ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাজনীন বেগম

সমকালীন সমাজে নজরুল

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২৫ মে ২০১৮

সমকালীন সমাজে নজরুল

১৮৯৯ সালে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। ঊনবিংশ শতাব্দীর নবজাগরণের সুবর্ণ সময় অতিক্রান্তের অন্তিম লগ্নে লড়াকু নজরুলের আবির্ভাব। তখন উপমহাদেশীয় ঘটনাপ্রবাহও হরেক রকম অভিঘাতের মুখোমুখি। নতুন সময়ের বর্ণিল স্রোত বৃহত্তর সমাজও মানব জীবনে যে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে সেখানে অনুকূল আর প্রতিকূল দুটো অবস্থাই সমান ভাবে জড়িত হয়ে পড়ে। ফলে ঊনবিংশ শতকের নবজাগৃতির সুসময় পার হতে না হতেই নতুন শতাব্দীর দ্বার গোড়ায় এসে প্রত্যক্ষ করা গেল ঝড়-ঝঞ্ঝার বিরূপ আবহের এক বিক্ষুব্ধ অধ্যায়। যা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জ্ঞান-গুণী বিদগ্ধ জন ছাড়াও সৃজনশীল, প্রতিভাদীপ্ত মননের ওপরও পড়ে এক যুগান্তকারী ছাপ। নজরুল সেই সময়ের গড়ে ওঠা এক শিশু-কিশোর যার জীবন ও চেতনা তাড়িত হয় বিক্ষুব্ধ আবহের উন্মত্ততায়। সেই কারণে সুস্থ-স্বাভাবিক পথে সংগ্রামী বৈতরণী পার হওয়া ছিল এক কঠোর জীবন প্রবাহের লড়াকু অভিযাত্রা। নজরুলের ভাষায় বলা যায় ‘বিংশ শতাব্দীর অসম্ভবের সম্ভাবনার যুগে আমি জন্মগ্রহণ করেছি।’ অতি সাধারণ ঘরে জন্ম নেয়া নজরুলের জীবনও ছিল একেবারে সাদামাটা। মাত্র নয় বছর বয়সে পিতাকে হারানো কবির পারিবারিক বন্ধনও ছিল অনেকটাই শিথিল। যে শক্ত বাঁধনের দৃঢ়তার অভাব জীবনকে করেছিল ছন্নছাড়াই শুধু নয় গৃহহীন হওয়ার মতো এক অনাকাক্সিক্ষত করুণ আখ্যানও বটে। তাছাড়া তৎকালীন সমাজ সংস্কারের অবয়বও ছিল প্রতিনিয়ত সংঘাত আর সংকটের নির্মম টানাপোড়েনে। বিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকে শুরু হওয়া নানা ঘাত-প্রতিঘাতের বিপন্নতায় সমাজের সার্বিক চেহারা যেমন বিধ্বস্ত পাশাপাশি সাহিত্য-সংস্কৃতির জগত ছিল একটু ভিন্নমাত্রার। অপ্রতিরোধ্য রবীন্দ্র সৃজন-প্রতিভার এক স্বর্ণ অধ্যায়। যাকে অতিক্রম করা শুধু অসম্ভবই নয়, এই বিরাট কালপর্বের তিনি যুগস্রষ্টা স্থপতিও। অর্ধশত বছর রাজত্ব করা রবীন্দ্র সৃষ্ট জগত যখন সবার নাগালের বাইরে সেই যুগসন্ধিক্ষণে বিদ্রোহী কবি নজরুল তার ভিন্নমাত্রার সৃজনসম্ভার নিয়ে বাংলা ও বাঙালীকে তাকই লাগিয়ে দিলেন না আপন আলয়ে নিজেকে অন্যমাত্রার যুগ-প্রতিনিধি হিসেবেও দাঁড় করালেন। সমাজ, সংস্কার, সংসার সবই ছিল নজরুলের প্রতিপক্ষ। সৃষ্টিশীল আবেগ নিয়ে বেড়ে ওঠা নজরুল অন্যায়, অবিচার কিংবা অসাম্য বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্তই হলেন না ক্ষুরধার লেখনীর অগ্নিবাণে সবাইকে বিদ্ধও করলেন। সবাই অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করলো এক দুর্দমনীয়, অপ্রতিরোধ্য তারুণ্যের উন্মাদনায়, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে এক নতুন বিশ্ব তাবত বাঙালী উপহার