ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেঁচে থাকা যেন শাস্তি

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৪ মে ২০১৮

বেঁচে থাকা যেন শাস্তি

রাশিয়ান এক নারী নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি বলে দাবি করেন। তার মতে, সামনেই তার ১২৯তম জন্মদিন। কিন্তু এই দীর্ঘ জীবনকে আশীর্বাদ নয় বরং শাস্তি বলে মনে করেন তিনি। ককো ইস্তাম্বুলাভা নামের এই নারীর বসবাস চেচনিয়ায়। রাশিয়ান সরকারের ইস্যু করা অনলাইন পাসপোর্ট অনুযায়ী ইস্তাম্বুলাভার জন্ম ১৮৮৯ সালের ১ জুন। তথ্যটা যদি সঠিক হয়, তবে রাশিয়ার রাজা দ্বিতীয় নিকোলাসের পতন দেখেছেন তিনি। সোভিয়েত বিপ্লবের সময় তার বয়স ছিল ২৭ বছর। ৫৫ বছর বয়সে দেখেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকা। নিজের বাড়ির পাশ দিয়ে নাৎসিদের ট্যাঙ্ক চলে যেতে দেখেছেন। হিটলারের পতনের পর নাৎসিদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ইস্তাম্বুলাভাকে পরিবারসহ কাজাখস্তানে পাঠিয়ে দেয় স্টালিন প্রশাসন। আবার ১০২ বছর বয়সে দেখেছেন সেই সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন। নিজের দীর্ঘায়ুর রহস্য প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, খোদার ইচ্ছায় আমি এতদিন বেঁচে রয়েছি। দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য আমি কোন প্রচেষ্টাই করিনি। আমি অনেক মানুষকে দেখেছি যারা দীর্ঘায়ুর জন্য ব্যায়াম করেন বা বিশেষ কোন খাবার খান। কিন্তু আমি কেন এতদিন বেঁচে রয়েছি সে বিষয়ে আমার কোন ধারণাই নেই। এই বয়সেও ইস্তাম্বুলাভা নিজে নিজে হাঁটতে-চলতে পারেন। খাওয়ার ব্যাপারেও কারও সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। মাছ-মাংস পরিহার করে চলেন যথাসম্ভব। পছন্দের খাবার দুধ। তবে সম্প্রতি দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন তিনি। নিজের দীর্ঘায়ু নিয়ে অসুখী ইস্তাম্বুলাভা। তিনি বলেন, এই দীর্ঘ জীবন বইতে বইতে আমি ক্লান্ত। দীর্ঘায়ু খোদার আশীর্বাদ হতে পারে না, এটা এক প্রকারের শাস্তি। -ওয়েবসাইট
×