ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আরও ৯

প্রকাশিত: ১৮:২০, ২৬ মে ২০১৮

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আরও ৯

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে সাত জেলায় অন্তত নয়জন গুলিতে নিহত হয়েছেন। কুমিল্লা ও দিনাজপুরে দুইজন করে আর চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, জয়পুরহাট, ফেনী ও বরগুনায় নিহত হয়েছেন একজন করে। তাদের মধ্যে ফেনী, বরগুনা ও দিনাজপুরে একজন করে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য। আর পুলিশের সঙ্গে কুমিল্লায় দুইজন, ময়মনসিং ও চাঁদপুরে একজন করে; র্যাবের সঙ্গে জয়পুরহাট ও দিনাজপুরে একজন করে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। আইন-শৃ্খলা বাহিনীর দাবি, নিহতরা সবাই মাদক চোরাকারবারে জড়িত ছিল। কারও কারও বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত কথিত এসব বন্দুকযুদ্ধ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের ভাষ্য। মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধে ১৯ মে রাত থেকে এ কয়দিনে অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হল দেশের বিভিন্ন জেলায়। এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ যে বিবরণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আসছে, তা মোটামুটি একই রকম। তাদের দাবি, অভিযানের সময় মাদক চক্রের সদস্যরা গুলি চালালে পাল্টা গুলিবর্ষণ হয়, তাতেই এদের মৃত্যু ঘটে। তবে বিভিন্ন সময় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে, ধরে নিয়ে হত্যা করা হয় তাদের স্বজনদের। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। কুমিল্লা কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন দুইজন। নিহতরা হলেন - ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আশাবাড়ি গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে বাবুল (৪০) ও দক্ষিণ তেতাভূমি গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে আলমাস (৩৬)। ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাহজাহান কবির বলেন, “পুলিশ বাগরা এলাকায় মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করতে গেলে রাত দেড়টার দিকে মাদক ব্যবসায়ী বাবুল ও আলমাস তাদের সহযোগীদের নিয়ে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালায়। “পুলিশ আত্মরক্ষায় ১৬ রাউন্ড গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গুলিবিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ী বাবুল ও আলমাস গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে উভয়ের মৃত্যু হয়।” বাবুলের বিরুদ্ধে ১৬টি আলমাসের বিরুদ্ধে আটটি মাদক মামলা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ফেনী ফেনীর রুহিতিয়া এলাকা থেকে কবির হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কবির পরশুরাম উপজেলার ধনিকুণ্ড গ্রামের আবুল খালেক বেতুর ছেলে। রুহিতিয়া ব্রিকফিল্ড এলাকায় নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য। ফেনী মডেল থানার ওসি রাশেদ খাঁন চৌধুরী বলেন, ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের রুহিতিয়া ব্রিকফিল্ড এলাকায় গোলগুলির খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। “পরে তার পরিচয় মেলে। নাম কবির হোসেন ওরফে কবির ডাকাত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদকসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। দুই দল ডাকাতের মধ্যে ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে কবির নিহত হয়েছেন।” পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, একটি গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। চাঁদপুর নিজস্ব সংবাদদাতা,কচুয়া ,চাঁদপুর থেকে জানায়, কচুয়ায় বন্ধুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী বাবলু(৪০) শনিবার ভোররাতে নিহত হয়েছে। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মোবারক হোসেন ও এএসআই আকতার হোসেন আহত হয় । আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, জেলাব্যাপী মাদক বিরোধী সাঁড়শী অভিযানে কচুয়া থানা পুলিশ উপজেলার গোহট দক্ষিন ইউনিয়নের বলরা গ্রামের মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী বাবলুকে তার নিজ ঘর থেকে ১’২০ পিচ ইয়াবা সহ শুক্রবার মধ্য রাতে গ্রেফতার করে। মাদক ব্যবসায়ী বাবলুকে থানায় নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে পাড়াগাঁও ব্রিকফিল্ড সংলগ্ন এলাকায় পৌছলে তার সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেবার লক্ষ্যে পুলিশের উপর ককটেল চার্জ করে । ওই সময় পুলিশের সাথে বাবলুর সহযোগীদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাবলুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। শনিবার সকালে বাবলুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান জানান,মাদক ব্যবসায়ী বাবলুর নামে কচুয়া থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। জয়পুরহাট জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে রেন্টু মিয়া (৩৪) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। নিহত রেন্টু উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। র্যাবের জয়পুরহাট ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামিম হোসেন বলেন, “রেন্টু জেলার তালিকাভূক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, নেশাজাতীয় অ্যাম্পুল ইনজেশনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ভারত থেকে অবৈধ্য পথে এনে জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে আসছিলেন। “রাতে তাকে পাঁচবিবি উপজেলার ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে ভীমপুর এলাকায় মাদক উদ্ধারে যায়। তার সহযোগীরা র্যাবের দিকে গুলি ছোড়ে। র্যাব পাল্টা গুলি