ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৫৭ জনের আত্মসমর্পণ

শীঘ্রই সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হবে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৪ মে ২০১৮

শীঘ্রই সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হবে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ দীর্ঘদিনের দস্যুতার জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবনে ফেরার প্রত্যয় নিয়ে র‌্যাব-৬ খুলনার লবণচরার সদর দফতরে বুধবার দুপুরে সুন্দরবনের ছয় কুখ্যাত জলদস্যু-বনদস্যু বাহিনীর ৫৭ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। তারা অর্ধশতাধিক দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র এবং সহস্রাধিক রাউন্ড গুলি জমা দিয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইতিপূর্বে আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশকে জঙ্গী, মাদক ও জলদস্যু-বনদস্যু মুক্ত করতে হবে। এ জন্য র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ করছে। অতি শীঘ্রই সুন্দরবনকে জলদস্যু ও বনদস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হলে যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি তিন হাজারের অধিক মাদক বিক্রেতাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আত্মসমর্পণকারী জলদস্যু-বনদস্যুরা হচ্ছে র‌্যাব-৬ খুলনার আওতাধীন দাদা ভাই বাহিনীর ১৫ জন, হান্নান বাহিনীর নয় জন এবং আমির আলী বাহিনীর সাত জন এবং র‌্যাব-৮-এর আওতাধীন সূর্য বাহিনীর ১০ জন, ছোট সামসু বাহিনীর নয় জন এবং মুন্না বাহিনীর সাতজন। অনুষ্ঠানে ইতিপূর্বে সুন্দর জীবনে ফিরে আসার জন্য র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণকারী ৫৮ জন জলদস্যু ও বনদস্যুর প্রত্যেককে পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত এক লাখ টাকা করে চেক প্রদান করা হয়। র‌্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রমুখ।
×