতন পাচ্ছেন না। তাদেও কেউ কেউ দেড় বছর ধরে নিয়মিত বেতন পান না। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী খোরশেদ আলম জানান, তিনি পাঁচ মাস ধওে বেতন পাচ্ছেন না। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নিচ তলায় সকল নার্স ও কর্মচারীরা মাথায় ‘বেতন চাই’ লেখা কাপড় পরে বসে আছেন। টিকেট কাউন্টার থেকে জানানো হয়, প্রতিদিন প্রায় দেড় শ’ টিকেট বিক্রি হলেও বুধবার কোন টিকেট বিক্রি হয়নি। কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, নানা অজুহাত দেখিয়ে তাদের বেতন ভাতা দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বেতন ভাতা না পেয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছে অনেক কর্মচারী পরিবার বলে জানায় আন্দোলনকারীরা। হাসপাতালে কিডনি সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৫)। তিনি জনকণ্ঠকে জানান, সকাল সাড়ে ন’টা থেকেই টিকেট কাউন্টারের সামনে বসে আছি। দশটার কথা বলা হলেও ন’টার পরই শুরু হয়ে যায় আন্দোলনকারীদের কর্মবিরতি। দুপুর দু’টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে না। আশপাশের অন্য হাসপাতালে যেতে হবে বলে জানান মোঃ জাহাঙ্গীর। হাসপাতাল ভবনের নিচ তলায় টিকেট কাউন্টারে কোন কর্মচারী দেখা যায়নি। ভবনটির নিচ তলায় বসে আছেন আন্দোলনকারীরা। হার্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন বেলাল উদ্দিন (৪২)। তিনি জনকণ্ঠকে জানান, কয়েকদিন আগে এই হাসপাতালের এক চিকিৎসককে তিনি দেখিয়েছেন। ওই চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ৪টি টেস্ট করিয়েছেন। সকাল দশটায় এসে তিনি হাসপাতালের এই অবস্থা দেখতে পান। ওই চিকিৎসকের জন্য কর্মবিরতির সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে বলে জানান মোঃ বেলাল উদ্দিন। এভাবে কর্মবিরতির কারণে অনেক রোগীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বুধবার।
×