চালালে রেন্টু গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তার সহযোগীরা পালিয়ে যান। পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ” র্যাব ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ ‘বেশ কিছু’ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে অন্তত সাতটি মাদক মামলা রয়েছে। ময়মনসিংহ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় মো. শাহজাহান (৩০) নামে এক মাদক বিক্রেতা কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান বলেন, “ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী তেলওয়ারী গণ্ডিমোড় আবুল খায়েরর গ্যারেজের পশ্চিম পাশে ফাঁকা রাস্তায় কতিপয় মাদক বিক্রেতা মাদক ভাগাভাগি করছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাদের ধরতে অভিযান চালায়। “রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মাদক বিক্রেতারা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষে গোলাগুলির এক পর্যায়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। এলাকা তল্লাশি করে শাহজাহানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।” পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গ্রাম হেরোইন, পাঁচটি গুলির খোসা, একটি রামদা ও একটি কিরিচ উদ্ধার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, শাহজাহানের বিরুদ্ধে থানায় আটটি মাদক মামলা রয়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার রামসাগর এলাকায় দুই দল মাদক বিক্রেতার মধ্যে গোলাগুলিতে আব্দুস সালাম (৩৬) নামে একজন আর বীরগঞ্জ উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাবদারুল (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সাবদারুল বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নন্দাইগাঁও গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। আর আব্দুস সালাম দিনাজপুর সদর উপজেলার মহরমপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। র্যাব ১৩-এর দিনাজপুর ক্যাম্প কমান্ডার তালুকদার নাজমুছ সাকিব বলেন, রাত ২টার দিকে বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ-কবিরাজহাট সড়কের দক্ষিণ পাশে বাসুদেবপুর এলাকায় মাদক বিক্রেতাদের মধ্যে লেনদেন চলছিল বলে খবর আসে। “সেখানে অভিযানে গেলে তারা র্যাবের দিকে গুলি ছোড়ে। র্যাব পাল্টা গুলি চালালে সাবদারুল (৪০) নিহত হন।” ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি গুলি, দুই পোঁটলা গাঁজা ও ৯৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রায় ৪০টি মামলা রয়েছে। কোতোয়ালি থানার ওসি রেদওয়ানুর রহিম বলেন, “রাত ২টার দিকে রামসাগর এলাকায় গোলাগুলির শব্দ পেয়ে পুলিশের একটি টহল দল সেখানে যায়। “পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা অনেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ রামসাগরের পশ্চিম পার থেকে গুলিবিদ্ধ সালামকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ” পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, চারটি ককটেল, ২০০ বোতল ফেন্সিডিল ও বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সালামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বরগুনা সদর উপজেলার জাকির তবক গ্রামে দুই দল মাদক বিক্রেতার মধ্যে গোলাগুলিতে সবির হোসেন খান (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সদর থানার ওসি এস এম মাসুদুজ্জামান বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মাদক বিক্রি ও ভাগাভাগি নিয়ে মনির ও সবির হোসেনের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে অনেকে পালিয়ে যায়। তবে রাস্তার পাশে সবিরের গুলিবিদ্ধ লাশ মেলে। ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, পাঁচটি গুলি ও ১০০টি ইয়াবা উদ্ধার করেছে। সবিরের বাড়ি কুমড়াখালি গ্রামে। জাকির তবক এলাকার শানু সরদার তার শ্বশুর বলে তিনি জানান। ঠাকুরগাঁও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত মোবারক হোসেন ওরফে কুট্টি (৪০) জেলা শহরের রোড ছিট চিলারং গ্রামের শফির উদ্দিনের ছেলে। জেলার পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ জানান, রাত ৩টার দিকে বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানারহাট এলাকায় একদল মাদক বিক্রেতা অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। “পথে পশ্চিম বেগুনবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ করে মাদক বিক্রেতারা গুলি করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষে প্রায় ১০ মিনিট গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে মাদক বিক্রেতা মোবারক হোসেন ওরফে কুট্টি নিহত হন।” পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২০০ ইয়াবা, কয়েকটি ধারালো অস্ত্র, পাঁচটি বিস্ফোরিত ককটেলের ধ্বংসাবশেষ, পাঁচটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে জানিয়ে বলেন, নিহত মোবারকের বিরুদ্ধে সদর ও পীরগঞ্জ থানায় ১৫টি মাদক ও চোরাচালান মামলা রয়েছে। পাবনা পাবনায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আব্দুর রহমান (৪২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রহমান দোগাছী ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের আছের উদ্দিন শেখের ছেলে। জেলার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে রাত ৩টার দিকে মহেন্দ্রপুর এলাকায় মাদক উদ্ধারে যায় পুলিশ। “তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করে, গুলি ছোঁড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। রহমান পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।” ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি শাটারগান, তিন রাউন্ড গুলি, চারটি গুলির খোসা, ২০০ ইয়াবা ও পাঁচ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে বলে তিনি জানান।
×