ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জান্নাতুন নিসা

গবেষকদের ওয়ান স্টপ সেন্টার ॥ শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবন

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ২৫ মে ২০১৮

গবেষকদের ওয়ান স্টপ সেন্টার ॥ শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবন

রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলাকে প্রতিনিধিত্ব করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবীন্দ্রস্মৃতি বিজরিত শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ করার প্রস্তাব করেন ২০১০ সালে ভারত সফরের সময়ে। শান্তিনিকেতনে চীন ভবন, জাপান ভবনের পাশে থাকবে বাংলাদেশ ভবন। এই ভবন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও জোরদার হবে। বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ ভবনে। বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ নিয়ে অন্য ভাষাভাষী কেউ গবেষণা করতে চাইলে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের বাংলাদেশ ভবনে সেই সুযোগও মিলবে। এইসব ভাবনা থেকেই ভবনটি তৈরির প্রস্তাবনা শুরু হয়; এরপর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশে সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এই ভবন নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়। বিশ্বভারতীতে যেসব বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন কিংবা অন্য ভাষাভাষীর পড়ুয়া যারা বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ে জানতে চান তাঁদের জন্য অনেকটা ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দু’দেশের নেয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নির্মিত হচ্ছে এই ভবন; আর এতে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বাজিপুড়ানোর মাঠ’ নামে পরিচিত পরিত্যক্ত জায়গাটি ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করে ২০১৪ সালে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয় বাংলাদেশ ভবনে একটি গ্রন্থাগার, আলোচনা কক্ষ ও প্রেক্ষাগৃহ, ডিজিটাল মিউজিয়াম, ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ সংরক্ষণাগার, স্টুডিও ও রেকর্ড রুম থাকবে। ভবনটিতে মূলত শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কিত বিষয়ের উপরে গবেষণার ব্যবস্থা করা হবে। দু’দেশের মধ্যে এ বিষয়ে যে মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যাডিং (মউ) স্বাক্ষর হয় তাতে বলা হয় এই ভবনে একটি ছবির গ্যালারি থাকবে। যেখানে ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে (দ্বারকানাথ থেকে রবীন্দ্রনাথ) বাংলাদেশের সম্পর্ক ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। শান্তিনিকেতনে ভবন তৈরির জন্য জমি দেবে বিশ্বভারতী আর ভবন তৈরির জন্য যে ২৪-২৫ কোটি রুপী প্রয়োজন হবে তা দেবে বাংলাদেশ সরকার। শান্তিনিকেতনে চীনা সরকার ও বিশ্বভারতীর যৌথ উদ্যোগে চীনা ভাষা পাঠের জন্য চীন ভবন এবং জাপানি ভাষার জন্য নিপ্পন ভবন রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে বাংলাদেশ ভবনটি দু’দেশের ইতিহাস, রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মতো ব্যক্তিত্বদের কর্মকা-, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে বৈকি। বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের লক্ষ্যে শান্তিনিকতনে বাংলাদেশ ভবন গড়ে তুলতে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যাডিং (মউ) চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশের একজন স্থপতির তৈরি করা নকশানুযায়ী ২০১৫ সালের শেষ দিকে অর্থাৎ ২০১৬ সালের দিকে ভবন নির্মাণের কাজে হাত দেয় ভারত সরকারের ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন লিমিটেড বা এনবিসিসি। মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে তারা ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করে। এই কাজে প্রতিদিন গড়ে ২০০জন নির্মাণ শ্রমিক যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে সেখানে নির্মিত হয়েছে প্রায় চৌদ্দ হাজার বর্গফুটের (একটি তল আনুমানিক সাত হাজার বর্গফুট) বাংলাদেশ ভবন। দ্বিতল ভবন নির্মাণের ব্যয়ভার বহন করেছে বাংলাদেশ সরকার। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক প্রায় ৪০ কোটি টাকা। প্রায় আড়াই বিঘার জমির ওপর নির্মিত এই মূল ভবনের আয়তন ৪ হাজার একশ বর্গমিটার। মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ভবন সেজে উঠছে। সবুজে ঘেরা ভবনের প্রবেশদ্বার। বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রনাথ কিংবা অন্য যেকোনো ভাস্কর্য তৈরির কোনও বিধান নেই। তাই ভাস্কর্যের বিকল্প হিসেবে মূল ভবনের প্রবেশদ্বারে দুই প্রান্তের বা দিকে তৈরি করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যাল এবং ডান দিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল। স্বচ্ছ কাঁচের প্রধান ফটক পেরিয়ে বর্তমানে যে লিফট্-টি রয়েছে; সেই লিফট্ আগামীতে থাকবে-কি থাকবে না, সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। লিফট-এর দুই প্রান্তে ভেতরে প্রবেশ করার পথ রয়েছে। ডান দিক ও বা দিকের পথে দুই পাশের ২৬৪ বর্গ মিটার জায়গায় দুটি আন্তর্জাতিক মানের সেমিনার হল তৈরি করা হয়েছে। এর ওপরের ডান দিকে রয়েছে ১১৫ বর্গ মিটারের লাইব্রেরি। বাঁ দিকে রয়েছে ২৬৪ বর্গ মিটারের জাদুঘর। রয়েছে দুটি ছোট পরিসরের স্টাডি সেন্টারও। ভবনের নিচতলার পেছনের দিক বা শেষ দিকে তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন অডিটোরিয়াম। পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, শব্দ নিরোধক এবং অত্যাধুনিক আলোক ব্যবস্থা সম্পন্ন অডিটোরিয়ামে একসঙ্গে ৪৫৩ জন বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে বসানো হয়েছে ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেমও। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত জায়গা নির্ধারণ না হলেও মূল ভবনের ডান দিকেই বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে সেখানে তৈরি করা হবে শহীদ মিনার। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির আগেই সেটি তৈরি করা হবে। বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের ফলে দুই দেশের রবীন্দ্র গবেষক ও বাংলাদেশ নিয়ে যারা গবেষণা করেন বা করতে চান তাদের জন্য বাংলাদেশ ভবন একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। বিশ্বভারতীর শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ভবন নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। শান্তিনিকেতনে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ভবনটিতে বাংলাদেশের শিলাইদহে থাকাকালীন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কবিতা, গান ও বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিসহ বাংলাদেশের ইতিহাস রাখা হবে। ঠাঁই পাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের ইতিহাস। এছাড়াও আলোচনা সভা মঞ্চ, পাঠাগার, ক্যাফেটারিয়া, বাংলাদেশী পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বাংলা ভাষা ও বাংলা চর্চা কেন্দ্রও। গবেষণার সুযোগ নিতে পারবেন বিদেশী পড়ুয়ারাও। এই ভবনে থাকবে একটি সংগ্রহশালা যেখানে থাকবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও দর্শন এবং বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের স্মৃতিবিজড়িত সামগ্রীসমূহ। এছাড়াও থাকবে একটি গ্রন্থাগার এবং একটি অত্যাধুনিক সাংস্কৃতিক মঞ্চ। বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও জোরালো হবে। আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সম্পর্কে বহির্বিশ্ব আরও বিষদভাবে জানতে পারবে। বাংলাদেশ ভবনের ভেতরে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার কাজ হচ্ছে। বিভিন্ন নিদর্শন ও রেপ্লিকা দিয়ে এটি সাজানো হবে। কবিগুরুর বাংলাদেশে অবস্থানকালীন সময়কে নানাভাবে তুলে ধরা হবে। গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করা হবে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-মুক্তিযুদ্ধকে। ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির নানা উপাদান রাখা হবে। বর্তমানে নিদর্শন সংগ্রহ ও তা থেকে রেপ্লিকা তৈরির কাজ করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। জাদুঘরের নিদর্শনের আলোকে রেপ্লিকা প্রস্তুত করা হবে। প্রাথমিক এই নিদর্শনের তালিকায় রয়েছে রবীন্দ্রনাথের লেখা দুটি চিঠি। একটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার এ. এফ রহমানকে ১৯৩৬ সালের ৫ এপ্রিল লেখা হয়েছিল। অন্যটি অধ্যাপক মনসুর উদ্দিনকে ১৯৩৭ সালের ২৩ জুলাই লেখা হয়েছিল। আছে ১৯৩১ সালে কাজী নজরুল ইসলামের স্বহস্তে লেখা গান। এগুলোর প্রতিলিপি প্রেরণের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। প্রতœসম্পদে সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে তুলে ধরতে বেশ কিছু প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনের রেপ্লিকা পাঠানো হবে। প্রাথমিক তালিকায় রয়েছে নবম শতকে কুমিল্লা থেকে পাওয়া ব্রোঞ্জের বুদ্ধ মূর্তি। একই শতকে রাজশাহী থেকে পাওয়া কালো পাথরের নবগ্রহ। আছে দশম শতকে পাওয়া ধ্যানী বুদ্ধ অমিতাভ-এর ব্রোঞ্জ মূর্তি; ১১ শতকে মুন্সীগঞ্জে পাওয়া ধ্যানী বুদ্ধ অক্ষোভ্য-এর কালো পাথরের মূর্তিও আছে তালিকায়। এছাড়া ১১ শতকে নওগাঁ থেকে সংগ্রহ করা কালো পাথরের সদ্যোজাত শিব মূর্তিটিও রয়েছে রেপ্লিকা করার জন্য। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হবে জাদুঘরে। জাদুঘরে রাখার জন্য লিফলেট পুস্তিকাসহ নানা নিদর্শন প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকায় রয়েছে ‘শত শোষণের বাংলাদেশ স্বর্ণ প্রসবিণী’, ‘ভিক্টোরি ইজ আওয়ার্স’, ‘বাংলাদেশ শোষণের চিত্র’, ‘জেনোসাইড ইন ইস্ট পাকিস্তান’ ইত্যাদি লেখা পোস্টার। একাত্তরের এসব পোস্টারের পাশাপাশি থাকবে কিছু পুস্তিকা। গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা ‘আমি মুজিব বলছি’, এম. আর আখতার মুকুল রচিত ‘চরমপত্র’ রয়েছে পাঠানোর তালিকায়। বাংলাদেশ ভবনে নির্মিত পাঠাগারে যাবে ৬ হাজারের মতো বই। এসব বই পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে। চীন ভবন, জাপান ভবন। আর নতুন সংযোজন বাংলাদেশ ভবন। আনন্দের এই উপলক্ষ একসঙ্গে উদযাপন করবে দুই বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাচ্ছেন শান্তিনিকেতনে। থাকছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। আজ ২৫ মে দুই প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী-বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকসহ শতাধিক সফরসঙ্গী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সফর করছেন। উদ্বোধন শেষ রথীন্দ্র অতিথি গৃহে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি ও মমতা। বৈঠক শেষ হওয়ার পর হেলিকপ্টারে কলকাতায় ফিরবেন তিনি। দক্ষিণ কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে তিনি দুপুরে বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে যাবেন ভবানীপুরে নেতাজী ভবনে। সেখানে তিনি নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের বাসভবন ঘুরে দেখবেন। এরপর তিনি যাবেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। সেখানে কবিগুরুর প্রয়াণকক্ষসহ বাংলাদেশ ও রবীন্দ্রনাথ শীর্ষক গ্যালারিটি দেখবেন তিনি। পরের দিন ২৬ মে সকালে কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে আসানসোলে যাবেন শেখ হাসিনা। সেখানে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ নেবেন। এই অনুষ্ঠানে থাকবেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরকে ডক্টরেট ডিগ্রী দেওয়া হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হচ্ছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশের তিনজন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক উপদেষ্টা, সরকারী কর্মকর্তা, ৫০ জন বুদ্ধিজীবী এবং ৮০ জন সাংবাদিক। দুই দেশের মধ্যে আটকে থাকা বেশকিছু রাজনৈতিক জটের সমাধানের সূত্র মিলতে চলেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে, সেই প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।
×