পেলো। বাংলা সাহিত্যের আঙিনা পেলো এক বিপ্লব আর শিকল ভাঙার সৃজন সৌধ যেখানে সর্বমানুষের জয়গানকেও একীভূত করা হয়। আপন সৃষ্টির আলয়ে এই অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী সত্তা তারুণ্যের জয়গানে উদ্দীপ্ত হয়ে সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে কঠিন-কঠোর বাণী ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত করলেন যা আজও অসহায় বঞ্চিত মানুষের সুরক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়। মানুষে মানুষের ফারাককে দর্পভরে প্রত্যাখ্যান করলেন, নারী-পুরুষের বৈষম্যকে তীক্ষ্ম বাক্যবাণে আঘাত করলেন এবং মানবতার অজেয় বার্তায় সৃজন ভা-ার ভরিয়ে দিলেন। নজরুলের সৃষ্টি বৈচিত্র্যের পর্যায়ক্রমিক ধারায় সমকালীন সমাজ যেভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়ানো ছিল তার স্বাক্ষর উজ্জ্বল হয়ে আছে তাঁর অনবদ্য কবিতা, অবিস্মরণীয় গান এবং মননশীল চেতনার সুসংবদ্ধ লেখনীতে। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক উপমহাদেশীয় ঘটনাপঞ্জির এক অভাবনীয় দলিল। যা আজও বাঙালীর জীবন ও মননে তীব্রভাবে বিঁধে আছে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ, ১৯০৬ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের পত্তন, বঙ্গভঙ্গে প্রতিক্রিয়া স্বরূপ স্বদেশী আন্দোলনের সংগ্রামী সশস্ত্র অভিযাত্রা সব মিলিয়ে সমকালীন অঙ্গন উত্তপ্ত, বিক্ষুব্ধ এবং প্রায়ই বিপর্যস্ত। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের বিষবাষ্প অবিভক্ত বাংলার শুদ্ধ প্রতিবেশ যে পরিমাণ অশুভ বিষোদগারে পরিপূর্ণ হলো সেখান থেকে আজও আমরা বেরিয়ে আসতে পারিনি। জাতিভেদ, বর্ণবৈষম্য, নারী-পুরুষের ব্যবধানকে কট্টরভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা নজরুল পর বিরুদ্ধে তীব্রভাবে প্রতিরোধ প্রতিবাদে সোচ্চার হন। এক উদীয়মান কিশোর বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে প্রত্যক্ষ করলেন রবীন্দ্রনাথের বিশ্ব জয়। আর তা অব্যবহিত পরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা। এমন অভাবনীয় মঙ্গল বার্তায় যখন সারা বাংলা উদ্দীপ্ত তার রেশ কাটতে না কাটতেই বিশ্বব্যাপী নেমে আসল এক অনাকাক্সিক্ষত যুদ্ধের বিভীষিকা বিদগ্ধ এই সময়গুলোতে নজরুলের জীবনগড়া ছিল তৎকালীন অবস্থার এক অস্থির পালাক্রম। ১৯১১ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে বর্ধমানের সিয়ারসোল বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন তিনি। এই শিক্ষার্থী জীবনেও কখনো সুস্থির অবস্থায় থাকতে পারেননি, নানাবিধ বাধা-বিপত্তি সরল-স্বাভাবিক পথপরিক্রমায় যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সেখানেও তাঁকে বিভিন্ন সময় টানাপোড়েনের আবর্তে পড়তে হয়। সঙ্গীতপিয়াসী নজরুল অতি অল্প বয়স থেকেই গানের প্রতি তাঁর অবিচল নিষ্ঠা প্রমাণ করেন। শুরুটা হয় লেটোর দলে গান লেখাই শুধু নয় সুরও