স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পল্লবীতে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ঝর্ণা আক্তার (২০) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে। নিহতের বাবার নাম ধলু বয়াতী। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার চড়হোসনাবাদ গ্রামে। তিনি মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ধ ব্লকের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন তিনি। এদিকে শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ঝর্নার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান।
নিহতের ভগ্নীপতি ও খালাতো ভাই মোঃ খলিল জানান, মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন তারা। পাশেই একটি কক্ষে মাকে নিয়ে থাকতো ঝর্ণা। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার গভীররাতে পাশের কক্ষে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝর্নার ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খলিল জানান, ঝর্ণা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতো। মাকে নিয়ে এই বাসাতেই থাকতো।
তিনি জানান, ঝর্ণার ৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। সেটি ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে গার্মেন্টসের চাকরীর সুবাদে সহকর্মী রাশেদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। নিহতের ভগ্নিপতি খলিল জানান, বিয়ের কথাবার্তার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঝর্ণার বাসায় আসার কথা ছিল রাসেলের। কিন্তু আসেনি। পরে যতটুকু শুনেছি ছেলেটির পরিবার এই বিয়েতে রাজি নয়। এরই জের ধরে ঝর্না আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