কণ্ঠ দিয়ে তাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াও। এর পরের জীবন হয়ে ওঠে আরও কঠিন আর দুর্বিষহ। যাত্রাদলে গান গাওয়া থেকে শুরু করে প্রহরীর চাকরি নেয়া শেষ অবধি আসানসোলে এক রুটির দোকানেও মাসিক ১ টাকা বেতনে কাজ করতে দেখা যায়। অসমাপ্ত শিক্ষা জীবনের ঘানি টানতে গিয়ে ১৯১৪ সালে দরিরামপুর স্কুলে ভর্তি হন সপ্তম শ্রেণীতে। জানা যায়, এই স্কুলে এসে নজরুল তার অসাধারণ মেধার প্রকাশ ঘটান। পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার চাইতেও বেশি নজরে পড়ে যান বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজের তীক্ষè মননের বহির্প্রকাশ হওয়ার কারণে। আবৃত্তি, নাটক এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে স্কুলের শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর পরও বিদ্যালয় বদলের পালাক্রম আরও কিছুকাল চলতে থাকে। এরই মধ্যে ঘটে যায় জীবনের আর এক অবিস্মরণীয় কর্মযোগ। ১৯১৭ সালে দশম শ্রেণীর ছাত্র কাজী নজরুল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের হুঙ্কার হৃদয়ে ধারণ করে ইংরেজ সরকার গঠিত বেঙ্গল রেজিমেন্টে সাধারণ সৈনিক হিসেবে যোগ দেন। এটাই কবির জীবনের মোড় ঘোরানোর এক স্মরণীয় কালপর্ব। বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেয়া নজরুল সৈনিক জীবনের ফাঁক-ফোকরে সঙ্গীত ও সাহিত্যের পথপরিক্রমায় নিজেকে তৈরি করতে থাকেন। ১৯১৮ সালে যুদ্ধের দামামা থেমে গেলেও যথাসময়ে করাচী থেকে ফেরা সম্ভব হয়নি। ১৯১৯ সালটা যেমন নজরুলের একইভাবে সর্বভারতীয় বিবাদ-সঙ্কটের আবর্তে পড়া অস্থির ঘটনাপ্রবাহের দুঃসময়। খেলাফত আন্দোলন, মন্টেগু চেমসফোর্ড শাসন সংস্কার আরও তীব্রভাবে জালিয়ানওয়ালাবাগের নির্মম হত্যাকা-ে সারা ভারতে বিদ্রোহের দাবানল জ্বলে ওঠে। ব্রিটিশ রাজ কর্তৃক প্রদত্ত ‘নাইট’ উপাধি বর্জন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সেটাও ছিল সমকালীন বিক্ষুব্ধ প্রেক্ষাপটের যথার্থ জবাব। টানাপোড়েনের এই দুঃসময়ে নজরুলের সাহিত্য সাধনার ক্ষেত্র তৈরি আর বিকাশ লাভ করতে থাকে। ফলে চেতনাও গতি পায় অগ্নিঝরা সময়ের কঠিন আবর্তে। লিখলেন প্রথম ছোটগল্প ‘বাউন্ডলের আত্মকাহিনী’। যা মাসিক সওগাত পত্রিকায় কবির জন্ম মাসেই প্রকাশিত হয়। একই বছরের শ্রাবণ মাসে বের হয় প্রথম প্রকাশিত কবিতা ‘মুক্তি’। যা প্রকাশ পায় বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকায়। ১৯২০ সালে নজরুল সৈনিক জীবনের পাঠ চুকিয়ে প্রত্যাবর্তন করেন নিজের পরিচিত কলকাতায়। সৈনিক জীবনের অবসান ঘটলেও তখন অবধি জীবনের স্থিতি আসেনি। স্থায়ী কোন নিবাসের তোয়াক্কা না করে ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় প্রথম সংখ্যা থেকে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘বাঁধন হারা’ প্রকাশ পেতে থাকে। সমসাময়িক কাল ছিল বিক্ষুব্ধ আর উত্তপ্ত। রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি নজরুলের সাহিত্য রচনাও সমান তালে চলতে থাকে। ১৯২০ সালের অহিংস-অসহযোগ আন্দোলন সর্বভারতে ব্রিটিশবিরোধী গণজাগরণের এক উত্তাল সময়। ১৯২১ সাল নজরুলের জীবনও সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য ঘটনার অবিস্মরণীয় দলিল। ‘বিদ্রোহী’র মতো সাড়া জাগানো কবিতা উপহার দিয়ে সারা বাংলা তথা সর্বভারতে আলোড়ন তুললেন। ব্যক্তি জীবনেও ঘটে যায় মহিমান্বিত ভালবাসার এক করুণ রসাত্মক আখ্যান। সাহিত্যের যে নান্দনিক রসরোধ কবিকে প্রতিনিয়ত তাড়িত করে সেভাবেই রচিত হতে থাকে তাঁর প্রতিভাদীপ্ত সৃজন-দ্যোতনার বিস্ময়কর সৃষ্টি যজ্ঞ। এরপর থেকে আর কোন দিকে তাকানোর সুযোগই হয়নি। উদীপ্ত বহ্নিশিখার মতো কাব্যিক ছন্দ সুসংবদ্ধ হতে থাকে সৃষ্টির তাড়নায়। একেবারে আলাদা, অন্যরকম। প্রচলিত কোন ধারার সঙ্গে মিলছে না। আপন বৈশিষ্ট্যে নিজের সৃষ্ট কাব্য সম্ভারে সারা বাংলাকে তাক লাগিয়ে দিলেন। এমন সঙ্গীত উপহার দিলেন বাঙালীকে যা প্রচলিত ধারার সঙ্গে মিল থাকলেও রাগ-রাগিণীর সুরঝঙ্কারে একেবারে ভিন্ন ঘরানার এক অনবদ্য গানের ভা-ার। স্মরণে আনা যেতে পারে তখন অর্ধশত বছরের বেশি রাজত্ব করা রবীন্দ্র সৃষ্টি কর্ম অবিভক্ত বাংলার সাহিত্যাঙ্গনকে যেভাবে আচ্ছন্ন করে রাখে তাকে অতিক্রম করা ও সমকালীন স্রষ্টাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ফলে তিরিশের দশকের কল্লোল যুগের কবিরা রবীন্দ্র বলয় থেকে দূরে থাকতে পাশ্চাত্য মনন চর্চায় মনোযোগী হলেন। আর নজরুল যা করলেন তা যেমন বিস্ময়কর তেমনি অভাবনীয়। রবীন্দ্র সৃষ্টিযজ্ঞে ডুবে থাকলেন, বিশ্ব কবিকে আরাধ্য দেবতার মতো পূজা করলেন গুরুদেবের সঙ্গীত সম্পদে নিজেকে বিলিয়েও দিলেন। কিন্তু যখন লিখলেন, সুর দিলেন, সৃষ্টি করলেন কোথাও কোন রবীন্দ্র ছাপ নেই। এটাই নজরুলের ব্যতিক্রমী সৃষ্টিশীলতা যেখানে আপন সৃজন দ্যোতনায় নিজের অবস্থান মজবুত করতে তার সময় লাগেনি। তাই আপন বৈশিষ্ট্য আর সৃষ্টির আলয়ে আজও তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিভাবে গ্রহণ করলেন নজরুলকে? নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশের পর কবি নিজেই গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের কাছে। বলা হয় আবৃত্তি করেও শুনিয়েছিলেন। এই কবিতা হাতে নজরুল আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, গুরুজি আমি আপনাকে হত্যা করব। পুরো কবিতা শোনার পর কবিগুরু ঠা-া, স্থির, মাথায় বলেছিলেনÑ সত্যিই কাজী তুই আমাকে হত্যা করবি। ১৯২২ সালে রাজদ্রোহের অপরাধে নজরুল কারাবন্দী হয়ে আমরণ অনশন ব্রত গ্রহণ করেন। ঠিক সেই দুঃসময়ে রবীন্দ্রনাথ আলীপুর জেলে নজরুলের কাছে পাঠান এক অনবদ্য উপহার। কবির ‘বসন্ত’ নাটকটির উৎসর্গ পত্রে লেখা থাকে শ্রীমান কবি নজরুল ইসলাম, স্নেহভাজনেষু। অর্থাৎ শুধু উৎসর্গই করলেন না কবি হিসেবেও তাঁকে স্বীকৃতি দিলেন। ১১৯তম জন্মবার্ষিকীতে কবির প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা আর শুভেচ্ছা। লেখক : সাংবাদিক
×